মা ছিলেন সরকারি চাকুরে। কর্মরত অবস্থায় প্রয়াত। নিয়ম মেনে সহানুভূতির ভিত্তিতে চাকরির আবেদন জানিয়ে ছিলেন বিবাহিতা মেয়ে। সেই মামলায় এবার ঐতিহাসিক নির্দেশ সুপ্রিম কোর্টের। দেশের সর্বোচ্চ আদালত স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছে, প্রয়াত মায়ের সরকারি চাকরিতে বিবাহিতা মেয়ের কোনও অধিকার নেই। বিচারপতি এম আর শাহ ও কৃষ্ণ মুরারীর বেঞ্চের পর্যবেক্ষণ, বিবাহিতা মেয়েকে প্রয়াত মায়ের উপর নির্ভরশীল বলা যায় না। ফলে মায়ের মৃত্যুর পর তিনি সহানুভূতির ভিত্তিতে চাকরি পাওয়ার দাবি জানাতে পারেন না।
আরও পড়ুন: প্রতিরোধমূলক আটক ব্যক্তিগত স্বাধীনতার উপর গুরুতর আক্রমণ: সুপ্রিম কোর্ট
ওই বিবাহিতা মহিলার আবেদন এর আগে তাঁর প্রয়াত মা যে সংস্থায় চাকুরি করতেন সেই সংশ্লিষ্ট সংস্থাকে বিবেচনা করে দেখতে বলেছিল মহারাষ্ট্র অ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ ট্রাইব্যুনাল ও বম্বে হাইকোর্ট। সেই নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে সুপ্রিম কোর্টে দায়ের হয় মামলা। তার শুনানিতেই সুপ্রিম কোর্ট বলেছে, ওই কর্মীর মৃত্যুর পর বেশ কয়েক বছর কেটে গিয়েছে। তাই তাঁর বিবাহিতা কন্যা সহানুভূতির ভিত্তিতে চাকরির জন্য যোগ্য নন।
আবেদনকারী মহিলার বাবাও ছিলেন সরকারি সংস্থার কেরানি। কর্মরত অবস্থায় তিনিও মারা যান। সহানুভূতির ভিত্তিতে ওই সংস্থায় চাকরি দেওয়া হয় তাঁর স্ত্রীকে অর্থাৎ, আবেদনকারীর মা-কে। কিন্তু তাঁরও কর্মরত অবস্থাতেই মৃত্যু হয়। এরপর ওই মহিলার বড় মেয়ে একই নিয়মে চাকরির আবেদন জানান। কিন্তু তিনি বিবাহিতা হওয়ায় ২০১১ সালে সেই আর্জি খারিজ হয়ে যায়। এর দু’ বছর পর রাজ্য সরকারের একটি সার্কুলারে বলা হয়, কর্মরত অবস্থায় প্রয়াত সরকারি কর্মীর একজন আইনি উত্তরাধিকারী ও প্রতিনিধিকে সহানুভূতির ভিত্তিতে চাকরি দেওয়া হবে। এর পরিপ্রেক্ষিতে চাকরির আবেদন জানান প্রয়াত ওই মহিলা কর্মীর আর এক বিবাহিত কন্যা। কিন্তু তাও নাকচ হয়ে যায়।
