Saturday, December 6, 2025

ধর্মতলার আন্দোলন মঞ্চ থেকে ধরনা তুলছেন ২০০৯ টেট চাকরিপ্রার্থীরা! কেন জানেন?

Date:

Share post:

এবার ধর্মতলায় আন্দোলন মঞ্চ থেকে ধরনা তুলছেন দক্ষিণ ২৪ পরগনার ২০০৯-এর প্রাইমারির পরীক্ষার্থীরা। তাঁদের বক্তব্য, রাজ্যের শাসকদল তৃণমূলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষের সঙ্গে ইতিবাচক আলোচনার কয়েক ঘন্টা কাটতে না কাটতেই ধর্মতলা থেকে ধরনা প্রত্যাহারের সিদ্ধান্ত নিলেন তাঁরা। তবে নিয়োগপত্র হাতে না পাওয়া পর্যন্ত দক্ষিণ ২৪ পরগনায় ডিপিএস অফিসের সামনে তাঁদের অবস্থান চলবে বলেও জানিয়েছেন ২০০৯-এর টেট উত্তীর্ণ চাকরিপ্রার্থীরা।

প্রসঙ্গত, বাম সরকারের আমলে ২০০৯ সালে প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগের বিজ্ঞপ্তিতে পরীক্ষাও হয়েছিল। কিন্তু সেই নিয়োগ প্রক্রিয়া বাতিল হয়। ২০১৪ সালে নতুন করে ইন্টারভিউ নেওয়া হয়। প্রত্যন্ত জেলাগুলির নিয়োগ হলেও দক্ষিণ ২৪ পরগনা নিয়োগ আটকে যায়। আন্দোলনকারীদের অভিযোগ, ২০১৪ সালের চাকরিপ্রার্থীদের প্যানেলই প্রকাশিত হয়নি। ১৩ বছর ধরে বঞ্চিত তাঁরা। এরপর গত ৩৭ দিন ধরে ধর্মতলায় অবস্থান বিক্ষোভ করছিলেন তাঁরা।

সোমবার আন্দোলনকারীদের নবান্ন অভিযানের পরিকল্পনা ছিল। কিন্তু তার আগে তৃণমূলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষের সঙ্গে বৈঠকে বসেন আন্দোলনকারী প্রতিনিধিরা। সেই বৈঠক ইতিবাচক হয়েছে বলে আন্দোলনকরীদের। বৈঠকেও পর খুশি চাকরিপ্রার্থীরা।
আন্দোলনকারীরা জানিয়েছেন, ধর্মতলা থেকে ধরনা প্রত্যাহার করা হলেও আন্দোলন চলবে।

spot_img

Related articles

হাসপাতালের বেডে শুয়ে সন্তানের অপেক্ষায় সোনালি: প্রকাশ করলেন সুপ্ত ইচ্ছা

শুক্রবারই ভারতে ফিয়ে নিয়ে আসা হয়েছে অন্তঃসত্ত্বা সোনালি খাতুন এবং তাঁর ৮ বছর বয়সী ছেলেকে। রাজ্য সরকারের তত্ত্বাবধানে...

কার্ল মার্ক্সের শিষ্য অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়! মেয়ো রোডের মঞ্চ থেকে অভিনব খোঁচা কল্য়াণের

বাংলার দক্ষ প্রশাসক মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায় একদিকে যেমন বাংলার শান্তি সম্প্রীতি রক্ষায় নিজে সচেষ্ট। তেমনই তাঁর সৈনিকেরাও শান্তি-সম্প্রীতি রক্ষার...

বকেয়া নিয়ে সংসদে ভুল বোঝাচ্ছে কেন্দ্র: দিল্লিতে সরব দুই ডেপুটি লিডার

শুধুমাত্র বাংলা বিরোধী জমিদারি চালে বাংলার প্রাপ্য দিতে নারাজ কেন্দ্রের স্বৈরাচারী বিজেপি সরকার। বাংলার শাসকদল তৃণমূল কংগ্রেসও ছেড়ে...

বাস্তবিক সর্বধর্ম সমন্বয়ের বার্তা: মেয়ো রোড থেকে বিভাজনের বিরুদ্ধে সরব তৃণমূল

দেশের রাজনীতিতে অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ দিন ৬ ডিসেম্বর। প্রতিবছর বাংলার শাসকদল তৃণমূলের তরফে এই দিনটি সংহতি দিবস হিসাবে সম্প্রীতি...