ক্লাবের প্রাণপুরুষ প্রয়াত সুব্রত মুখোপাধ্যায়কে স্মরণে রেখে এবছরের পুজো শেষ, কার্নিভালে নেই একডালিয়া

সেই ১৯৭২ থেকে ২০২১। টানা ৬ দশক বালিগঞ্জের একডালিয়া এভারগ্রিন ক্লাবের সভাপতি ছিলেন সুব্রত মুখোপাধ্যায়। একডালিয়া দুর্গাপুজোরও সভাপতি ছিলেন তিনি। একডালিয়ার পুজো আর সুব্রত মুখোপাধ্যায় সমার্থক হয়ে ওঠেছিল

দুর্গাপুজো আছে। আছে সেই সাবেকিয়ানা। খাঁটি বেনারসির সাজে মা। মণ্ডপে আছে রাজস্থানের জয়পুর থেকে আনা সেই পেল্লাই ঝাড়বাতি। আছে নবমীর নবরত্ন ভোগ। তবে এই প্রথম উৎসব আলো করে নেই তিনি। তিনি সুব্রত মুখোপাধ্যায়। একডালিয়া এভারগ্রিন ক্লাবের প্রাণপুরুষ।

আরও পড়ুন: ‘সুব্রতদা অসম্মানটা নিতে পারেননি’ , পুজো উদ্বোধন করে একডালিয়ায় আবেগপ্রবণ মুখ্যমন্ত্রী

এ বছরের মতো পুজো একেবারে শেষপর্যায়ে। কৈলাসের পথে ফিরছেন উমা। এখন বাকি শুধু মেগা কার্নিভাল। গত দু’বছর করোনা মহামারি কাটিয়ে ফের রেড রোডে চেনাছন্দে ফিরতে চলেছে পশ্চিমবঙ্গ সরকার আয়োজিত পুজো কার্নিভাল। তাতে বাড়তি উন্মাদনা জাগিয়েছে ইউনেস্কোর ফেওয়া স্বীকৃতি।

তবে প্রয়াত সুব্রত মুখোপাধ্যায়ের প্রতি সম্মান জানিয়ে এ বছর রেড রোডে কার্নিভালে অংশ না নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে একডালিয়া এভারগ্রিন ক্লাব। একদশীতে বাবুঘাট সংলগ্ন বাজে কদমতলা ঘাটে অনাড়ম্বরভাবে প্রতিমা নিরঞ্জন করলেন ক্লাবের সদস্যরা।

সেই ১৯৭২ থেকে ২০২১। টানা ৬ দশক বালিগঞ্জের একডালিয়া এভারগ্রিন ক্লাবের সভাপতি ছিলেন সুব্রত মুখোপাধ্যায়। একডালিয়া দুর্গাপুজোরও সভাপতি ছিলেন তিনি। একডালিয়ার পুজো আর সুব্রত মুখোপাধ্যায় সমার্থক হয়ে ওঠেছিল। সেই পথচলা এখন অতীত। গতবছর কালীপুজোর দিন প্রয়াত হন সুব্রত মুখোপাধ্যায়। এই প্রথম তাঁকে ছাড়াই হল একডালিয়ার দুর্গাপুজো।

তাঁর চলে যাওয়া বছর ঘোরেনি এখনও। পুজোর প্রাণপুরুষ ‘সুব্রতদা’র মৃত্যুতে কালা অশৌচ পালন করছেন সকলেই। ১ সেপ্টেম্বর পুজোর ইউনেস্কোর স্বীকৃতি উদযাপনে কলকাতায় যে শোভাযাত্রা হয়েছিল, সেই শোভাযাত্রা থেকেও দূরে ছিল একডালিয়া। রেড রোডের কার্নিভালেও থাকবে না তারা। মুখ্যসচিবকে চিঠি দিয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে তা জানিয়ে দিয়েছে একডালিয়া ক্লাব কর্তৃপক্ষ।

Previous articleBreakfast news : ব্রেকফাস্ট নিউজ
Next articleBreakfast Sports: ব্রেকফাস্ট স্পোর্টস