কেরলে মুখ্যমন্ত্রী-রাজ্যপাল সংঘাত! বিজয়নের বিদেশ সফর ইস্যুতে রাষ্ট্রপতিকে চিঠি আরিফের  

চিঠিতে রাজ্যপাল অভিযোগ জানান, মুখ্যমন্ত্রী সহ অন্যান্য মন্ত্রীদের সরকারি বিদেশ সফর সম্পর্কে রাজভবনকে কিছু জানানোই হয়নি। আরিফ মহম্মদ খানের আরও অভিযোগ, সেই সময় মুখ্যমন্ত্রীর অনুপস্থিতিতে যিনি দায়িত্ব সামলেছেন, সেই দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তার বিষয়েও রাজভবনকে কোনও তথ্য জানানো হয়নি।

কেরলে রাজ্য-রাজ্যপাল সংঘাত শুক্রবার নয়া মাত্রা পেল। শুক্রবার মুখ্যমন্ত্রী (Chief Minister) পিনারাই (Pinarai Vijayan) বিজয়নের বিরুদ্ধে অভিযোগ জানিয়ে রাষ্ট্রপতি (President) দ্রৌপদী মুর্মুকে (Draupadi Murmu) চিঠি লিখলেন কেরলের রাজ্যপাল আরিফ মহম্মদ খান (Governor Arif Mohammad Khan)। এদিন রাষ্ট্রপতিকে লেখা চিঠিতে কেরলের মুখ্যমন্ত্রী পিনারাই বিজয়ন এবং তাঁর মন্ত্রীদের সরকারি বিদেশ সফর (Official Foreign Trip) নিয়ে অভিযোগ জানিয়েছেন রাজ্যপাল, এমনটাই রাজভবন (Raj Bhawan) সূত্রে খবর।

চিঠিতে রাজ্যপাল অভিযোগ জানান, মুখ্যমন্ত্রী সহ অন্যান্য মন্ত্রীদের সরকারি বিদেশ সফর সম্পর্কে রাজভবনকে কিছু জানানোই হয়নি। আরিফ মহম্মদ খানের আরও অভিযোগ, সেই সময় মুখ্যমন্ত্রীর অনুপস্থিতিতে যিনি দায়িত্ব সামলেছেন, সেই দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তার বিষয়েও রাজভবনকে কোনও তথ্য জানানো হয়নি। উল্লেখ্য, গত ৪ থেকে ১৪ অক্টোবর পর্যন্ত মোট ১০ দিন মুখ্যমন্ত্রী বিজয়ন এবং অন্যান্য মন্ত্রীরা বিদেশ সফরে যান। আর এবার সেই বিষয়েই রাষ্ট্রপতিকে চিঠি দিলেন রাজ্যপাল আরিফ মহম্মদ খান।

এদিকে শুক্রবার রাজ্যপাল তথা আচার্য আরিফ মহম্মদ খান শিক্ষা দফতরের এক আধিকারিককে কেরলের আবুল কালাম আজাদ প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (Abul Kalam Azad University) উপাচার্য (Vice Chancellor) পদে বসালেন। ওই পদে সিপিএম পরিচালিত রাজ্য সরকারের বাছাই করা দু’জনের নাম বাদ দিয়ে সিজা থমাস (Ciza Thomas) নামে কারিগরি শিক্ষা দফতরের এক যুক্ত অধিকর্তাকে দায়িত্ব দিলেন রাজ্যপাল। তবে উপাচার্য পদে সিজার দায়িত্ব গ্রহণ ঘিরে এদিন বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে তুমুল অশান্তি শুরু হয়। রাজ্যপাল মনোনীত উপাচার্যকে ক্যাম্পাসে ঢুকতে বাধা দেয় এসএফআই এবং সিপিএমের কর্মচারী সংগঠনের কর্মী-সমর্থকেরা। তবে পুলিশ সেই বাধা সরিয়ে উপাচার্যকে নিজের চেম্বারে পৌঁছে দেয়। কিন্তু বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার, সহ-উপাচার্য সহ কোনও পদস্থ অফিসার নতুন উপাচার্যের দায়িত্ব গ্রহণের সময় উপস্থিত ছিলেন না। পরে সিজা নিজে রেজিস্ট্রারের ঘরে গিয়ে দায়িত্বগ্রহণের কথা লিখিতভাবে জানিয়ে দেন।

বৃহস্পতিবারই রাজ্যপাল অভিযোগ করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রীর অফিস রাজ্যে চোরাচালানের (Smuggling Activities) অন্যতম ঘাঁটি। খোদ মুখ্যমন্ত্রীর কার্যালয় থেকেই রাজ্যে চোরাচালান কার্যকলাপে মদত দেওয়া হচ্ছে। আর সেকারণেই বিষয়টিতে হস্তক্ষেপ করতে বাধ্য হয়েছেন তিনি। তিনি আরও অভিযোগ করেন, মুখ্যমন্ত্রী পিনারাই বিজয়ন (Chief Minister Pinarai Vijayan) রাজ্যে ভয়ের বাতাবরণ তৈরি করেছেন।

Previous articleগুজরাটে ঝুলন্ত সেতু বিপর্যয়ে সাসপেন্ড মোরবি পুরসভার মুখ্য আধিকারিক
Next articleরুজিরা- মেনকার মামলায় কেন্দ্রকে ভর্ৎসনা কলকাতা হাইকোর্টের