প্রতিরোধমূলক আটক ব্যক্তিগত স্বাধীনতার উপর গুরুতর আক্রমণ: সুপ্রিম কোর্ট

“প্রতিরোধমূলক আটক ব্যক্তিগত স্বাধীনতার উপর একটি গুরুতর আক্রমণ”। শুক্রবার এক মামলার রায়ে এমনটাই জানালো দেশের শীর্ষ আদালত(Supreme Court)। সুপ্রিম কোর্টের তরফে জানানো হয়েছে, সংবিধানে দেওয়া সুরক্ষা এবং আটক অনুমোদনকারী আইনগুলি “অবশ্যই কঠোরভাবে মেনে চলতে হবে”। ভারতের প্রধান বিচারপতি ইউ ইউ ললিত, এবং বিচারপতি রবীন্দ্র ভাট এবং জে বি পারদিওয়ালার বেঞ্চ, এনডিপিএস অ্যাক্ট-১৯৮৮-এ অবৈধ পাচার প্রতিরোধের অধীনে একজন ব্যক্তির আটককে বাতিল করার সময় এই কথা বলেছে। জনৈক সুশান্ত কুমার বণিকের দায়ের করা একটি আবেদনের ভিত্তিতে সুপ্রিম কোর্ট এই রায় দিয়েছে।

উল্লেখ্য, ত্রিপুরা সরকার ২০২১ সালের ১২ নভেম্বর আবেদনকারীকে আটক করার আদেশ দেয়। এই এদেশের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে ত্রিপুরা হাইকোর্টে আবেদন জানান সুশান্ত বণিক। চলতি বছরের ১ জুন ত্রিপুরা হাইকোর্ট ঐ আবেদন খারিজ করে দেয়।শুক্রবার সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতির নেতৃত্বাধীন বেঞ্চ রায় ঘোষণা করতে গিয়ে ১৯৮২ সালে ‘অশোক কুমার বনাম দিল্লি প্রশাসন’ মামলায় সর্বোচ্চ আদালতের আদেশের উল্লেখ করে। ওই আদেশ বলেছিল “সমাজের সুরক্ষার জন্য প্রতিরোধমূলক আটকের পরিকল্পনা করা হয়েছে। উদ্দেশ্য ছিল একজন ব্যক্তিকে কিছু করার জন্য শাস্তি দেওয়া নয় বরং সে তা করার আগে বাধা দেওয়া এবং তাকে করতে বাধা দেওয়া”।একথা উল্লেখ করে আদালত বলেছে, “প্রতিরোধমূলক আটকের উপরোক্ত বিষয়ের পরিপ্রেক্ষিতে, আটককারী কর্তৃপক্ষের পাশাপাশি নির্বাহকারী কর্তৃপক্ষের পক্ষ থেকে সতর্ক থাকা এবং তাদের চোখ খোলা রাখা অত্যন্ত অপরিহার্য হয়ে উঠেছে। চোখ বন্ধ করে আটকের আদেশ পাস করা চলবে না।কারণ আটক কর্তৃপক্ষ বা নির্বাহকারী কর্তৃপক্ষের পক্ষ থেকে কোনো উদাসীন মনোভাব প্রতিরোধমূলক পদক্ষেপের উদ্দেশ্যকে ব্যর্থ এবং পুরো প্রক্রিয়াকে হতাশ করবে। ”

Previous articleদেবীর বোধনের দিনে দেশবাসীকে শুভেচ্ছা জানালেন মুখ্যমন্ত্রী
Next articleলখিমপুর গণহত্যার বর্ষপূর্তি: মন্ত্রী ‘টেনি’র অপসারণ ও গ্রেফতারের দাবিতে মোদিকে দাবিপত্র কৃষকদের