‘বিষয়টি সম্পূর্ণ প্রশাসনিক’, টেট চাকরিপ্রার্থীদের হটানো প্রসঙ্গে সাফ জানালেন কুণাল

বৃহস্পতিবার মধ্যরাতে সল্টলেক করুণাময়ীতে আন্দোলনকারীদের হঠিয়ে দেওয়ার ঘটনায় উত্তপ্ত রাজ্য রাজনীতি। এর প্রতিবাদে সরব হয়েছে বিরোধীরা। এ প্রসঙ্গে তৃণমূল মুখপাত্র কুণাল ঘোষ বলেন, “বিষয়টি সম্পূর্ণ প্রশাসনিক। আদালতের নির্দেশ ১৪৪ ধারা এবং বিষয়টি পুলিশ প্রশাসনের আওতাভুক্ত। ফলে এক্ষেত্রে আমাদের তরফে কোনও মন্তব্য নেই। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বাধীন সরকার পুরোপুরি গণতান্ত্রিক। এই সরকারের আমলে বহু শূন্যপদ তৈরি হচ্ছে, বহু নিয়োগ হচ্ছে। কেউ কোথাও কোনও ভুল করে থাকলে তা সংশোধন করা হচ্ছে। অন্যায় করলে শাস্তি হবে। মুখ্যমন্ত্রী নির্দেশ দিয়েছেন নিয়োগে যাতে দেরি না হয়।”

আরও পড়ুন:মধ্যরাতে তুলকালাম! ২০১৪-র টেট প্রার্থীদের অনশন-আন্দোলন ভেঙে দিল পুলিশ!

পাশাপাশি বিরোধীদের তোপ দেগে তৃণমূল মুখপাত্র বলেন, “একটা অংশ মামলার পর মামলা করে নিয়োগ আটকে রাজনীতি করতে চাইছে। ময়দান চত্বরে দীর্ঘদিন ধরে ধরনা চলছে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উত্থান আন্দোলনের মাধ্যমে। যা ন্যায্য সেই আন্দোলন তিনিও ভালোবাসেন। কিন্ত, যেখানে কোনও আইনি বিষয় রয়েছে বা প্রশাসন কোনও পদক্ষেপ করলে সেই নিয়ে রাজনীতি করবে না তৃণমূল কংগ্রেস।” অন্যান্য রাজ্যের প্রসঙ্গ টেনে কুণাল ঘোষ বলেন, “সিপিএম এবং বিজেপি নেতারা কথা বলছেন। কিন্তু, তাদের কি কোনও নৈতিক অধিকার রয়েছে! প্রতিবেশী রাজ্য ত্রিপুরা, সেখানে শিক্ষক নিয়োগ কেলেঙ্কারিতে ১০ হাজারের বেশি শিক্ষকের চাকরি চলে গিয়েছে। সেখানে দায়ী হচ্ছে সিপিএম-বিজেপি। সেখানে শিক্ষকরা প্রতিবাদ করলে তাঁদের বিরুদ্ধে দমননীতি নেওয়া হয়েছে। তারাই এখানে নাটক করছেন। এটা গণতান্ত্রিক সরকার। এখানে ওসব কিছু হয় না। কিছু কর্মপ্রার্থীকে বিভ্রান্ত করে সস্তার রাজনীতি করছেন বিরোধীরা।”

সেইসঙ্গে কুণাল আরও বলেন,  ‘‘কেন্দ্রীয় সরকারের দফতরের সামনে এখন চাকরি পরীক্ষায় পাশ করেও কাজ না পাওয়ারা যদি লাগাতার ধর্না শুরু করেন? রেল, ব্যাঙ্ক-সহ বিভিন্ন পরীক্ষায় পাশ করেও চাকরি পাননি অনেকে। এখনই চাকরি দাও বলে তারা যদি কেন্দ্রীয় সরকারের দফতরের সামনে বসে পড়েন। সামলাতে পারবেন তো? বছরে দু’কোটি চাকরির ভাঁওতা দিয়েছিলেন। এখন চাকরি কোথায় গেল?’’

Previous articleবিয়েতে ‘না’ প্রেমিকের, হেমতাবাদ থানায় আত্ম*ঘাতী নাবালিকা
Next articleআজ সোনা রুপোর দাম কত? জেনে নিন এক ঝলকে