কাতারে বসছে ফুটবল যুদ্ধের আসর, একনজরের দেখে নেওয়া যাক বিশ্বকাপ হতে চলা আটটি স্টেডিয়ামকে

জানা যাচ্ছে, প্রতিটি স্টেডিয়ামেই রয়েছে শীততাপ নিয়ন্ত্রণের ব্যবস্থা। নভেম্বর-ডিসেম্বর মাসেও প্রচুর গরম থাকবে কাতারে।

বেজে গিয়েছে বিশ্বকাপের দামামা। কাতারে বিশ্বকাপ শুরু হতে আর মাত্র বাকি তিনদিন। তারপরই শুরু ফুটবলের বিশ্বযুদ্ধ। ২০ নভেম্বর থেকে শুরু হতে চলা বিশ্বকাপের সমস্ত ম্যাচ হবে কাতারের আটটি স্টেডিয়ামে। সেইসব স্টেডিয়াম গুলিকে ঢেলে সাজান হয়েছে। হাজার হাজার কোটি টাকা খরচ করে চোখ ধাঁধান স্টেডিয়াম বানান হয়েছে। কাতারে বিশ্বকাপের স্টেডিয়াম গুলি খুব বেশি দূরে নয়। ফলে একদিনে একাধিক ম্যাচ দেখতেও সমস্যা হবে না ফ্যানদের। মেট্রো, ট্রাম, বাসে করে চলে যাওয়া যাবে এক স্টেডিয়াম থেকে আরেক স্টেডিয়াম।

জানা যাচ্ছে, প্রতিটি স্টেডিয়ামেই রয়েছে শীততাপ নিয়ন্ত্রণের ব্যবস্থা। নভেম্বর-ডিসেম্বর মাসেও প্রচুর গরম থাকবে কাতারে। ফুটবলার বা দর্শকদের যাতে সেই গরমে অসুবিধা না হয়, তার জন্যই বিশেষ এই ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে কাতার কতৃপক্ষের তরফ থেকে।

এক নজরে দেখে নেওয়া যাক বিশ্বকাপের আট স্টেডিয়ামকে:

১) স্টেডিয়াম ৯৭৪ (Stadium 974): বিশ্বকাপের সাতটি ম্যাচ হবে এই স্টেডিয়ামে। এই স্টেডিয়ামের অদ্ভুত নামকরণ নিয়ে অনেকেরই প্রশ্ন রয়েছে। আয়োজকরা জানিয়েছেন, ৯৭৪টি শিপিং কন্টেনার দিয়ে এই স্টেডিয়াম তৈরি হয়েছে বলে এমন নামকরণ করা হয়েছে। বিশ্বকাপ হয়ে গেলেই এটি ভেঙে ফেলা হবে। এখানে দর্শকাসন ৪০ হাজার।

২) আল জানিয়ুব স্টেডিয়াম (al janoub stadium): নৌকার অনুকরণে এই স্টেডিয়ামটি তৈরি করা হয়েছে। স্টেডিয়ামের ছাদ ঢাকা যায়। তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণের ব্যবস্থাও থাকছে। ফলে যে কোনও সময় ম্যাচ আয়োজন করা যায়। এর দর্শকাসন ৪০ হাজার। বিশ্বকাপের মোট সাতটি ম্যাচ অনুষ্ঠিত হবে এই স্টেডিয়ামে। দর্শকাসন ৪০ হাজার।

 

৩) লুসাইল স্টেডিয়াম (Lusail Stadium): ফাইনাল ও উদ্বোধনী ম্যাচ সহ মোট ১০টি ম্যাচ হবে এই স্টেডিয়ামে। ৮০ হাজার দর্শক একসঙ্গে এই স্টেডিয়ামে বসে ম্যাচ দেখতে পারেন। অনেক অত্যাধুনিক সুযোগ সুবিধা থাকছে এই মাঠে। তবে বিশ্বকাপের পরেই এই স্টেডিয়াম ভেঙে ফেলা হবে।

৪) আল বায়াত স্টেডিয়াম (Al Bayt Stadium): মরুভূমির তাঁবুর মতো দেখতে এই স্টেডিয়াম।  প্রায় ষাট হাজার দর্শক একসঙ্গে খেলা দেখতে পারেন এই স্টেডিয়ামে। তাঁবুর মত দেখতে এই স্টেডিয়ামের ছাদ দিয়েও ভেতরে ঢোকা যায়। দোঁহা থেকে অনেকটা দূরে এই স্টেডিয়াম অবস্থিত হলেও এর পাশেই পাঁচতারা হোটেলে থাকার সুবিধা থাকছে দর্শকদের জন্য।

৫) এডুকেশন সিটি স্টেডিয়াম (Education City Stadium): হিরের আদলে বানান এই স্টেডিয়ামের দর্শকাসন ৪০ হাজার। বিশ্বকাপের আটটি ম্যাচ হবে এখানে। বিশ্বকাপের পর কাতারের মহিলা দল পাকাপাকি ভাবে এই স্টেডিয়াম ব্যবহার করবে। সকালে রোদ পড়লে স্টেডিয়ামটি চকচক করবে। রাতে আলোকসজ্জার ব্যবস্থা থাকছে। গত বছর ফিফার ক্লাব বিশ্বকাপের ফাইনাল হয়েছিল এখানে।

৬) আহমেদ বিন আলি স্টেডিয়াম (Ahmad Bin Ali Stadium): বিশ্বকাপের সাতটি ম্যাচ অনুষ্ঠিত হবে এই স্টেডিয়ামে। কাতারের সংস্কৃতি তুলে ধরা হয়েছে এই স্টেডিয়ামে। কাতারের মরুভূমির কাছে এই স্টেডিয়াম অবস্থিত হওয়ায় তাপমাত্রা খুব বেশি থাকবে।

৭) আল থুমামা স্টেডিয়াম (Al Thumama Stadium): মধ্যপ্রাচ্যে মহিলারা যে ভাবে টুপি পরেন, সেভাবেই বানান হয়েছে এই স্টেডিয়াম। এই স্টেডিয়ামে একসঙ্গে ৪০ হাজার দর্শক এই বসে ম্যাচ দেখতে পারবেন। বিশ্বকাপের আটটি ম্যাচ হবে এখানে। তবে বিশ্বকাপের পরে এই স্টেডিয়ামের দর্শকাসন কমিয়ে অর্ধেক করে দেওয়া হবে। বাকি অংশে মসজিদ ও হোটেল হবে।

৮) খলিফা আন্তর্জাতিক স্টেডিয়াম (Khalifa International Stadium): দর্শকাসন ৪৫,৪১৬। বিশ্বকাপের আটটি ম্যাচ হবে এখানে। এটিই একমাত্র স্টেডিয়াম, যেটি কাতারকে বিশ্বকাপ আয়োজনের দায়িত্ব দেওয়ার আগেই উদ্বোধন করে ফেলা হয়। এটি ১৯৭৬ সালে তৈরি হয়। এটি দেশের পুরুষ ফুটবল দলের স্টেডিয়াম।

আরও পড়ুন:‘মেসিকে বলে এসেছি, ওকে হারিয়েই চ্যাম্পিয়ন হব’, সাক্ষাৎকারে বললেন নেইমার

 

 

Previous articleপঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে তৎপর রাজ্য পুলিশ! বিভিন্ন প্রান্তে তল্লাশি চালিয়ে উদ্ধার তাজা বোমা
Next articleখনি দুর্নীতি মামলায় ইডি দফতরে হাজিরা হেমন্ত সোরেনের