মোদি রাজ্যে সেতু বিপর্যয়ে লাফিয়ে বাড়ছে মৃ*তের সংখ্যা, জারি তল্লাশি অভিযান

গুজরাটে সেতু বিপর্যয়ের ঘটনায় লাফিয়ে বাড়ছে মৃতের সংখ্যা। মুরবিতে মাচ্ছু নদীর উপরে ঝুলন্ত সেতু হুড়মুড়িয়ে ভেঙে যাওয়ার পর থেকেই শুরু হয়েছে উদ্ধারকাজ। সেনা, নৌসেনা, বায়ুসেনা, জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী, দমকল বাহিনী দিয়ে চলছে তল্লাশি অভিযান। সোমবার সকাল অবধি পাওয়া খবর অনুযায়ী, মৃতের সংখ্যা শতাধিক। ১৭৭ জনকে উদ্ধার করা হয়েছে। ১৯ জন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। এখনও নিখোঁজ অনেকেই। ফলে মৃতের সংখ্যা আরও বাড়ার আশঙ্কা রয়েছে।

আরও পড়ুন:সেতুগুজরাটে কেবল ব্রিজ দুর্ঘটনায় মৃত বেড়ে ৯১, নিখোঁজ বহু

সেতু বিপর্যয়ের পর বিজেপি শাসিত গুজরাটে এই দুর্ঘটনার জেরে রীতিমতো হইচই পড়ে যায়। শুরু হয়ে যায় রাজনৈতিক তরজা। এর পরই বিপর্যয়ের দায়ভার প্রশাসনের বলে জানিয়ে দেয় গুজরাট সরকার। বিশেষজ্ঞদের দাবি, বিধানসভা ভোটের মুখে এই ঘটনায় বিরোধীদের মুখ বন্ধ করতেই এই পদক্ষেপ করল পদ্ম-শিবির। সেতু বিপর্যয়ের ঘটনায় এরপর সরকারের তরফে বড় পদক্ষেপ নেওয়া হতে পারে বলেও মনে করছেন তাঁরা।
সামনেই বিধানসভা নির্বাচন। আর তার আগে গুজরাট সফরে গিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। তাঁর সফরের মাঝেই এহেন বিপত্তি গুজরাটে। জানা গিয়েছে, সম্প্রতি ওই ঝুলন্ত সেতুর সংস্কার করা হয়েছিল। গত ২৬ অক্টোবর ফের তা সাধারণের জন্য খুলে দেওয়া হয়। সংস্কারের পাঁচ দিনের মাথায় কীভাবে তা ভেঙে পড়ল তা নিয়ে তৈরি হয়েছে ধোঁয়াশা।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, ধারণক্ষমতার বেশি লোক ওই মুহূর্তে ব্রিজের উপর উপস্থিত ছিলেন। জানা গিয়েছে, বিপর্যয়ের সময় ৪০০-র বেশি সাধারণ মানুষ সেখানে উপস্থিত ছিলেন।

সোশ্যাল মিডিয়ায় ব্রিজ ভেঙে পড়ার আগের ও পরের মুহূর্তের ভিডিয়ো ঘোরাফেরা করছে। ভিডিয়ো দেখে শিউরে উঠছেন আমজনতা। প্রাণ বাঁচানোর জন্য জলের মধ্যে ডুবু ডুবু অবস্থায় ব্রিজের পাটাতন, কেবল ধরেই খাবি খাচ্ছিলেন বহু মানুষ। কেউ কেউ সাঁতরে পারে ওঠেন। সেতু বিপর্যয়ের মতো এত বড় বিপর্যয় গত এক দশকে দেখেনি গোটা দেশ।

Previous articleBreakfast news : ব্রেকফাস্ট নিউজ
Next articleToday market price : আজকের বাজার দর