চাকরিপ্রার্থীদের উত্তরপত্র SSC দফতরেই নষ্ট করতেন পার্থ! চাঞ্চল্যকর দাবি সিবিআইয়ের

পরীক্ষার্থীদের প্রকৃত প্রাপ্ত নম্বর যাতে কোনওভাবে প্রকাশ্যে না আসে, সেটা নিশ্চিত করতেই এই অন্যায় পথ অবলম্বন করেছিলেন তিনি। গোপনে গোটা প্রক্রিয়া সফল করতে রীতিমতো এক অসাধু চক্র গড়ে তুলেছিলেন তৎকালীন শিক্ষামন্ত্রী

শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে আবারও বিস্ফোরক অভিযোগ আনল সিবিআই। কেন্দ্রীয় এই তদন্তকারী সংস্থা আদালতে যে চার্জশিটে পেশ করেছে, সেখানে তদন্তকারীদের দাবি, ২০১৯ সালে চাকরিপ্রার্থীদের পরীক্ষার ওএমআর শিট এসএসসি দফতরেই নষ্ট করে ফেলার নির্দেশ দিয়েছিলেন পার্থ চট্টোপাধ্যায়।

বিপুল টাকার বিনিময়ে অযোগ্য প্রার্থীদের বেআইনি পথে নিয়োগ করতেই এমন পদক্ষেপ নিয়েছিলেন পার্থ, দাবি সিবিআইয়ের। তাই পরীক্ষার্থীদের প্রকৃত প্রাপ্ত নম্বর যাতে কোনওভাবে প্রকাশ্যে না আসে, সেটা নিশ্চিত করতেই এই অন্যায় পথ অবলম্বন করেছিলেন তিনি। গোপনে গোটা প্রক্রিয়া সফল করতে রীতিমতো এক অসাধু চক্র গড়ে তুলেছিলেন তৎকালীন শিক্ষামন্ত্রী। পার্থর এই দুষ্ট চক্রের সঙ্গে সরাসরি যুক্ত ছিলেন শান্তিপ্রসাদ সিনহা, মানিক ভট্টাচার্য, কল্যাণময় গঙ্গোপাধ্যায়, সুবীরেশ ভট্টাচার্যর মতো আধিকারিকরা।

সিবিআই তাদের চার্জশিটে আরও দাবি করেছে, অযোগ্য বা অনুত্তীর্ণ প্রার্থীদের তালিকা বিভিন্ন জেলা থেকে প্রথমে পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের কাছে হাতে জমা পড়ত। তৎক্ষণাৎ সেই তালিকা ওএসডি (অফিসার অন স্পেশাল ডিউটি)-কে পাঠিয়ে দিতেন। ওই আধিকারিক তালিকা নিয়ে কখনও শান্তিপ্রসাদবাবু, আবার কখনও মানিকবাবুর কাছে যেতেন। তদন্তকারীরা জানতে পেরেছেন, মোটা টাকার বিনিময়ে সেই তালিকা থেকেই ঘুরপথে প্রায় ৯৫ শতাংশ প্রার্থীর চাকরি হয়েছে। পার্থবাবুর সঙ্গে তাঁর ওএসডির হোয়াটসঅ্যাপ চ্যাট খতিয়ে দেখেই বিষয়টি সম্পর্কে জানতে পারেন তদন্তকারীরা।

Previous articleSpice Jet: দুর্ঘটনায় চোট পেয়েছিলেন মেরুদন্ডে, ৫ মাস পর মৃত যাত্রী
Next articleউদ্বেগ বাড়াচ্ছে ডেঙ্গি, বিকেলে নবান্নে জরুরি বৈঠক