নিয়োগ নিয়ে দ্বিচারিতা করছেন বিকাশরা! কুণালকে বিস্ফোরক অভিযোগ ২০০৯-এর চাকরিপ্রার্থীদের

কুণাল এদিন আরও জানিয়েছেন, বিষয়টি এই মুহূর্তে কলকাতা হাইকোর্টে বিচারাধীন। শুনানি শেষ হলেও রায়দান স্থগিত রয়েছে। চাকরিপ্রার্থীদের পর্ষদ সভাপতির কাছে কিছু আবেদন ছিল। আমি আজই প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ সভাপতির সঙ্গে কথা বলেছি।

অন্যক্ষেত্রে বিকাশবাবুদের যতটা আগ্রহ দেখা যায়, এক্ষেত্রে সেই দরদ দেখা যাচ্ছে না। কারণ এটা ২০০৯ সালে বাম আমল (Left Govt) থেকে শুরু। আর সেকারণেই ২০০৯ সালের প্রাথমিক শিক্ষকের (Primary Teacher) চাকরিপ্রার্থীদের নিয়োগ প্রক্রিয়া এখনও থমকে রয়েছে। সোমবার চাকরিপ্রার্থীদের প্রতিনিধি দলের সঙ্গে সাক্ষাতের পর এমনই মন্তব্য করলেন তৃণমূলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক তথা মুখপাত্র কুণাল ঘোষ (Kunal Ghosh)। সোমবার কুণালের সঙ্গে দেখা করে তাঁদের অবস্থার কথা জানান ২০০৯ সালের প্রাথমিক শিক্ষকের চাকরিপ্রার্থীরা। দীর্ঘ ১৩ বছর ধরে চাকরির জন্য অপেক্ষা করলেও দক্ষিণ চব্বিশ পরগণার প্রাথমিক শিক্ষকের চাকরিপ্রার্থীদের নিয়োগপত্র মেলেনি।

এদিন চাকরিপ্রার্থীদের প্রতিনিধিদলের সঙ্গে বৈঠকের পর তৃণমূলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে জানান, ওনারা ২০০৯ সালের প্রাথমিক শিক্ষক পদপ্রার্থী। বাম জমানায় প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগের যে পরীক্ষাটি হয়েছিল তাতে ব্যাপক অনিয়ম, দুর্নীতি ও কারচুপির অভিযোগ ছিল। তখন থেকে জলঘোলা চলছে। এরপর বর্তমান সরকার ক্ষমতায় আসার পর নতুন করে সবকিছু ঠিকঠাক হয়েছে। তবে কোনও একটি মহল জোর করে ওনাদের নিয়োগ আটকে রাখছে। কুণাল এদিন আরও জানিয়েছেন, বিষয়টি এই মুহূর্তে কলকাতা হাইকোর্টে (Calcutta High Court) বিচারাধীন। শুনানি শেষ হলেও রায়দান স্থগিত রয়েছে। চাকরিপ্রার্থীদের পর্ষদ সভাপতির কাছে কিছু আবেদন ছিল। আমি আজই প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ সভাপতির সঙ্গে কথা বলেছি। তিনি কী বলেছেন সেটা ওনারা সবাই শুনেছেন। পর্ষদ সভাপতি বিষয়টিতে অত্যন্ত সহানুভূতিশীল এবং তিনি জানিয়েছেন, আদালত যদি রায় দিয়ে দেয় তারপরের ফলোআপে যতটা সময় লাগে, দরকার হলে এক মাসের মধ্যেই এই প্রক্রিয়া শেষ করবেন। এরপর কুণাল জানান, এদিনের আলোচনা অত্যন্ত ইতিবাচক (Effective) হয়েছে। আমরা আশা করি খুব তাড়াতাড়ি এই জট খুলে যাবে।

অন্যদিকে প্রতিনিধি দলের এক সদস্য জানান, আমরা অনেকদিন ধরেই অপেক্ষা করছিলাম। কিন্তু আমরা দিদির সঙ্গে দেখা করতে চাইলেও আমরা সহযোগিতা পাইনি। তবে প্রথম ময়দান থানার ওসিই সরকারের সঙ্গে দেখা করানোর দায়িত্ব নেন। আমরা আজ প্রথম বার্তা পেলাম কীভাবে আইনি জটিলতা কাটবে? আমরা চাই এই বিষয়টি ত্বরান্বিত করে হাইকোর্ট রায়দান করুক ও আমাদের মুক্তি দিক।

Previous articleDengue: ঢাকায় ডেঙ্গিতে আরও ৭ জনের মৃ*ত্যু, আক্রান্ত ৮৭৫
Next articleপ্রিয়নেতার জন্মদিনে বাঁধভাঙা উচ্ছ্বাস, অনুগামীদের মধ্যে অভিষেক এলেন-দেখলেন-জয় করলেন