বরিশালে শ্মশান দীপাবলি উৎসব

খায়রুল আলম , ঢাকা

কঠোর নিরাপত্তার মধ্য দিয়ে বরিশালে অনুষ্ঠিত হল শ্মশান দীপাবলি উৎসব। এদিন সন্ধ্যায় মৃত স্বজনদের আত্মার শান্তি কামনায় মোমবাতি ও প্রদীপ প্রজ্জ্বলন করেন বাংলাদেশের হিন্দু ধর্মাবলম্বীরা। মহাশ্মশানে স্বজনদের আত্মার শান্তি কামনায় প্রতিবছরের মতো এবারও জমায়েত হয়েছেন পূজা-অর্চনার জন্য। পাশাপাশি এ সময় অনেকেই মৃতদের পছন্দের খাবার সমাধিতে রেখে উৎসর্গ করা হয়। তাই স্বজনদের সমাধিতে কেউ মোমবাতি, প্রদীপ প্রজ্জ্বলন করেন। আবার কেউ কেউ মৃত ব্যক্তির পছন্দের খাবার দিয়ে নৈবেদ্য সাজিয়ে স্মরণ ও আত্মার শান্তি কামনা করেন।

যদিও সনাতন ধর্মাবলম্বীরা ছাড়াও শশ্মানে অনেকেই দীপাবলির আয়োজন দেখতে আসেন। এদিকে প্রতিবছরের মতো এবারও ভারত, নেপাল থেকে শুরু করে দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে স্বজনদের সমাধিতে প্রদীপ ও মোমবাতি প্রজ্জ্বলনের জন্য স্বজনরা এসেছেন।

শ্মশান কমিটির নেতারা জানান, প্রায় ২০০ বছরের পুরানো নগরী কাউনিয়াতে ৫ একর ৫৯ শতক জমিতে এ মহাশ্মশানের অবস্থান। যেখানে ৭০ হাজারের মতো কাঁচা ও পাকা সমাধি রয়েছে। প্রায় দুইশ বছর ধরে চলা এ উৎসবে সমাধিগুলোতে মোমবাতি প্রজ্জ্বলন করা হয়।

বরিশাল মহাশ্মশান রক্ষা কমিটির সাধারণ সম্পাদক তমাল মালাকার বলেন, শশ্মানের সার্বিক নিরাপত্তায় আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর পাশাপাশি নিজস্ব ভলান্টিয়ারও নিয়োজিত রয়েছে। তবে করোনার কারণে স্বাস্থ্যবিধি মেনেই সব কিছু করা হচ্ছে। অপরদিকে ধর্মীয় এ অনুষ্ঠান নির্বিঘ্নে করতে সব ধরনের ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন বরিশাল মেট্রোপলিটন পুলিশের উপ-কমিশনার মোহাম্মদ জাকির হোসেন মজুমদার। তিনি বলেন, নিরাপত্তার চাদরে ঢেকেছে পুরো মহাশ্মশান এলাকা।

এদিকে উৎসব চলাকালে নিরাপত্তা কার্যক্রম পরিদর্শন করেছেন বরিশাল মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার সাইফুল ইসলামসহ বিভাগীয় ও জেলা প্রশাসনের কর্মকর্তারা।

প্রসঙ্গত, কবি জীবনানন্দ দাশের বাবা সত্যামনন্দ দাশগুপ্ত, পিতামহ সর্বানন্দ দাশগুপ্ত, ব্রিটিশবিরোধী নেতা বিপ্লবী দেবেন ঘোষ, মনোরমা বসু মাসিমাসহ বহু খ্যাতিমান মানুষের সমাধি রয়েছে এ মহাশ্মশানে।

আরও পড়ুন- স্থলভাগের আরও কাছে সিত্রাং, রাত থেকেই বঙ্গে শুরু বৃষ্টি

 

 

 

Previous articleস্থলভাগের আরও কাছে সিত্রাং, রাত থেকেই বঙ্গে শুরু বৃষ্টি
Next articleআলোর উৎসবে দেশবাসীকে শুভেচ্ছা প্রধানমন্ত্রীর