খনি দুর্নীতি ও আর্থিক তছরুপ মামলায় সোরেনের বিরুদ্ধে তদন্তে স্থগিতাদেশ সুপ্রিম কোর্টের

ঝাড়খণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী হেমন্ত সোরেনের(Hemant Soren) বিরুদ্ধে খনি দুর্নীতি ও আর্থিক তছরুপ মামলায় তদন্তের নির্দেশ দিয়েছিল ঝাড়খণ্ড হাইকোর্ট(Jharkhand Highcourt)। সেই মামলায় সোমবার বড়সড় স্বস্তি পেলেন ঝাড়খণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী। হাইকোর্টের রায় চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিমকোর্টে আবেদনের পর সোমবার শীর্ষ আদালত হাইকোর্টের নির্দেশিকায় স্থগিতাদেশ জারি করল।

খনি দুর্নীতির মামলায় ঝাড়খণ্ডে তৎপর হয়ে উঠেছিল কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা ইডি। এই প্রেক্ষিতে জনস্বার্থ মামলার ভিত্তিতে ঝাড়খণ্ড হাই কোর্ট খনি দুর্নীতির মামলায় হেমন্তের বিরুদ্ধে তদন্তের নির্দেশে দিয়েছিল। যদিও হেমন্ত এই ঘটনায় সরাসরি রাজনৈতিক ষড়যন্ত্র বলে অভিযোগ করেন। তিনি বলেন, ঝাড়খণ্ডের সরকার ফেলার চেষ্টা চালাচ্ছে বিজেপি। আর সেই লক্ষ্যে কেন্দ্রীয় এজেন্সি দিয়ে হেনস্তা করা হচ্ছে খোদ মুখ্যমন্ত্রীকে। এমনকি ইডির তলবে হাজিরা না দিয়ে সরাসরি চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে বলেন, “যদি আমি দোষী হয়ে থাকি, তাহলে আপনারা আমাকে প্রশ্ন করছেন কেন? ক্ষমতা থাকলে আমাকে সোজা গ্রেপ্তার করে ফেলুন।” তবে সেই মামলায় সোমবার বড়সড় স্বস্তি পেলেন ঝাড়খণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী। এদিন সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশের পর সংক্ষিপ্ত টুইট করেন হেমন্ত সোরেন। লেখেন, সত্যমেব জয়তে, সত্যের জয়। এই সঙ্গে আদালতের রায় তুলে দেন সোশ্যাল মিডিয়ায়।

উল্লেখ্য, এই মামলায় ঝাড়খণ্ডের মুখ্যমন্ত্রীর ঘনিষ্ঠ পঙ্কজ মিশ্র-সহ (Pankaj Mishra) আরও দু’জনকে গ্রেপ্তার করেছিল ইডি। জুলাই মাসে খনি দুর্নীতির তদন্তে রাজ্যের একাধিক ঠিকানায় অভিযান চালায় ইডি। সেই সময় পঙ্কজ মিশ্রের ব্যাংক অ্যাকাউন্টে ১১ কোটি ৮৮ লক্ষ টাকার হদিশ মেলে বলে দাবি ইডির। ওই অ্যাকাউন্ট বাজেয়াপ্ত করা হয়। এছাড়াও পঙ্কজের বাড়ি থেকে নগদ ৫ কোটি ৩৪ লক্ষ টাকা উদ্ধার করেন তদন্তকারী সংস্থার গোয়েন্দারা। ওই সময় পঙ্কজের বাড়িতে বেশ কয়েকটি চেক মেলে, যেগুলিতে হেমন্ত সোরেনের স্বাক্ষর ছিল বলে অভিযোগ করে ইডি।

Previous articleজ*ঙ্গি সন্দেহে এসটিএফের জালে মথুরাপুরের কলেজ পড়ুয়া
Next articleঝালদা পুরসভার আস্থাভোটে স্থগিতাদেশ হাইকোর্টের! নির্বাচন ২১ নভেম্বর