বিশ্বের জনসংখ্যা ৮০০ কোটি ! চিনকে টেক্কা দেবে ভারত ?

১৯৫০ সালের পর বিশ্বের জনসংখ্যা বৃদ্ধির হার উল্লেখযোগ্যভাবে কমছে। ২০২০ সালে তুলনায় জনসংখ্যা বৃদ্ধির হার ১ শতাংশ কমেছে। বিশ্বের জনসংখ্যা ৭০০ থেকে ৮০০ কোটি হতে ১২ বছর সময় লেগেছে বলে রিপোর্টে দাবি করা হয়েছে।

লাফিয়ে বাড়ছে বিশ্বের জনসংখ্যা (World population),পরিসংখ্যান বলছে মঙ্গলবার বিশ্বের জনসংখ্যা ৮০০ কোটিতে পৌঁছেছে। এবার কি তবে চিনকে (China) টেক্কা দিতে চলেছে ভারত (India)? প্রশ্ন তুলছেন অনেকেই। উন্নয়নের নিরিখে এই জনসংখ্যা বৃদ্ধি কতট তাৎপর্যপূর্ণ তা নিয়ে ইতিমধ্যেই আলোচনা শুরু হয়েছে। রাষ্ট্রসঙ্ঘের (United Nations)তরফে সোমবার অ্যানুয়াল ওয়ার্ল্ড পপুলেশন প্রসপেক্ট রিপোর্ট (Annual World Population Prospects Report)প্রকাশ করা হয়েছে। সেখানে দাবি করা হয়েছে যে ১৯৫০ সালের পর বিশ্বের জনসংখ্যা বৃদ্ধির হার উল্লেখযোগ্যভাবে কমছে। ২০২০ সালে তুলনায় জনসংখ্যা বৃদ্ধির হার ১ শতাংশ কমেছে। বিশ্বের জনসংখ্যা ৭০০ থেকে ৮০০ কোটি হতে ১২ বছর সময় লেগেছে বলে রিপোর্টে দাবি করা হয়েছে।

জনসংখ্যার পরিসংখ্যানে পূর্ব ও দক্ষিণ পূর্ব এশিয়া অনেকটাই এগিয়ে রয়েছে। রাষ্ট্রসঙ্ঘের এই রিপোর্ট থেকে জানা গিয়েছে, ভারত ও চিনের জনসংখ্যা সর্বাধিক। প্রতিবেশী দুই দেশই ১৪০ কোটি জনসংখ্যা ছাপিয়ে গিয়েছে। তাহলে কী এবার চিনকে টেক্কা দেবে ভারত? ২০২২ সালে বিশ্বের সবথেকে জনবহুল অঞ্চলের দুটি রয়েছে এশিয়া থেকে। এই রিপোর্টে দেখা গিয়েছে দেশে জনসংখ্যা বৃদ্ধির প্রবণতা যত বেশি, সেই দেশের মাথা পিছু আয় সবচেয়ে কম। যেসব দেশের মাথাপিছু আয়ের পরিমাণ বেশি সেই দেশে জনসংখ্যা বৃদ্ধির প্রবণতা ততটাই কম। ২০৫০ সাল অবধি মোট জনসংখ্যা বৃদ্ধির অর্ধেকেও বেশি শুধুমাত্র ৮টি দেশের মধ্যে সংঘটিত হবে। কঙ্গো, মিশর, ইথিওপিয়া, ভারত, নাইজেরিয়া, পাকিস্তান, ফিলিপিনস এবং তানজানিয়া এই তালিকায় রয়েছে। জাতিসংঘের জনসংখ্যা বিভাগের পরিচালক জন উইলমোথ বলেছেন, ৮০০ কোটিতে পৌঁছানো মানুষের সাফল্যের লক্ষণ, তবে এটি ভবিষ্যতের জন্যও একটি বড় ঝুঁকি।

Previous articleনথি না মেলায় হাইকোর্টে পিছিয়ে গেল অখিল মামলার শুনানি
Next articleআইন হাতে তুলে নিলে ভুগতে হবে: সাঁইথিয়া কাণ্ডে কড়া বার্তা ফিরহাদের