মানুষের ভালবাসা তৃণমূলের প্রতি: কাঁথি-সহ ৩ জায়গায় দলের বিজয়া সম্মিলনীতে জনজোয়ার

মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে রাজ্যের প্রতিটি কোণে, জেলায়, ব্লকে জনসংযোগে চলছে তৃণমূলের বিজয়া সম্মিলনী। শনিবার, কাঁথি-সহ তিন জায়গায় সভা করেন তৃণমূলের (TMC) রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ (Kunal Ghosh)। বিভিন্ন সভায় তাঁর সঙ্গে ছিলেন রাজ্যের কারামন্ত্রী অখিল গিরি (Akhil Giri), কাঁথি পুরসভার ভাইস চেয়ারম্যান সুপ্রকাশ গিরি-সহ তৃণমূল নেতৃত্বরা। আর সব সভাতেই উপচে পড়া ভিড়। দেখে বোঝার উপায় নেই, যে সেটা বিজয়া সম্মিলনী। মনে হচ্ছিল যেন জন সমাবেশ।

তৃণমূলের বিজয়া সম্মিলনী কার্যত বিরাট জনসভায় পরিণত হল রামনগর, ভগবানপুর বা কাঁথির মারিশদায়। যত লোক মঞ্চের সামনে-মাঠে, তার চেয়ে বেশি মানুষ রাস্তায়। বারবার স্লোগান উঠল ‘খেলা হবে’। এদিন, পূর্ব মেদিনীপুরের তিন বিজয়া সম্মিলনীর অনুষ্ঠান ঘিরে মানুষের এই উন্মাদনা দেখে তৃণমূল মুখপাত্র কুণাল ঘোষের মতে, মানুষের ভালবাসা যে তৃণমূলের সঙ্গেই আছে তা আরও একবার প্রমাণ হল। ভগবানপুরের মঞ্চ থেকে তিনি বলেন, ‘‘এখানে বিজয়া সম্মিলনীর অনুষ্ঠানে যত মানুষ এসেছেন, কলকাতা হলে ব্রিগেড ভরে যেত। কোনও কারণে না আসতে পারলে মানুষের এই উন্মাদনা মিস হয়ে যেত।’’ কুণালের মতে, ‘‘মানুষ যেভাবে তৃণমূলকে ভালবাসেন, তাতে পঞ্চায়েত নির্বাচনে বিরেধীশূন্যর বোর্ড গড়া সময়ের অপেক্ষা।’’

রাজ্য সরকারের উন্নয়ন প্রকল্পের খতিয়ান তুলে ধরে কেন্দ্রের বিজেপি সরকারকে তীব্র আক্রমণ করেন কুণাল। বলেন, ‘‘বিজেপির প্রতি মানুষ বিতশ্রদ্ধ।’’

অধিকারী পরিবারকে ‘কোম্পানি’ বলে টিপ্পনি করে তৃণমূল মুখপাত্র বলেন, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় পচা আলুটাকে জানালা দিয়ে ছুড়ে ফেলে দিয়েছেন। আর বিজেপি সেটাকে নিয়েছে। অধিকারী পরিবারের প্রতি তীব্র কটাক্ষ করে কুণাল বলেন, ২০২০ পর্যন্ত সবরকম দায়িত্ব, সব রকম ক্ষমতা ভোগ করে সিবিআই, ইডি থেকে বাঁচতে বিজেপিতে গিয়েছেন অধিকারীরা।

‘‘লোভের পাহাড়ের চূড়ায় বসে থাকেন। নিজেরটা ছাড়া কিছুই বোঝেন না। তাই কেন্দ্রীয় মন্ত্রী হওয়ার জন্য নিজের বাবার বিরুদ্ধে ঘোরতর আপত্তি জানিয়েছিলেন। তিনি আবার রাজ্যের ভাল করবেন?’’- তুলোধনা করেন কুণাল। আগামী পঞ্চায়েত ভোটের প্রসঙ্গে দলীয় কর্মীদের প্রতিটি বাড়িতে গিয়ে রাজ্য সরকারের উন্নয়নমূলক পরিষেবা পৌঁছে দেওয়ার পরামর্শ এদিনও দেন তৃণমূল মুখপাত্র। প্রয়োজনে বিরোধী বিজেপি সর্মথকের বাড়িতে বার বার যাওয়ার কথাও বলেন তিনি। বিজয়া সম্মিলনী সভায় কার্যত ঠাঁই নাই, ঠাঁই নাই পরিস্থিতি। তৃণমূলের পাশেই যে আছে- তা এদিনের সভায় উপস্থিত থেকে বুঝিয়ে দিল রামনগর, কাঁথি, ভগবানপুর ২ ব্লক।

আরও পড়ুন- অসাধ্যসাধন কোচবিহারের চিকিৎসকদের! মৃ*ত মায়ের গর্ভে জন্মাল ফুটফুটে সন্তান

Previous articleঅসাধ্যসাধন কোচবিহারের চিকিৎসকদের! মৃ*ত মায়ের গর্ভে জন্মাল ফুটফুটে সন্তান
Next articleটি-২০ বিশ্বকাপের প্রস্তুতি শুরু ভারতের, ব্রিসবেন পৌঁছাল দল