ওরা রাজনীতিতে ধর্মটাকে বিক্রি করছে, মুর্শিদাবাদে বিজেপিকে তোপ কুণালের

আপনি জিজ্ঞেস করুন পেট্রোলের দাম বাড়ছে কেন ? বলবে জয় শ্রীরাম। ডিজেলের দাম বাড়ছে কেন? বলবে জয় শ্রীরাম। গ্যাসের দাম বাড়ছে কেন ? বলবে জয় শ্রীরাম।

ওরা রাজনীতিতে ধর্মটাকে বিক্রি করছে।মুর্শিদাবাদের বেলডাঙ্গায় তৃণমূল কংগ্রেসের বিজয়া সম্মিলনীতে এভাবেই বিজেপির বিরুদ্ধে তোপ দাগলেন  তৃণমূল মুখপাত্র কুণাল ঘোষ।শুক্রবার তিনি বলেন, মুখ্যমন্ত্রী পূজো কমিটিগুলোকে অনুদান দিয়েছেন যাতে  ছোট ব্যবসায়ীরা আরও বেশি আর্থিকভাবে লাভবান হন।পুজোর সঙ্গে যে অর্থনীতি জড়িয়ে আছে সেই অর্থনীতি যাতে আরও বেশি করে ছড়িয়ে পড়ে।

শুক্রবার কুণাল বলেন, বিধানসভা নির্বাচনের আগে ডেইলি প্যাসেঞ্জারি করে বলেছে আবকি বার দুশো পার। কেন বলছিল এখন মানুষ হাড়ে হাড়ে বুঝছে। আসলে ওটা পেট্রোল-ডিজেলের দাম বাড়ানোর উদ্দেশে বলেছিল। আপনি জিজ্ঞেস করুন পেট্রোলের দাম বাড়ছে কেন ? বলবে জয় শ্রীরাম। ডিজেলের দাম বাড়ছে কেন? বলবে জয় শ্রীরাম। গ্যাসের দাম বাড়ছে কেন ? বলবে জয় শ্রীরাম।

আমরা ওদের বলি, তোমার ঠাকুরকে তুমি বাড়িতে রাখো, এটা হচ্ছে বেঁচে থাকার লড়াই। বেইমান, গাদ্দাররা এখন বিজেপিতে গিয়ে দোল খাচ্ছে। বিজেপির সঙ্গে লড়তে পারে একমাত্র তৃণমূল কংগ্রেস।

২০২১-এ বাংলা দেখিয়ে দিয়েছে এখানে যত বড় নেতাই আসুক না কেন, বাংলার মাটি দুর্জয় ঘাঁটি। বাংলার মানুষ বিজেপির মুখে ঝামা ঘষে দিয়েছে। যদি বিজেপির সঙ্গে চোখে চোখ রেখে লড়তে হয়, তাহলে বিজেপিকে একটি ভোটও নয়। ভোট দিন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে ভোট দিন তৃণমূলকে। এটা বাঁচার লড়াই, এটা বাড়িতে পুজোআচ্চা করা ধর্মের লড়াই নয়। আমাদের নেত্রী একটাই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ,সেনাপতি অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়।

আত্ম সমালোচনার সুরে কুণাল বলেন, আমাদের কী ভুল নেই ? আমাদের ভুল আছে। তবে ৯৯.৫ শতাংশ আমরা সঠিক। দশমিক 5 শতাংশ ভুল। এত ঠিক এর মধ্যে যারা ভুল করেছে, অন্যায় করেছে, সেই দশমিক পাঁচ শতাংশ ভুল দিয়ে ৯৯.৫% আড়াল করতে দেবো না। একজন অন্যায় করেছে বলে গোটা তৃণমূলকে কেউ কালিমালিপ্ত করবে এটা বাংলার মানুষ হতে দেবে না। ওরা ধর্মের নাম নিয়ে ভেদাভেদ করার চেষ্টা করবে।

বহরমপুর টাউনে কুণাল বলেন, কয়েকটা প্রজন্ম রাজ্যের বাইরে চলে গেল সিপিএমের জন্য। তৃণমূল কংগ্রেস মানুষকে সঙ্গে নিয়ে মাথা উঁচু করে চলবে। তিনি বলেন, মমতাদি কতগুলো পচা আলু, টমেটো জানলা দিয়ে ফেলে দিয়েছেন। কী করে জানবেন যে জানলার ওপারে বাটি হাত অমিত শাহ, দিলীপ ঘোষ বসে আছেন পচা আলু শুভেন্দুকে নিচ্ছেন। কেউ দলবদল করতেই পারে কিন্তু তাই বলে যে দলটা থেকে তাদের সব পাওয়া সেই বেইমান -গাদ্দার -মিরজাফর শুভেন্দু অধিকারীকে কোনওদিন ক্ষমা করবেন না। দলবদল করে সব পেয়ে বিজেপির কোলে বসে দোল খাচ্ছে।

কুণাল বলেন, রাম রাজত্ব যদি মহিলাদের কাছে এতই সুরক্ষিত তাহলে সীতাকে কেন পাতাল প্রবেশ করতে হয়েছিল। তিনি আহ্বান করে বলেন, চলুন সবাই মিলে লড়াই করি। বিজেপি- সিপিএম -কংগ্রেসের পরিবারের সব ভোট তৃণমূলের ঝুলিতে আনতে হবে । পরিষেবা দিয়ে , কাজ দিয়ে, উন্নয়নের হিসাব দিয়ে প্রত্যেকটা ভোট তুলে আনতে হবে।

 

Previous articleমা*দক সহ গ্রেফতার বিজেপি যুব মোর্চার সভাপতি, নিন্দায় সরব তৃণমূল
Next articleশেওড়াফুলিতে নাবালিকার মৃ*ত্যু তদন্তে শিশু সুরক্ষা কমিশন, বিক্ষোভের মুখে পড়লেন প্রিয়াঙ্কা