মধ্যরাতে তুলকালাম! ২০১৪-র টেট প্রার্থীদের অনশন-আন্দোলন ভেঙে দিল পুলিশ!

পুলিশের তরফে অবস্থান-বিক্ষোভ তুলে নেওয়ার অনুরোধ করা হয়েছিল আগেই। তাতেও কাজ না হওয়ায় আন্দোলনকারী ২০১৪ সালের টেট উত্তীর্ণদের ধাপে ধাপে আটক করল বিধাননগর থানার পুলিশ।

মধ্যরাতে করুণাময়ীতে তুলকালাম! ২০১৪-র টেট প্রার্থীদের অনশন-আন্দোলন তুলে দিল পুলিশ! করুণাময়ী খালি করল পুলিশ। বলা যেতে পারে , মধ্যরাতে কুরুক্ষেত্র করুণাময়ী, চাকরিপ্রার্থীদের আন্দোলন তুলতে বাধ্য করল পুলিশ ।

রাত যত বাড়ছিল, করুণাময়ীতে ততই বাড়ছিল উত্তেজনা। শেষমেশ রাস্তা খালি করতে মধ্যরাতে অভিযানে নামে পুলিশ। কার্যত পাঁজাকোলা করে চাকরিপ্রার্থীদের বাসে এবং প্রিজন ভ্যানে তুলতে শুরু করেন বিধাননগর পুলিশ কমিশনারেটের পুলিশকর্তারা। তিনটি বাসে করে আন্দোলনকারীদের আটক করে নিয়ে যাওয়া হয়। সেই সময় হাউ হাউ করে কেঁদে ফেলেন অনেকেই। কেউ কেউ অসুস্থ হয়ে পড়েন, কেউ আবার রাগে ফুঁসছিলেন। কিন্তু কোনও প্রতিবাদই পুলিশের সামনে ধোপে টেকেনি।

আন্দোলনকারীদের দাবি, পুলিশের তরফে তাঁদের আটক করা হলেও, ফের ছাড়া পেলেই তারা আন্দোলনে বসবেন। এ বারে আন্দোলনহ বে আরও ব্যাপক। কারণ নিজেদের অবস্থান থেকে কোনওভাবেই সরতে তাঁরা নারাজ।
পুলিশের তরফে অবস্থান-বিক্ষোভ তুলে নেওয়ার অনুরোধ করা হয়েছিল আগেই। তাতেও কাজ না হওয়ায় আন্দোলনকারী ২০১৪ সালের টেট উত্তীর্ণদের ধাপে ধাপে আটক করল বিধাননগর থানার পুলিশ। আটক করার আগে তাঁদের ফের আন্দোলন তুলে নেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল। তার পরই এই পদক্ষেপ। আন্দোলনকারীদের ধাপে ধাপে আটক করে বাসে তোলা হয়। এর মধ্যেই কয়েকজন অসুস্থ হয়ে পরলে তাঁদের অ্যাম্বুলেন্সে তুলে চিকিৎসার জন্য নিয়ে যাওয়া হয়েছে। ঘটনাস্থলে র‌্যাফ এবং বিশাল পুলিশ বাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে।

কলকাতা হাইকোর্ট আন্দোলনস্থলে পুলিশ মোতায়োন করার নির্দেশ দিয়েছিল। সেই নির্দেশ মতো বৃহস্পতিবার সল্টলেকের করুণাময়ী চত্বরে বিশাল পুলিশ বাহিনী মোতায়েন করা হয়। এলাকায় জারি করা হয় ১৪৪ ধারা। পুলিশ প্রথমে আন্দোলনকারীদের সেখান থেকে উঠে যাওয়ার অনুরোধ করে। পুলিশের তরফ আইনি পদক্ষেপের হুঁশিয়ারি দেওয়া হয়েছিল বলে আন্দোলনকারীদের অভিযোগ ছিল। এত কিছু সত্ত্বেও নিজেদের অবস্থানে অনড় ছিলেন ২০১৪ সালের টেট উত্তীর্ণ আন্দোলনকারীরা। তাঁরা নিয়োগপত্র হাতে না পাওয়া পর্যন্ত অনশন চালিয়ে যাবেন বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছিলেন।

বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ১২টা নাগাদ শেষ পর্যন্ত করুণাময়ীতে চলা আন্দোলন ভেঙে দিল পুলিশ। ঘটনাস্থালে উপস্থিত রাজনৈতিক নেতা-কর্মীরা এবং আন্দোলনকারীরা মিলে প্রথমে মানববন্ধন তৈরি করে পুলিশকে বাধা দিতে চাইলেও তাতে কোনও কাজ হয়নি। আটক করার আগে বিধাননগর পুলিশের তরফ থেকে মাইকিং করে আন্দোলনকারীদের উঠে যেতে বলা হয়। অনুরোধে কাজ না হওয়ায় উচ্চপদস্থ আধিকারিকের নির্দেশে পদক্ষেপ করতে বাধ্য হয় পুলিশ বাহিনী।

Previous articleJob Seekers Agitation: আদালতের নির্দেশ অমান্য করে অনশনে অনড় চাকরিপ্রার্থীরা
Next articleBreakfast Sports: ব্রেকফাস্ট স্পোর্টস