মর্মান্তিক! ঋণ আদায় করতে না পেরে চরম পথ বাছলেন ব্যাঙ্ক ম্যানেজার

নিজের সম্মান বাঁচাতে এবং দেনার দায় থেকে বাঁচতে গলায় ফাঁস দিয়ে চরম পথ বেছে নিলেন তিনি। জানা গিয়েছে, মৃ*ত ব্যাঙ্ক ম্যানেজারের নাম ভিসাপ্রাগাদা শ্রীকান্ত।

ঋণখেলাপীদের (Debtor) থেকে দ্রুত ঋণ (Loan) আদায় করতে হবে। ক্রমশ ঋণ আদায়ের চাপ বাড়ছিল ব্যাঙ্ক ম্যানেজারের (Bank Manager) উপর। উপায় খুঁজে না পেয়ে নিজের নামে ঋণ নিয়ে সেই টাকায় পরিস্থিতি সামাল দিয়েছিলেন। কিন্তু তাঁর এমন সিদ্ধান্তই যে তাঁর জীবনে চরম বিপর্যয় ডেকে আনবে তা হয়তো ঘুণাক্ষরেও টের পাননি তিনি। যত দিন যেতে লাগল ততই আর্থিক দেনায় জর্জরিত হয়ে পড়ছিলেন অন্ধ্রপ্রদেশের(Andhra Pradesh) ওই ব্যাঙ্ক ম্যানেজার। শেষ পর্যন্ত নিজের সম্মান বাঁচাতে এবং দেনার দায় থেকে বাঁচতে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যার (Suicide) পথ বেছে নিলেন তিনি। জানা গিয়েছে, মৃ*ত ব্যাঙ্ক ম্যানেজারের নাম ভিসাপ্রাগাদা শ্রীকান্ত।

অন্ধ্রপ্রদেশের কাকিনাড়া জেলার পিথাপুরমের বাসিন্দা শ্রীকান্ত ইউকো ব্যাংকের (Uco Bank) ইয়ানাম শাখার ম্যানেজার। আর তাঁর শাখা থেকেই ঋণ নিয়ে পরিশোধ করতে পারছিলেন না অনেকেই। যার চাপ এসে পড়ে ম্যানেজারেরই ঘাড়ে। উপরমহল থেকে ক্রমাগত চাপ আসতে থাকে। যার জেরে হতাশাগ্রস্ত (Depressed) হয়ে পড়েন ওই ব্যাঙ্ক ম্যানেজার। বহু চেষ্টা করেও ঋণখেলাপীদের থেকে কোনও টাকাই আদায় করতে পারেননি তিনি। আর তার জেরেই এমন চরম পথ বেছে নিলেন অন্ধ্রপ্রদেশের বাসিন্দা ওই ব্যাঙ্ক ম্যানেজার।

তবে দিনদিন বাড়তে থাকা সুদের হারের (Interest Rates) ধাক্কায় ক্রমশই পরিস্থিতি হাতের নাগালের বাইরে চলে যাচ্ছিল ম্যানেজারের। সংসারও চলছিল টেনেটুনে। অনেক চেষ্টা করেও তিনি বিষয়টিকে বাগে আনতে পারছিলেন না। শেষ পর্যন্ত ঋণ আদায় করতে না পারার চিন্তা ও আর্থিক দুরবস্থার চাপে অবসাদে ভুগতে শুরু করেন শ্রীকান্ত। পরিবার সূত্রে খবর, ইদানিং কারও সঙ্গে কথা বলতেন না। একা থাকতে চাইতেন। এরপরই বৃহস্পতিবার রাতে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেন ওই ব্যাংক ম্যানেজার। তাঁর স্ত্রী ও দুই সন্তান রয়েছে। ঘটনার তদন্তে (Investigation) নেমেছে পুলিশ। এর পিছনে অন্য কোনও কারণ আছে কী না তাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে।

Previous articleবউবাজারে বন্ধ হল মেট্রোর কাজ, ডিসেম্বরের মধ্যেই চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত
Next articleনির্বাচনের আগে ফের আপের বিরুদ্ধে তৎপর ইডি, ২৫ টি জায়গায় শুরু হল তল্লাশি অভিযান