খাড়গে নাকি থারুর? ২২ বছর পর আজ কংগ্রেস সভাপতি নির্বাচন, লড়াইয়ে নেই গান্ধী পরিবার

মল্লিকার্জুন খাড়গে কিন্তু গান্ধী পরিবার ঘনিষ্ঠ নেতা। তিনি সভাপতি নির্বাচিত হওয়া মানে ঘুরিয়ে সেই সোনিয়া-রাহুলের হাতেই কংগ্রেসের ব্যাটন, তা বলার অপেক্ষা রাখে না

প্রায় আড়াই দশক পর সর্বভারতীয় কংগ্রেসের সভাপতি পদে থাকছেন না গান্ধী পরিবারের কেউ। দলের সর্বোচ্চ পদে দলীয় সংবিধান মেনে গণতান্ত্রিক ভাবে সভাপতি নির্বাচন হচ্ছে ২২ বছর পর। এর আগে শেষবার এই নির্বাচন হয়েছিল ২০০০ সালে। সোনিয়া গান্ধী বনাম জিতেন্দ্র প্রসাদ লড়াইয়ে শেষ হাসি হেসেছিলেন সোনিয়া-ই। তারও আগে গান্ধী পরিবারের বাইরে ১৯৯৬ সালে সীতারাম কেশরী সভাপতি নির্বাচিত হয়েছিলেন বটে, তবে দু’বছর পর তাঁকে সরিয়ে দেয় কংগ্রেস ওয়ার্কিং কমিটি। দায়িত্ব দেওয়া হয় সোনিয়া গান্ধীকেই। সেই থেকে সর্বভারতীয় কংগ্রেসের ব্যাটন রয়েছে গান্ধী পরিবারের হাতেই।

আরও পড়ুন: কংগ্রেস প্রেসিডেন্ট নির্বাচন: রাজ্যসভার বিরোধী দলনেতার পদ থেকে ইস্তফা মল্লিকার্জুন খাড়গের

প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি থেকে শুরু করে গোটা বিজেপি শিবির কংগ্রেসে যখন পরিবারতন্ত্রের অভিযোগ তুলে আসছেন, ঠিক সেই জায়গায় দাঁড়িয়ে খুব তাৎপর্যপূর্ণভাবে এবার গান্ধী পরিবার থেকে সভাপতি নির্বাচনে থাকছেন না কেউ। পরিবারতন্ত্রের তকমা মুছতে কৌশলগত কারণে খাতায়-কলমে তাই কংগ্রেসের অন্দরে গান্ধী রাজের পতন হতে চলেছে আজ।

এদিকে মল্লিকার্জুন খাড়গে? নাকি শশী থারুর? আজ, সোমবার কংগ্রেস সভাপতি পদের নির্বাচনে গোপন ব্যালটে কার নামের পাশে কতগুলি ‘টিক’ মার্ক পড়বে? জাতীয় রাজনীতিতে এই মুহূর্তে সবচেয়ে বড় কৌতূহল। ফল জানা যাবে ১৯ অক্টোবর। ততদিন পর্যন্ত কংগ্রেস সভানেত্রীর পদ থেকে সরছেন সোনিয়া। মনে রাখা দরকার, মল্লিকার্জুন খাড়গে কিন্তু গান্ধী পরিবার ঘনিষ্ঠ নেতা। তিনি সভাপতি নির্বাচিত হওয়া মানে ঘুরিয়ে সেই সোনিয়া-রাহুলের হাতেই কংগ্রেসের ব্যাটন, তা বলার অপেক্ষা রাখে না।

অন্যদিকে, কংগ্রেসের অন্দরে গণতন্ত্র-এর পক্ষে সওয়াল করা শশী থারুর অভিযোগ করেছেন, কংগ্রেসের সভাপতি নির্বাচনে পক্ষপাতিত্ব হচ্ছে। অর্থাৎ, অস্বস্তির আবহেই আজ ভোটে যাচ্ছে কংগ্রেস। সোনিয়া-প্রিয়াঙ্কা, মনমোহন সিং সহ ৫০ জন ভোট দেবেন ২৪ আকবর রোড দলের সদর দফতরে। প্রদেশ কংগ্রেসের ডেলিগেটরা নিজেদের রাজ্যেই ভোট দেবেন। রাহুল গান্ধী ব্যস্ত ভারত জোড়ো যাত্রায়! তাই কর্ণাটকের বেল্লারিতে তাঁর জন্য ব্যবস্থা হয়েছে বিশেষ বুথের।

Previous articleBreakfast news : ব্রেকফাস্ট নিউজ
Next articleBreakfast Sports: ব্রেকফাস্ট স্পোর্টস