আন্দামান গণধ*র্ষণ কাণ্ড: প্রাক্তন মুখ্য সচিবকে সিট-এর মুখোমুখি হওয়ার নির্দেশ আদালতের

0
4

গণধ*র্ষণের অভিযোগে অভিযুক্ত আন্দামান-নিকোবর দ্বীপপুঞ্জের প্রাক্তন মুখ্য সচিব জিতেন্দ্র নারাইনকে বিশেষ তদন্তকারী দল (সিট)-এর মুখোমুখি হওয়ার নির্দেশ দিল কলকাতা হাই কোর্ট। শুধু তাই নয়, তদন্তে সবরকমের সহযোগিতাও করতে হবে তাঁকে। তবে মুখ্য সচিবকে রক্ষাকবচ দিয়ে, তাঁর বিরুদ্ধে গ্রেফতারির মতো কোনও কড়া পদক্ষেপ নেওয়া যাবে না বলে বৃহস্পতিবার অন্তর্বর্তীকালীন নির্দেশে জানিয়ে দিলেন হাই কোর্টের আন্দামান-নিকোবর দ্বীপপুঞ্জের পুজোর অবকাশকালীন সার্কিট বেঞ্চের বিচারপতি বিবেক চৌধুরী ও বিচারপতি প্রসেনজিৎ বিশ্বাসের ডিভিশন বেঞ্চ। আগামী ১৪ নভেম্বর পর্যন্ত এই অন্তর্বর্তীকালীন নির্দেশ জারি থাকবে।

আদালত এও জানিয়েছে, মুখ্য সচিবকে জিজ্ঞাসাবাদের ৪৮ ঘণ্টা আগে সিটকে নোটিশ দিতে হবে। এবং জিজ্ঞাসাবাদের আগে নিয়ম মেনে তাঁর স্বাস্থ্য পরীক্ষা করতে হবে বলেও জানিয়েছে আদালত। হাই কোর্টের পুজোর অবকাশের পর নিয়মিত বেঞ্চে এই মামলার শুনানির দিন ধার্য করেছে আদালত।

উল্লেখ্য, গত জুলাই মাসে পোর্ট ব্লেয়ার থেকে দিল্লিতে বদলি হন জিতেন্দ্র। এরপরই নিজের বাড়িতে যৌন ব্যবসা চালানোর অভিযোগ ওঠে আন্দামান ও নিকোবর দ্বীপপুঞ্জের প্রাক্তন মুখ্যসচিব জিতেন্দ্র নারাইনের বিরুদ্ধে। মুখ্যসচিব হিসাবে মেয়াদ চলাকালীন পোর্ট ব্লেয়ারের বাড়িতে মেয়েদের নিয়ে আসা হত বলে অভিযোগ। অন্তত ২০ জন মহিলাকে এনে তাঁদের যৌন ব্যবসার কাজে নিযুক্ত করা হয়েছিল, দাবি করেছেন এক তরুণী। এমনকি মুখ্যসচিব এবং আন্দামান সরকারের আরও এক উচ্চপদস্থ আধিকারিকের বিরুদ্ধে গণধ*র্ষণ এবং যৌন নির্যাতনের অভিযোগও এনেছেন তিনি। ঘটনায় ২১ বছরের ওই তরুণী অভিযোগে জিতেন্দ্র ছাড়াও কাঠগড়ায় তুলেছেন আন্দামানের শ্রম-মহাধ্যক্ষ আরএল ঋষিকে।

অভিযোগে তরুণী জানিয়েছেন, তিনি কাজের সন্ধান করছিলেন। এক হোটেল মালিক ঋষির সঙ্গে তাঁর যোগাযোগ করিয়ে দেন। ঋষি তাঁকে জিতেন্দ্রর বাড়িতে নিয়ে যান বলে অভিযোগ। সেখানে তাঁকে মদ খেতে দেওয়া হলে তিনি রাজি হননি। এর পরই সরকারি চাকরির প্রতিশ্রুতি দিয়ে ওই তরুণীর সঙ্গে অশালীন আচরণ করা হয় বলে অভিযোগ। দু’জনের বিরুদ্ধে যৌন হেনস্থার অভিযোগ তুলেছেন তিনি। তরুণী আরও জানিয়েছেন, সপ্তাহ দুয়েক আগে তাঁর সঙ্গে ফের একই আচরণ করা হয়। চাকরি তো মেলেইনি। উল্টে ঘটনার কথা যাতে ফাঁস না হয়ে যায়, সেই হুমকিও দেওয়া হয় তরুণীকে। বিতর্কের মাঝে গত ১৭ অক্টোবর সাসপেন্ড করা হয় জিতেন্দ্র এবং ঋষিকে।

জানা গিয়েছে, তিনি দিল্লি যাওয়ার সময় তাঁর বাড়ির সিসিটিভি ফুটেজও মুছে দেওয়া হয়েছিল। যদিও তাঁর বিরুদ্ধে ওঠা যাবতীয় অভিযোগ উড়িয়ে দিয়েছেন আন্দামানের প্রাক্তন মুখ্যসচিব। তাঁর পাল্টা দাবি, তাঁর বিরুদ্ধে বড়সড় চক্রান্ত করা হয়েছে। যে তারিখে তাঁর বিরুদ্ধে হেনস্থার অভিযোগ আনা হয়েছে, সে দিন পোর্ট ব্লেয়ারে তিনি ছিলেনই না বলে দাবি করেছেন।

আরও পড়ুন- রাজ্যের আইনশৃঙ্খলা নিয়ে বিজেপির নাক গলানো নিয়ে তোপ দাগলেন কুণাল