গ্রামেই সমাধিস্থ হাবিবুলের দেহ, গুজরাট সরকারের বিরুদ্ধে চরম ক্ষুব্ধ শোকার্ত পরিবার

চরম গাফিলতির জেরেই গুজরাটে (Gujrat) সেতু বিপর্যয়- এই সত্য এখন প্রকাশ্যে। তবে, সেকানেই শেষ নয়। গুজরাটের বিজেপি (BJP) সরকারের চরম অব্যবস্থা, বিশৃঙ্খলার নজির প্রতি পদে পদে। সেটা আরও প্রকট হল বঙ্গতনয় হাবিবুলের দেহ রাজ্যের ফেরার পর।

মঙ্গলবার রাত আড়াইটে নাগাদ দমদম বিমানবন্দর হয়ে পূর্বস্থলীর কেশববাটীতে হাবিবুল শেখের দেহ পৌঁছয়। পরিবারের অভিযোগ, দেহ আনার ব্যাপারে না ওখানকার সরকার, না কেন্দ্র, কারও কোনও সাহায্য মেলেনি। তাঁদেরই অনেক কষ্ট করে টাকা ধার করে নিয়ে আসতে হয়েছে দেহ। কফিন খুলে দেখা যায়, এত জোরে নদীতে পড়েছিল হাবিবুল, যে মুখটা ক্ষতবিক্ষত হয়ে গিয়েছে। চট করে চেনার উপায় নেই। রাজ্য সরকার এবং তৃণমূল দল প্রথম থেকেই ওর পরিবারের পাশে। শেষ শ্রদ্ধা জানাতে হাজির ছিলেন মন্ত্রী স্বপন দেবনাথ (Swapan Debnath), পূর্ব বর্ধমান জেলা তৃণমূল (TMC) সভাপতি রবীন্দ্রনাথ চট্টোপাধ্যায়, বিধায়ক তপন চট্টোপাধ্যায়, বিডিও সৌমিক বাগচী, পূর্বস্থলীর আইসি সন্দীপ গঙ্গোপাধ্যায়, দেবাশিস নাগ, রাসবিহারী হালদার, আসরাফ আলি শেখ প্রমুখ। রাতেই ভিড় করেন গ্রামের মানুষ। হাবিবুলের কফিনে মালা দেন স্বপন দেবনাথ।

দুর্ঘটনার জন্য গুজরাট সরকারকে দায়ী করার পাশাপাশি, হাবিবুলের দেহ আনার ব্যাপারে গুজরাট সরকার ও কেন্দ্রের তরফে কোনও সহযোগিতা না মেলায় ব্যাপক ক্ষোভ প্রকাশ করেন তাঁরা। রবীন্দ্রনাথ বললেন, ‘’ক্ষতিপূরণ কবে মিলবে কেউ জানে না। তবে এ ব্যাপারে রাজ্য সরকার নজর রাখবে।’’ বিধায়ক তপনের আশ্বাস, ’‘হাবিবুল মায়ের হার্টের চিকিৎসার টাকা জোগাড় করতে কাজে গিয়েছিল। ওঁর চিকিৎসার ব্যবস্থা করব আমরা।’’ গ্রামের গোরস্থানেই সমাধিস্থ করা হয় হাবিবুলকে।

আরও পড়ুন- মৃত্যু মিছিল গুজরাটে, পোশাকের পর পোশাক বদলে ‘ফিটফাট’ মোদি ব্যস্ত ভোট প্রচারে

 

Previous articleপ্রকাশিত হয়ে গেল আসন্ন আইলিগের সূচি
Next articleউড়ালপুলের স্বাস্থ্য রিপোর্ট নিয়ে বৈঠক, রাজ্যজুড়ে ব্রিজ সার্ভের নির্দেশ নবান্নের