“কলার ধরে দিলীপকে অ্যারেস্ট করুক সিবিআই”! কেশিয়ারির সভা থেকে বিজেপিকে ধুয়ে দিলেন কুণাল

কুণাল প্রশ্ন তোলেন, দিলীপবাবু কোন বিজেপি? আদি বিজেপি না তৎকাল বিজেপি? তারপরই দিলীপের উদ্দেশে কুণালের পরামর্শ আগে একটা বিজেপি ঠিক করুন তারপর কথা হবে।

কলার ধরে দিলীপ ঘোষকে (Dilip Ghosh) গ্রেফতার (Arrests) করুক সিবিআই (CBI)। তৃণমূলের লোক অন্যায় করলে বাড়িতে সিবিআই যাবে, আর প্রসন্ন রায়ের বাড়িতে ৯৯ লাখ টাকার দলিল পাওয়া গেলেও দিলীপ ঘোষ জেলের বাইরে ঘুরে বেড়াবে দুটো কী করে একসঙ্গে সম্ভব? রবিবার কেশিয়াড়ির জনসভা থেকে বিজেপির সর্ব ভারতীয় সহ সভাপতিকে এভাবেই আক্রমণ করলেন তৃণমূলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক তথা মুখপাত্র কুণাল ঘোষ (Kunal Ghosh)। এদিন কুণাল জানান, আমাদের দাবি খুব পরিষ্কার, যদি সিবিআই-ইডি (CBI-ED) নিরপেক্ষ হয় তাহলে শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতিতে (Teacher Recruitment Scam) দিলীপ ঘোষকে অবিলম্বে গ্রেফতার করা হোক। ওঁর যা বলার জেলে গিয়ে বয়ান দিন।

পাশাপাশি এদিন দিলীপ ঘোষের একাধিক কুমন্তব্যের জবাব দেন কুণাল। তিনি বলেন, সেই কবে থেকে ওনার নানা হুমকি শুনে আসছি। একটা তো অন্তত করে দেখান। বলছে গাড়ি চাপা দিয়ে মারব। এটা ওঁদের জেনেটিক প্রবলেম (Genetic Problem)। এরপর উত্তরপ্রদেশের (Uttar Pradesh) স্মৃতি উসকে তৃণমূলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক বলেন, কৃষকরা যখন আন্দোলন করছিলেন এই বিজেপির কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর ছেলে ধর্নার উপর গাড়ি তুলে দিয়ে গাড়ি চাপা দিয়ে মারল। এটাই ওদের সংস্কৃতি। আর সেই প্রসঙ্গ টেনেই কুণাল বলেন, দিলীপ ঘোষকে পশ্চিমবঙ্গে কাউকে গাড়ি চাপা দিয়ে মারতে হবে না। বিজেপির গাড়ি তার আগেই ব্রেক ফেল হয়ে যাবে। ওই গাড়ি আর চাপা দেওয়ার অবস্থায় থাকবে না। এরপরই কুণাল প্রশ্ন তোলেন, দিলীপবাবু কোন বিজেপি? আদি বিজেপি না তৎকাল বিজেপি? তারপরই দিলীপের উদ্দেশে কুণালের পরামর্শ আগে একটা বিজেপি ঠিক করুন তারপর কথা হবে।

তবে শুধু দিলীপই নন, এদিন কুণাল ঘোষের আক্রমণের তালিকায় ছিলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীও (Suvendu Adhikari)। কুণাল বলেন আমাদের দলের এক বেইমান বিশ্বাসঘাতক, গর্দ্দার হঠাৎ হিন্দু সেজেছে। দেশি হিন্দু। সিবিআই, ইডির হাত থেকে বাঁচতে বিজেপির ঘরে বসে রয়েছে। আমরা আজও সিবিআই, ইডির সামনে মাথা উঁচু করে চোখ তুলে লড়াই করে যাচ্ছি। আর কাপুরুষ, বেহায়া, নির্লজ্জ, শুভেন্দু বিজেপির দরজায় বেঁধে রাখা কুকুরের মত ঘেউঘেউ করছে।

তবে এদিনের সভায় উপস্থিত কর্মী সমর্থকদের উদ্দেশে দলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক বলেন, আপনাদের এই এলাকায় ভালো কাজ হচ্ছে। মিমুল দুধ আপনাদের জেলায় একটা ইতিহাস করতে যাচ্ছে। যারা গোপালন করেন, বাড়িতে গরু আছে তাঁদের আয় এক ধাক্কায় অনেকটা বেড়ে যাবে। মিমুল কো অপারেটিভ আপনাদের থেকে দুধ কিনবে। ইতিমধ্যে কারখানাও তৈরি হয়েছে। এই দুধ থেকে ছানা, পেঁড়া, মিষ্টি দই এমনকি কলকাতার বাজারেও দুগ্ধজাত একাধিক পণ্য সরবরাহ করার পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। কুণাল বলেন, গুজরাটের আমূল যদি সারা ভারতে মার্কেট করতে পারে তাহলে আমি নিশ্চিত সারা ভারতে বাংলার মিমুলও জনপ্রিয়তার শীর্ষে পৌঁছবে। এদিনের সভায় উপস্থিত ছিলেন বিধায়ক পরেশ মুর্মু, সূর্য আট্ট এবং জেলা চেয়ারম্যান অজিত মাইতি সহ দলের একাধিক কর্মী সমর্থকরা।

Previous articleচোখ রাঙাচ্ছে ডেঙ্গি, স্বাস্থ্য পরিষেবা নিয়ে আগামিকাল উচ্চ পর্যায়ের বৈঠক মুখ্যমন্ত্রীর
Next articleহিংসার পাঠ দিয়েছেন বাবাই! বারুইপুর খু*নে চাঞ্চল্যকর স্বীকারোক্তি অভিযুক্ত পুত্রর