জি-২০ সম্মেলনে ‘যুদ্ধ বিরোধী’ বার্তা মোদির, সন্তুষ্ট বাইডেন

‘বন্ধু’ রাশিয়ার হাত না ছেড়েও ইউক্রেনে যুদ্ধ থামানোর বার্তা দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। আর এতেই আপ্লুত আমেরিকা।

যুদ্ধ বিরোধী বার্তায় জি-২০ সম্মেলন মাতালেন মোদি। চলতি সপ্তাহে ইন্দোনেশিয়ায় শেষ হয়েছে জি-২০ সম্মেলন। যদিও রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধে বিভক্ত বিশ্ব। একদিকে আমেরিকা ও ন্যাটো জোট। অন্যদিকে রাশিয়া, চিন ও ইরান। এমনকী এই পরিস্থিতিতে, ভারসাম্য বজায় রেখে এগোতে চাইছে ভারত। ‘বন্ধু’ রাশিয়ার হাত না ছেড়েও ইউক্রেনে যুদ্ধ থামানোর বার্তা দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। আর এতেই আপ্লুত আমেরিকা।

জি-২০ শীর্ষ নেতৃত্বের সম্মেলন শেষে ঘোষণাপত্রে ভারত অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নিয়েছে বলে শুক্রবার রীতিমতো বিবৃতি দিয়ে জানিয়েছে হোয়াইট হাউস। বিষয়টি নিয়ে হোয়াইট হাউস এর মুখপাত্র কারিন জিন-পিয়ের বলেন, “আমরা একটি সফল জি-২০ শীর্ষ সম্মেলন দেখতে পেয়েছি। বর্তমানে বিশ্বজুড়ে চলা খাদ্য ও জ্বালানি সংকট প্রসঙ্গে আলোচনা করে মজবুত বিশ্ব অর্থনীতি গড়তে পদক্ষেপ করবে জোট। এই বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী মোদির অবদান গুরুত্বপূর্ণ ছিল। আগামী বছর জি-২০ জোটের সভাপতি হিসেবে ভারতকে সমর্থন করব আমরা।”

মাস দুয়েক আগে মোদি পুতিনকে বলেছিলেন, এটা যুদ্ধের সময় নয়।  এবারের সামিটে ইউক্রেন সমস্যার শান্তিপূর্ণ সমাধান চেয়ে বার্তা দেন প্রধানমন্ত্রী মোদি। এটা যুদ্ধ করার সময় নয় বলে মন্তব্য করেন। সেই সুরে সুরে মিলিয়ে সম্মেলন শেষে ইউক্রেনে ‘রুশ আগ্রাসনে’র বিরুদ্ধে যৌথ বিবৃতি দেওয়া হয়। ওই সম্মেলনেই মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন ও প্রধানমন্ত্রী মোদির শরীরী ভাষা থেকেই স্পষ্ট হয়ে যায় ট্রাম্পের উত্তরসূরীর সঙ্গেও ভারতের সম্পর্ক অত্যন্ত মধুর। ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী ঋষি সুনাকের সঙ্গেও সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন প্রধানমন্ত্রী। উল্লেখ্য, গত মঙ্গলবার ইন্দোনেশিয়ার রাজধানী বালিতে শুরু হয় দু’দিনের জি-২০ সামিট। এক বছরের জন্য জি-২০-র সভাপতি পদে থাকবে ভারত। ২০২৩ সালে এই জোটের পরবর্তী সম্মেলন হবে নয়াদিল্লিতে।

 

Previous articleরোহিতের হাত থেকে সরতে চলেছে টি-২০ দলের নেতৃত্বের ভার, ব‍্যাটন উঠতে চলেছে হার্দিকের হাতে: সূত্র
Next articleমুর্শিদাবাদের ১৫ জন স্কুল সাব ইন্সপেক্টরদের নিজাম প্যালেসে তলব সিবিআইয়ের