ফের অনুব্রতর পরিচিতদের অ্যাকাউন্টে ১৬ কোটির হদিশ,তিন ব্যাঙ্কের অধিকারিককে তলব সিবিআইয়ের

সব নিয়ম মেনে এই টাকা জমা দেওয়া হয়েছিল কিনা, ব্যাঙ্ক আধিকারিকদের থেকে তা জানতে চান কেন্দ্রীয় গোয়েন্দারা৷

গরু পাচার কাণ্ডের তদন্তে নয়া মোড়।এবার অনুব্রত এবং তাঁর পরিবার, পরিচিতদের অ্যাকাউন্টে কোটি কোটি টাকার খোঁজ পেল সিবিআই৷ এই তথ্য আসার পরই তিনটি ব্যাঙ্কের আধিকারিকদের তলব করেছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা৷সিবিআই সূত্রে জানা গিয়েছে, মোট আটটি ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টের তথ্য তাদের হাতে এসেছে৷ এই অ্যাকাউন্টগুলিতে ২০১৭ থেকে ২০২১ সালের মধ্যে মোট ১৬ কোটি ৪৫ লক্ষ টাকা জমা পড়েছে৷ যে তিনটি ব্যাঙ্কে এই অ্যাকাউন্টগুলি ছিল, তার মধ্যে দু’টি রাষ্ট্রায়ত্ত এবং একটি বেসরকারি ব্যাঙ্ক রয়েছে৷ সব নিয়ম মেনে এই টাকা জমা দেওয়া হয়েছিল কিনা, ব্যাঙ্ক আধিকারিকদের থেকে তা জানতে চান কেন্দ্রীয় গোয়েন্দারা৷

কিছুদিন আগে লটারিকাণ্ডের তদন্তে নেমে একের পর এক চাঞ্চল্যকর তথ্য উঠে আসে সিবিআইয়ের তদন্তে!সিবিআই সূত্রে দাবি, অনুব্রত মণ্ডলের মেয়ের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে ফের লটারি জেতার টাকার হদিশ মিলেছে। এবার ৫০ লক্ষ টাকা! অর্থাৎ, এই নিয়ে বাবা ও মেয়ের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট খতিয়ে দেখে, ৫ বার লটারি জেতার হদিশ পেল সিবিআই। তাদের দাবি, ২০১৯ সালে অনুব্রত মণ্ডলের অ্যাকাউন্টে লটারি জেতার ১০ লক্ষ টাকা ঢোকে। ওই বছরেই তাঁর মেয়ের অ্যাকাউন্টে ঢোকে ২৫ ও ২৬ লক্ষ টাকা। CBI সূত্রে দাবি করা হচ্ছে, তারা যে নতুন ৫০ লক্ষ টাকার হদিশ পেয়েছে, সেই টাকা সুকন্যার ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে ঢুকেছিল ২০২০-র জানুয়ারি মাসে। আর অনুব্রত মণ্ডল ১ কোটি টাকার লটারি জিতেছিলেন ২০২১-এ।

গরু পাচারের বেআইনি কারবারের সূত্রেই অনুব্রত মণ্ডল নামে বেনামে বিপুল সম্পত্তির মালিক হয়েছিলেন বলে আগেই অভিযোগ করেছে সিবিআই এবং ইডি৷ জানা গিয়েছে, যে অ্যাকাউন্টগুলিতে এই কোটি কোটি টাকা জমা পড়েছে সেগুলি অনুব্রত মণ্ডল, তাঁর প্রয়াত স্ত্রী ছবি মণ্ডল এবং মেয়ে সুকন্যা মণ্ডলের নামে ছিল৷এ ছাড়াও দু’টি সংস্থার নামেও অ্যাকাউন্ট রয়েছে৷ এই সংস্থা দু’টির মালিকানা কার হাতে রয়েছে, তা স্পষ্ট করেননি কেন্দ্রীয় গোয়েন্দারা৷ এ ছাড়াও অনুব্রত ঘনিষ্ঠ বিদ্যুৎবরণ গায়েনের অ্যাকাউন্টেও মোটা টাকা জমা পড়েছিল৷

এরই পাশাপাশি, ভারত সেবাশ্রম সঙ্ঘের জমি হস্তান্তরেও নিয়মের তোয়াক্কা করা হয়নি বলে জানিয়েছে ইডি। মঙ্গলবার দিল্লিতে ইডির সদর দফতরে ডেকে পাঠানো হয়েছে ভারত সেবাশ্রমের মহারাজকে। তাঁর কাছ থেকে জমি হস্তান্তরের পুরো প্রক্রিয়াটি জানতে চায় ইডি।

এই বিপুল পরিমাণ টাকার উৎস কী তা খতিয়ে দেখছেন কেন্দ্রীয় গোয়েন্দারা৷ পাশাপাশি বিপুল পরিমাণ এই টাকা ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে জমা করার সময় নিয়ম না মানা হলে সেক্ষেত্রে ব্যাঙ্ক কর্মীদের সঙ্গে অনুব্রত বা তাঁর ঘনিষ্ঠদের কোনও যোগসাজশ ছিল কি না,তাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে৷

Previous articleকরোনা আর ডেঙ্গির উপসর্গে অদ্ভুত মিল! চিন্তায় চিকিৎসকরা
Next articleনীরব পুতুল নাড্ডা: গুজরাটে মুখ্যমন্ত্রী মুখ ঘোষণা শাহের, তীব্র কটাক্ষ অভিষেকের