ঘাসফুলে জয়দেব, নন্দীগ্রামের বেড়ারচকের বিজেপি কার্যালয় সেজে উঠলো ‘সবুজ রঙে’

রাতারাতি বিসর্জন দেওয়া হল মোদি-যোগীর বিশাল ফেস্টুন, আশেপাশে ছড়িয়ে থাকা এক আধটা বিজেপির পতাকা। অল্প সময়ে ভোল বদলে নন্দীগ্রামের(Nandigram) কালীচরণপুরের বেড়ারচকের বিজেপি কার্যালয় হয়ে গেল তৃণমূলের কার্যালয়(TMC party office)। দলীয় দফতরের ভেতর এখন মমতা ও অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় ছবি। বিজেপি ছাড়ার পর শুক্রবার তৃণমূলে রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষের(Kunal Ghosh) হাত ধরে তৃণমূলে যোগ দেন জয়দেব দাস(Jaydev Das) ও তার সঙ্গীরা। এরপরই জয়দেব দাসের বাড়ির সামনে থাকা বিজেপির দলীয় কার্যালয় চলে গেল তৃণমূলের দখলে।

পাটি অফিসের রং বদল প্রসঙ্গে এদিন সংবাদ মাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে জয়দেব দাস বলেন, “এই ঘটনা এটাই প্রমাণ করে যে মানুষ আমাদের পাশে আছে। কারণ আপনারাই দেখতে পাচ্ছেন যারা বিজেপি করত এলাকার সেই মানুষরাই নিজের হাতে তৃণমূলের পতাকা লাগাচ্ছেন দলীয় অফিসে। ওইসব ক্ষোভ বিক্ষোভের যে নাটক বিজেপি দেখাচ্ছিল এই ঘটনাই সেই মিথ্যাচার চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দিল।” পাশাপাশি তিনি আরো বলেন, “সাধারণ কর্মী যারা ‘গ্রাসরুট’ স্তরে কাজ করে তারা কারও দাস নয়, নেতাদের এটা মাথায় রাখা উচিত।”

উল্লেখ্য, শুক্রবার নন্দীগ্রাম জয়দেব দাসসহ ৩৩ জন বিজেপি নেতা ও পাঁচশর বেশি কর্মী তৃণমূলে যোগ দেন রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষের হাত ধরে। এরপর সংবাদ মাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে কুণাল ঘোষ বলেন, “জয়দেব দক্ষ সংগঠক। ও অন্য দলে রাজনীতি করেছে। ও আমাদের দলের কঠিন সময়ের সৈনিকদের সেলাম, স্যালুট, কুর্নিশ জানিয়ে দলে যোগ দিল। যে লোকটা আমাদের লোকদের মিথ্যা মামলা দিচ্ছে। তার বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানিয়ে কেউ যদি আমাদের দলে যোগ দেয়, তাহলে কেন স্বাগত জানাবেন না। আসল শত্রুর হাত দুর্বল করতে হবে। যে সাম্প্রদায়িক বিভেদ করে তাকে দুর্বল করতে হবে।” জয়দেবের তৃণমূল যোগের পর নিজের এলাকার মানুষের সমর্থনে একদা বিজেপির দলীয় কার্যালয় সেজে উঠল সবুজ রঙে।