যোগীরাজ্যে অতিবৃষ্টির জেরে আত্মঘাতী কৃষক

প্রবল বৃষ্টিতে  নষ্ট হয়েছে বিঘার পর বিঘা জমির ফসল। ধারদেনা করে যা চাষ করেছিলেন, সেইসব জলের তলায় পচে নষ্ট হয়েছে। কী করে ঋণের বোঝা মেটাবেন? কী করেই বা সংসার চালাবেন? এই ভেবে শেষমেশ আত্মঘাতী হলেন উত্তরপ্রদেশে বরাবাঁকি জেলার এক কৃষক।

আরও পড়ুন:ভারতীয় দলে অভিষেক হল শাহবাজ আহমেদের

পুলিশ সূত্রে খবর আত্মঘাতী কৃষকের নাম ঘনশ্যাম শর্মা। প্রবল বৃষ্টিতে ফসল নষ্ট হওয়ার পরই বরাবাঁকি জেলার ওই কৃষক আত্মঘাতী হয়েছেন বলে দাবি তাঁর পরিবারের। জানা গিয়েছে, বিভিন্ন জায়গা থেকে ধার করে এ বার ফসল ফলিয়েছিলেন ঘনশ্যাম। মনে করেছিলেন, এ বার ফসল উঠলে সঠিক দাম পাবেন। সেই টাকায় ধার শোধ করবেন। কিন্তু অতিবৃষ্টির জেরে মাঠের ফসল মাঠেই শেষ! শনিবার বিকেলে সেই দৃশ্য দেখে আর সহ্য করতে পারেননি ক্ষুদ্র কৃষক ঘনশ্যাম। রাতে ডাকাডাকিতেও সাড়া না মেলায় দরজা ভাঙা হয়। দেখা যায়, চালের কড়িবরগা থেকে ঝুলছেন ঘনশ্যাম।

ঘনশ্যামের স্ত্রী বলেন, ‘‘সারা দিন বাড়িতেই ছিলেন। সন্ধে নাগাদ বেরিয়েছিলেন। ক্ষেত থেকে ফিরে এসে দরজা বন্ধ করে দিলেন। রাতে দরজা ভেঙে দেখি এই কাণ্ড! বাচ্চাগুলোকে কী ভাবে মানুষ করব জানি না।’’ ঘনশ্যামের ভাই বলেন, ‘‘বৃষ্টিতে দাদার সমস্ত ফসল নষ্ট হয়েছে। সেটা দেখে ফিরে এসে দাদা দুশ্চিন্তায় ছিলেন। অনেক জায়গা থেকে ঋণ করে ফসল করেছিলেন। কী ভাবে ধার শোধ করবেন, তা নিয়ে চিন্তায় ছিলেন। সেই জন্যই এই পদক্ষেপ বলে মনে হয়।’’

জানা গিয়েছে, উত্তরপ্রদেশের অন্তত ৩০টি জেলায় অতিবৃষ্টি হয়েছে। ফলে নষ্ট হয়েছে বিঘার পর বিঘার ফসল। শ্রাবস্তী জেলায় ৩ হাজার শতাংশ বেশি বৃষ্টি হয়েছে। বরাবাঁকি জেলাতেও একই অবস্থা।

Previous articleভারতীয় দলে অভিষেক হল শাহবাজ আহমেদের
Next articleকোজাগরীর আরাধনায় ব্যস্ত ‘লক্ষ্মী কাকিমা’