Tuesday, August 26, 2025

দিল্লি হিংসা: পরিকল্পিতভাবে ছড়ানো হয়েছিল মুসলিম বিরোধীতা, মত ৪ প্রাক্তন বিচারপতির

Date:

২০২০ সালে উত্তর-পূর্ব দিল্লিতে(Delhi) সংঘটিত সাম্প্রদায়িক হিংসা নিয়ে একটি প্রতিবেদনে চার অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি(Ex Justice) এবং ভারতের একজন প্রাক্তন স্বরাষ্ট্র সচিব দাবি, একটি সুচিন্তিত কৌশলের অংশ হিসেবে মুসলিম বিরোধী(Anti Muslim) আখ্যান ছড়িয়ে দেওয়া হয়েছিল, যা পরিস্থিতিকে সহিংসতার দিকে নিয়ে যায়। এতে বলা হয়, ঘৃণাপূর্ণ আখ্যান ও বার্তা প্রচারে মিডিয়া গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে।

১৭১ পৃষ্ঠার এই প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, প্রকাশ্য বক্তৃতায় ঘৃণা বার্তা সরাসরি সহিংসতার সাথে সম্পর্কিত। ঘৃণাত্মক উপাদানের বিস্তার বন্ধ করতে বা যারা এটি ছড়ায় তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য প্রাতিষ্ঠানিক সদিচ্ছার তীব্র অভাব রয়েছে বলে মনে হয়। সোশ্যাল মিডিয়াতে বিপজ্জনক বিষয়বস্তু নিয়ন্ত্রণ বা নিয়ন্ত্রিত করার পাশাপাশি স্বাধীন ধারণাকে স্থান দেওয়া একটি চ্যালেঞ্জ। রিপোর্টে দিল্লি পুলিশের তদন্ত নিয়ে গুরুতর প্রশ্ন তোলা হয়। এই রিপোর্টে দিল্লি পুলিশ ছাড়াও কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক, দিল্লি সরকার এবং মিডিয়ার ভূমিকা নিয়েও কড়া মন্তব্য করা হয়েছে। এতে বলা হয়েছে সিএএ বিরোধী বিক্ষোভের সময় সহিংসতা উস্কে দেওয়া এবং মুসলিম সম্প্রদায়ের বিরুদ্ধে ঘৃণা তৈরি করা বেশ কয়েকটি মূলধারার ইংরেজি এবং হিন্দি নিউজ চ্যানেলের প্রতিবেদনের ফলাফল বলে মনে হচ্ছে।

যে কমিটি রিপোর্ট লিখেছে তাতে ছিলেন সুপ্রিম কোর্টের প্রাক্তন বিচারপতি মদন বি লোকুর, দিল্লি হাইকোর্টের প্রাক্তন প্রধান বিচারপতি এবং ল’কমিশনের প্রাক্তন চেয়ারম্যান এপি শাহ, মাদ্রাজের প্রাক্তন প্রধান বিচারপতি এবং আইন কমিশনের প্রাক্তন চেয়ারম্যান বিচারপতি আরএস সোধি, দিল্লি হাইকোর্টের প্রাক্তন বিচারপতি অঞ্জনা প্রকাশ, পাটনা হাইকোর্টের প্রাক্তন বিচারপতি এবং ভারত সরকারের প্রাক্তন স্বরাষ্ট্র সচিব, জি কে পিল্লাই। কমিটির চেয়ারম্যান ছিলেন বিচারপতি লোকুর। প্রাক্তন বিচারকদের এই কমিটি তাদের রিপোর্টের নাম দিয়েছেন ‘অনিশ্চিত বিচার: উত্তর পূর্ব দিল্লির সহিংসতা ২০২০ সংক্রান্ত একটি নাগরিক কমিটি রিপোর্ট’।

১৭১ পৃষ্ঠার এই প্রতিবেদনটি তিনটি ভাগে বিভক্ত। প্রথম অংশে হিংসার আগে কীভাবে সাম্প্রদায়িক পরিবেশ তৈরি হয়েছিল, হিংসার সময় কী হয়েছিল, পুলিশ ও সরকারের ভূমিকা কেমন ছিল তা খতিয়ে দেখা হয়েছে। দ্বিতীয় অংশটি মূলধারার মিডিয়া এবং সোশ্যাল মিডিয়ার ভূমিকা পরীক্ষা করে, কীভাবে তারা হিংসার ঠিক আগে এবং পরে সমগ্র পরিবেশকে বিপর্যস্ত করেছিল। একই সময়ে, তৃতীয় অংশে, দিল্লি পুলিশের তদন্তকে আইনি দৃষ্টিকোণ থেকে পরীক্ষা করা হয়েছে এবং বিশেষত ইউএপিএ আইন আরোপের বিষয়ে সমীক্ষা করা হয়েছে।

Related articles

নীরবে প্রস্তুতি শামির, দলীপ দিয়েই কামব্যাকের লড়াই

কয়েকদিন আগে এশিয়া কাপের(Asia Cup) দল ঘোষণা হয়েছে। সেখানে সুযোগ পাননি মহম্মদ সামি(Mohammed Shami)। ভারতীয় দলে তিনি ফিরবেন...

রবি ঠাকুরের ‘কঙ্কাল’ থেকে ‘কনকচাপা’: পার্থর নাটক দেখতে ভিড় জিডি বিড়লা সভাঘরে

রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের সাহিত্য ভাণ্ডার অবলম্বনে একের পর এক নাটক তৈরি হয়েছে— শারদোৎসব, রাজা, ডাকঘর, অচলায়তন, ফাল্গুনী, রক্তকরবী আজও...

২৮ অগাস্ট পরীক্ষা পিছিয়ে দেওয়ার আর্জি অধ্যক্ষদের, চিঠি মুখ্যমন্ত্রী -শিক্ষামন্ত্রীকেও

তৃণমূল ছাত্রপরিষদের (টিএমসিপি) প্রতিষ্ঠা দিবসকে ঘিরে ফের সরগরম হয়ে উঠল কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়। আগামী ২৮ অগাস্ট বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীন কলেজগুলিতে...

বদমেজাজি! আমার ছবি এমনিও হলে চলে না, অকপট স্বীকারক্তি অঞ্জন দত্তের 

অভিনেতা–পরিচালক অঞ্জন দত্তকে নিয়ে দীর্ঘদিন ধরেই রয়েছে নানা বিতর্ক। অনেকেই তাঁকে ‘ঠোঁটকাটা’ বা ‘বদমেজাজি’ আখ্যা দেন। তবে এ...
Exit mobile version