চাকরিপ্রার্থীদের ধর্না থেকে বিজেপির দুর্গাপুজো: সুকান্তকে ধুয়ে দিলেন কুণাল

রাজ্য চাইছে দ্রুত এসএসসি নিয়োগ হোক কিন্তু বিরোধীরা এটা নিয়ে রাজনীতি করছে। শনিবার সাংবাদিক বৈঠকে বিজেপির (BJP) রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদারকে (Sukanta Majumdar) ধুয়ে দিলেন তৃণমূল (TMC) মুখপাত্র কুণাল ঘোষ (Kunal Ghosh)। এদিন EZCC-তে বিজেপির পুজোর উদ্বোধনে গিয়ে ময়দানে গান্ধিমূর্তির নীচে ধর্নারত SSC ও TET- এর চাকরিপ্রার্থীদের নিয়ে মন্তব্য করেন সুকান্ত। তার পাল্টা তৃণমূলের রাজ্যের সাধারণ সম্পাদক বলেন, রাজনীতি করছে বিরোধীরা। তাঁরা চায় না এঁদের নিয়োগ হোক। তাঁরা চায় এই ধর্না চলতে থাকুক। তাহলেই বিরোধীদের রাজনীতি করতে সুবিধা হবে। তাঁদের সামনে কোনও ইস্যু নেই, তাই এই চাকরিপ্রার্থীদের নিয়ে রাজনীতি করা হচ্ছে। এদিন ফের আন্দোলনরত চাকরি প্রার্থীদের উদ্দেশ্যে তৃণমূল মুখপাত্র আবেদন করেন, “পুজোর সময়টা আপনারা বাড়ি ফিরে যান, পুজোটা আত্মীয়-বন্ধুদের সঙ্গে কাটান। চাইলে প্রতীকী ধর্না চালিয়ে যান।”

কুণাল বলেন, যাঁরা ধর্নায় বসে আছেন, তাঁদের যন্ত্রণা বোঝেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Bandopadhyay)। রাজ্যে অনেক ভালো কাজের মধ্যে দু’একটা ভুল বা অন্যায় হয়েছে। “সেটা যাঁরা করেছেন নিশ্চিত ভাবে তাঁদের শাস্তি হবে। আমরাও চাই যে বা যারা এই দুর্নীতির সঙ্গে আছেন তাঁদের শাস্তি হোক। মুখ্যমন্ত্রী ব্যবস্থা নিয়েছেন। দল ব্যবস্থা নিয়েছে। চলছে তদন্ত। শাস্তি হবে। এই দুর্নীতি, তদন্ত, শাস্তি একটা দিক। অন্য দিকটা হল নিয়োগ। মুখ্যমন্ত্রী চান, ওসব যেমন চলছে চলুক, পাশাপাশি নিয়োগ প্রক্রিয়াও দ্রুত শুরু হোক।”

চাকরিপ্রার্থীরা যখন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Abhishek Bandyopadhyay) সঙ্গে বৈঠক করেছিলেন, তিনিও দ্রুত নিয়োগের ওপর জোর দিয়েছিলেন। এরই মধ্যে স্কুল সার্ভিস কমিশনও নিয়োগ প্রক্রিয়া শুরু করেছে। তাঁরা দুটি বিকল্প প্রস্তাব আদালতের সামনে রেখেছে। এখন আদালত যেভাবে পরবর্তী নির্দেশ দেবে সেভাবেই এগোবে নিয়োগ প্রক্রিয়া বলেন কুণাল। “আমরা আশা করছি পুজোর পরই এ সংক্রান্ত নির্দেশ চলে আসবে।” কুণাল জানান, এখন পুরো বিষয়টি আদালতের হাতে। এসএসসি ও সরকার তাঁদের যা করার করে দিয়েছেন।

এর পাশাপাশি হল ভাড়া করে দুর্গাপুজো করায় রাজ্য বিজেপিকে তীব্র কটাক্ষ করেন কুণাল। এবার তৃতীয় বছরে পড়ল বঙ্গ বিজেপির দুর্গাপুজো। জল্পনা ছিল উদ্বোধন করবেন অমিত শাহ। কিন্তু সেটা যে হচ্ছে না তা আগেই জানা গিয়েছিল এরপর দিল্লির বিভিন্ন নেতাদের পেরিয়ে একসময় নাম শোনা যায় অভিনেতা মিঠুন চক্রবর্তীও। কিন্তু শেষমেশ দেখা গেল এলেন না কেউই। ঢাক বাজিয়ে পুজোর উদ্বোধন করলেন বিজেপি রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। কুণাল বলেন, এ রাজ্যে কেউ কোনওদিন দেখেছেন হল ভাড়া করে পুজো! পুজো তো হয় ক্লাবে, পাড়ায়। আসলে এই বিজেপির নেতারা কোনওদিন কারও সঙ্গে মেলামেশা করেননি। এঁদের কেউ চেনে না। কোনও জনভিত্তি নেই। সবাই তৎকাল নেতা। তাঁরাই এখন হল ভাড়া করে দুর্গাপুজো করে লোক হাসাচ্ছেন।

আরও পড়ুন- কংগ্রেস প্রেসিডেন্ট নির্বাচন: রাজ্যসভার বিরোধী দলনেতার পদ থেকে ইস্তফা মল্লিকার্জুন খাড়গের


 

Previous articleইউক্রেনের চার অঞ্চল রাশিয়ার অন্তর্ভুক্ত! রাষ্ট্রপুঞ্জে ভোটদানে বিরত ভারত
Next articleএবার বুমরাহের চোট নিয়ে মুখ খুললেন রাহুল দ্রাবিড়