Chinsura: ২০০ বছরের প্রাচীন ষন্ডেশ্বরতলার সোম পরিবারের করুণাময়ী কালী আরাধনা

তার সামনেই ছিল একটি শ্বেতপাথর আর একটি কষ্টিপাথর। এই কষ্টিপাথর থেকে মূর্তি নির্মাণ করা হয়েছিল। দাঁইহাট থেকে দেবী মূর্তি গড়ার জন্য এসেছিলেন রূপকার। আনুমানিক ১২১৫ বঙ্গাব্দ নাগাদ মূর্তি তৈরির কাজ শেষ হয়।

অন্ধকার পেরিয়ে আলোর উৎসবে (Festival of Light) শামিল হতে চলেছে গোটা বঙ্গ (West Bengal)। বারোয়ারি থেকে বনেদি বাড়ি কালী পুজোতেও (Kali Puja) শেষ মুহূর্তের ব্যস্ততা আর প্রস্তুতি সর্বত্র চোখে পড়ার মতো। প্রায় ২০০ বছরের পুরনো হুগলি (Hooghly) জেলার চুঁচুড়ার ষন্ডেশ্বরতলার সোম পরিবারের (Som Family) কালি আরাধনা। করোনা আবহে সেভাবে পুজো না হলেও, এই বছর পরিবারের সদস্যরা ব্যস্ত মাতৃ আরাধনার জোগাড়ে।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায় সোম পরিবারের বংশধর মহেশচন্দ্র সোম (Mahesh Chandra Som) শ্যামবাবুর ঘাটে করুণাময়ী কালীমূর্তির প্রতিষ্ঠা করেন। জনশ্রুতি অনুসারে মহেশচন্দ্রের বাড়ীতে রাজমিস্ত্রি কাজ করার সময় মাটির তলার বন্ধ দরজা খুলে এক কঙ্কালসার সন্ন্যাসীকে দেখতে পান। তার সামনেই ছিল একটি শ্বেতপাথর আর একটি কষ্টিপাথর। এই কষ্টিপাথর থেকে মূর্তি নির্মাণ করা হয়েছিল। দাঁইহাট থেকে দেবী মূর্তি গড়ার জন্য এসেছিলেন রূপকার। আনুমানিক ১২১৫ বঙ্গাব্দ নাগাদ মূর্তি তৈরির কাজ শেষ হয়। সেই সময় মহেশচন্দ্র নিজের ওজনের সমান রুপো দিয়ে শ্বেতপাথর সংগ্রহ করেছিলেন বলে স্থানীয় সূত্রে জানা যায়। তৎকালীন সময়ে শ্যামবাবুর ঘাটের গঙ্গার ধার ছিল বন জঙ্গলে ঘেরা। আর মায়ের প্রতিষ্ঠান সেখানেই। দেখতে দেখতে কেটে গেছে প্রায় ২১৫ বছর, সেবাইত সহ মন্দির পরিচালন সমিতির কর্তারা প্রত্যেক বছর দীপাবলিতে (Diwali) এই পুজো আরাধনার বিশেষ ব্যবস্থা করেন। এ বছরেও নব উদ্যমে চলছে প্রস্তুতি।

 

Previous articleবন্ধুত্বের বিরল নজির! শেষ যাত্রায় হনুমানের কীর্তি দেখে চোখে জল নেটাগরিকদের
Next articleভারত-পাক মহারণে কি ভিলেন বৃষ্টি ? কী বলছে অস্ট্রেলিয়ার আবহাওয়া দফতর?