নির্বাচন কমিশনে মানিকের দেওয়া সম্পত্তির হিসেব ‘সঠিক নয়’, দাবি ইডির

ইডি-র অভিযোগ, কমিশনে ভুল তথ্য দিয়েছেন মানিক।

মানিক ভট্টাচার্য শুধুমাত্র প্রাক্তন পর্ষদ সভাপতিই নন, তিনি নদিয়ার পলাশীপাড়ার বিধায়ক।নিয়ম মেনে নির্বাচন কমিশনে সম্পত্তির হিসেব দিতে হয়েছে তাঁকে। কিন্তু এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটের গোয়েন্দাদের হাতে যে তথ্য এসেছে, তাতে তাদের দাবি, কমিশনে দেওয়া সেই হিসেব সঠিক নয়। ইডি-র দাবি, কমিশনে নিজের সম্পত্তি ২ কোটি টাকার কিছু বেশি বলে উল্লেখ করলেও, আসলে মানিকের সম্পত্তি তার থেকে অনেক বেশি। আর সে কথা আদালতে কেস ডায়েরিতেও জানিয়েছে ইডি। ইডি-র অভিযোগ, কমিশনে ভুল তথ্য দিয়েছেন মানিক।

নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় মানিক ভট্টাচার্যকে গ্রেফতার করেছে ইডি। সেই মামলায় আদালতে ইডি যে তথ্য পেশ করেছে তাতে উল্লেখ করা হয়েছে, মানিকের ছেলের সংস্থার অ্যাকাউন্টেই রয়েছে ২ কোটি ৬৪ লক্ষ টাকা। আর নির্বাচন কমিশনে মানিক যে হলফনামা দিয়েছিলেন, তাতে উল্লেখ করা হয়েছে, মানিকের মোট সম্পত্তি ২ কোটি ৩ লক্ষ ৮৯ হাজার টাকার।

ইডির দাবি, হলফনামায় নিজেকে পেনশনভোগী বলেই উল্লেখ করেছেন মানিক। সেইসঙ্গে পর্ষদ সভাপতি হিসেবে পেতেন সাম্মানিক। এ ছাড়া তাঁর একটি সিনিয়র সিটিজেন স্কিম করা ছিল, যা থেকে টাকা পেতেন বলেও জানিয়েছেন। নির্বাচন কমিশনের হলফনামায় মানিক জানিয়েছেন, যাদবপুরে তাঁর দুটি অ্যাপার্টমেন্ট রয়েছে। রয়েছে ব্যাঙ্কে কিছু জমানো টাকা।

ইডি আদালতে ইতিমধ্যেই জানিয়েছে যে, অনেক তথ্য গোপন করছেন মানিক ভট্টাচার্য। জেরায় সব স্বীকার করছেন না। উল্লেখ, মানিক ভট্টাচার্য একদিকে যেমন বাণিজ্যের ছাত্র, তেমনই অন্যদিকে আইনেও পিএইচডি ডিগ্রি রয়েছে তাঁর। তাই টাকার হিসেব যেমন তিনি ভালো বোঝেন, তেমনই বোঝেন আইনের মারপ্যাঁচও।

Previous articleবিশ্বের সেরা দুই শতাংশ বিজ্ঞানীর মধ্যে ৪২ জনই যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের  
Next articleসুদীপ-তাপস দ্বৈরথ ক্রমেই বাড়ছে, এবার সাংসদকে ‘সাদা হাতি’ কটাক্ষ তৃণমূল বিধায়কের