টাটারা সিঙ্গুর ছেড়ে যাওয়ার জন্য দায়ী তৎকালীন বামফ্রন্ট সরকার, বলছে সিঙ্গুরবাসী

সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ অনুযায়ী জমি অধিগ্রহণের কোনও নিয়মই মানা হয়নি বাম আমলে। সিপিএমের হঠকারিতার জন্যই সিঙ্গুর থেকে বিদায় নিতে হয়েছে টাটাদের। সিপিএমের ভ্রান্ত নীতির কারণেই সিঙ্গুরে শিল্প গড়ে ওঠেনি।

সুমন করাতি, হুগলি

সিঙ্গুর, জমি আন্দোলনের অন্যতম পীঠস্থান। টাটাকে ডেকে এনে উর্বর এই কৃষি জমির সর্বনাশের পিছনে দায়ী সিপিএম। সম্প্রতি এমনই অভিযোগ জানালেন, সিঙ্গুর জমি আন্দোলনের অন্যতম কৃষক নেতা দুধ কুমার ধারা। তিনি জানান, মুখ্যমন্ত্রী যা বলেছেন ঠিকই বলেছেন। সিঙ্গুরের শিল্প নিয়ে চাষিদের সঙ্গে আলোচনা করে করা হয়নি। জোর করে জমি অধিগ্রহণ করা হয়েছে। নষ্ট করে দেওয়া হয়েছে উর্বর কৃষি জমি। সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ অনুযায়ী জমি অধিগ্রহণের কোনও নিয়মই মানা হয়নি বাম আমলে। সিপিএমের হঠকারিতার জন্যই সিঙ্গুর থেকে বিদায় নিতে হয়েছে টাটাদের। সিপিএমের ভ্রান্ত নীতির কারণেই সিঙ্গুরে শিল্প গড়ে ওঠেনি। তিনি আরও জানান, সেইসময় যে সমস্ত কৃষকরা আন্দোলন করেছিলেন তাঁরা স্পষ্টভাবে জানিয়েছেন তাঁদের ইচ্ছার বিরুদ্ধে উর্বর জমি কেড়ে টাটার হাতে তুলে দেওয়া হয়েছিল। এর বিরুদ্ধে সেই সময় সিঙ্গুর জুড়ে যে জমি আন্দোলন হয়েছিল তা ইতিহাসের পাতায় স্বর্ণাক্ষরে লেখা থাকবে। আর সেই কৃষক আন্দোলনের জেরেই পিছু হঠতে হয়েছিল টাটাদের।

অন্যদিকে সিঙ্গুর জমি আন্দোলনের নেতা তথা রাজ্যের মন্ত্রী বেচারাম মান্না জানান, সেই সময় টাটাদের কারখানা তৈরি করতে গিয়ে সিঙ্গুরের যে সমস্ত জমিতে নির্মাণ শুরু হয়েছিল কংক্রিটের তার মধ্যে প্রায় ৯০ শতাংশ জমি ফের বর্তমান সরকারের আমলে চাষযোগ্য করা হয়েছে। প্রতিটি জমিতে যাতে ঠিকমতো জল যায় তারও বন্দোবস্ত করেছে বর্তমান সরকার। ৫৮ টি মিনি নলকূপও ইতিমধ্যে বসানো হয়েছে। এরপরই তিনি অভিযোগ করেন, সিঙ্গুর থেকে টাটাদের চলে যাওয়ার পিছনে একমাত্র দায়ী বামফ্রন্ট সরকার। মন্ত্রী জানান, সেদিন রাজভবনে যে চুক্তি হয়েছিল সেই চুক্তি যদি ঠিকমতো মেনে চলা হত তাহলে শিল্পের পাশাপাশি বাঁচত কৃষিও। কিন্তু তৎকালীন বামফ্রন্ট সরকার ক্ষমতার দম্ভে এতটাই মত্ত ছিল সিঙ্গুর থেকে টাটারা বিদায় নিলেও তাঁদের হুঁশ ফেরেনি।

Previous articleপ্রতি ম‍্যাচেই বদল হতে পারে প্রথম একাদশ, ইঙ্গিত রোহিতের
Next articleসন্ত্রাসের মদতদাতা পাকিস্তানকে রেহাই দিয়ে FATF-এর কালো তালিকাভুক্ত মায়ানমার