Durga Puja in Hooghly: শ্রীরামপুরে প্রতিমার চক্ষুদান করতে ব্যস্ত প্রতিমা

ছোটবেলায় বাবার কাছেই হাতেখড়ি। তারপর থেকেই মূর্তি তৈরীর নেশায় ডুবেছিলেন প্রতিমা। বিয়ের পর শ্বশুর বাড়িতে এসেও প্রতিমা তৈরির কাজে নিজেকে ব্যস্ত রেখেছেন। সঙ্গে পাল্লা দিয়ে চলে সংসারের যাবতীয় কাজও।

সুমন করাতি, হুগলি

প্রতিমাই চক্ষুদান করেন প্রতিমার, হ্যাঁ, অবাক লাগলেও এটাই সত্যি। বয়স ৬০ পেরিয়েছে তবুও একক দক্ষতায় একের পর এক দুর্গা প্রতিমা বানিয়ে চলেছেন হুগলির শ্রীরামপুরের (Srirampore) বাসিন্দা প্রতিমা দে (Pratima Dey)। জেলায় মহিলা মৃৎশিল্পী একজনই। হুগলীর শ্রীরামপুর পটুয়াপাড়া অঞ্চলের বাসিন্দা প্রতিমা দেবী প্রতি বছরের মতো এবছরও ৪২টি দূর্গা প্রতিমা বানিয়েছেন।


ছোটবেলায় বাবার কাছেই হাতেখড়ি। তারপর থেকেই মূর্তি তৈরীর নেশায় ডুবেছিলেন প্রতিমা। বিয়ের পর শ্বশুর বাড়িতে এসেও প্রতিমা তৈরির কাজে নিজেকে ব্যস্ত রেখেছেন। সঙ্গে পাল্লা দিয়ে চলে সংসারের যাবতীয় কাজও। তিন ছেলেকে মানুষ করা ছাড়াও সন্তানদের মূর্তি তৈরীর কাজ শিখিয়েও ভারমুক্ত হতে পারেননি তিনি। এখনও দেবীর খড় বাঁধা থেকে শুরু করে চক্ষুদান সবটাই করেন নিজের হাতে।

জেলার একাধিক প্রান্ত থেকে শুরু শহর কলকাতায় পৌঁছে যাচ্ছে প্রতিমার হাতের তৈরী প্রতিমা। অসুস্থ শরীর উপেক্ষা করেও বিরামহীন প্রতিমা দেবী। দীর্ঘ ৩০ বছরেরও বেশি সময় ধরে এই পেশায় নিজেকে যুক্ত রেখেছেন প্রতিমা। আর মাত্র কয়েক ঘণ্টার অপেক্ষা। শেষ মুহূর্তের ব্যস্ততা চরমে পৌঁছেছে। তবে একের পর এক অর্ডার পুজো কমিটির হাতে তুলে দিলেও ভারমুক্ত হতে পারছেন না প্রতিমা কারণ এবছর তাঁর হাতে রয়েছে লক্ষী ও কালী মূর্তি বানানোর কাজও।

Previous articleসুখবর ! পুজোর পরেই উচ্চপ্রাথমিকে ইন্টারভিউ, বিজ্ঞপ্তি জারি স্কুল সার্ভিস কমিশনের
Next articleকেন্দ্রের টাকা অন্য খাতে ব্যয়ের অভিযোগে নির্মলাকে চিঠি শুভেন্দুর, ‘নিন্দুকের নিন্দা’ পাল্টা তৃণমূল