ছটপুজোকে কেন্দ্র করে বাড়তি সতর্কতা, সুভাষ-রবীন্দ্র সরোবরে প্রবেশ নিষিদ্ধ

শহরে স্থায়ী এবং অস্থায়ী মিলিয়ে ৪৭টি বিকল্প ঘাটের ব্যবস্থা করেছে কেএমডিএ। পুরসভার তরফ থেকেও ১০টি জায়গায় কৃত্রিম জলাশয়ের ব্যবস্থা করা হয়েছে। পাশাপাশি, গঙ্গার ১৭টি ঘাট ও বিভিন্ন এলাকায় ১০৮টি ছোট-বড় পুকুর বা জলাশয়ে ছটপুজোর আয়োজন করেছে প্রশাসন। 

পরিবেশ আদালতের নির্দেশকে কার্যকর করতে আগামী কয়েকদিন কলকাতার (Kolkata) দুটি দুই লেকে জনসাধারণের প্রবেশ নিষিদ্ধ করেছে প্রশাসন। ছট পুজোকে কেন্দ্র করে এবারও রবীন্দ্র (Rabindra Sarovar) ও সুভাষ সরোবরের (Subhash Sarovar) নিরাপত্তা ব্যবস্থা আঁটোসাঁটো করল কেএমডিএ (KMDA) । প্রশাসনের তরফে বাঁশের ব্যারিকেড, টিনের শেড দিয়ে ঘিরে ফেলা হয়েছে এই দুই সরোবরকে।

তবে ছট পুজোর বিকল্প হিসেবে শহরের বেশ কয়েকটি জলাশয়ে অস্থায়ী ঘাট এবং কৃত্রিম জলাশয় তৈরি করেছে কেএমডিএ ও কলকাতা পুরসভা (KMC) । লেকে ছটের উপাচারের ফলে পরিবেশের দূষণ হয়, এই সম্পর্কে সচেতনতা বাড়াতে দক্ষিণ কলকাতার বিভিন্ন এলাকা ও রবীন্দ্র সরোবর আশপাশে ১০টি পথনাটকের মাধ্যমে প্রচারও চালানো হয়েছে। এবার শহরে স্থায়ী এবং অস্থায়ী মিলিয়ে ৪৭টি বিকল্প ঘাটের ব্যবস্থা করেছে কেএমডিএ। পুরসভার তরফ থেকেও ১০টি জায়গায় কৃত্রিম জলাশয়ের ব্যবস্থা করা হয়েছে। পাশাপাশি, গঙ্গার ১৭টি ঘাট ও বিভিন্ন এলাকায় ১০৮টি ছোট-বড় পুকুর বা জলাশয়ে ছটপুজোর আয়োজন করেছে প্রশাসন। পানীয় জল থেকে শুরু করে শৌচালয়, আলো, পোশাক পরিবর্তনের জায়গা তৈরি করা হয়েছে বিকল্প ঘাটগুলিতে।

কোনওরকম অপ্রীতিকর ঘটনা ও দুর্ঘটনা এড়াতে এবং নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করতে ঘাট চত্বরগুলিতে পর্যাপ্ত পুলিশি ব্যবস্থা করা হয়েছে। ৩০ ও ৩১ অক্টোবর শহরে কোনও মালবাহী গাড়ি (অত্যাবশ্যকীয় পণ্য ছাড়া) চলাচলের অনুমতি দেওয়া হবে না। অন্যদিকে, হাওড়ায় ৭৫টি ঘাট তৈরি রাখা হচ্ছে ছটের জন্য। বিপজ্জনক ঘাটগুলিতে ব্যারিকেড, নদীর খালি অংশে পুলিশ মোতায়েন সহ একগুচ্ছ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

 

Previous articleনৈহাটির বড়মা’র বিসর্জন শোভাযাত্রা দেখতে রেকর্ড ভিড়, বিদ্যুৎপৃষ্ট হয়ে মৃ*ত যুবক
Next articleEgg Price Hike: উৎসবের মরশুম শেষ হতেই ফের মহার্ঘ্য ডিম!