Sunday, August 24, 2025

প্রকল্পের নামে প্রধানমন্ত্রী লেখা থাকলে, আমাদের মুখ্যমন্ত্রীও থাকবেন : ফিরহাদ

Date:

Share post:

কেন্দ্রীয় সরকারের বিরুদ্ধে ফের সুর চড়ালেন ফিরহাদ হাকিম।সোমবার জিএসটি, কর-সহ একাধিক বিষয়ে কেন্দ্রকে তোপ দাগলেন ফিরহাদ। সোমবার বিধানসভায় তিনি বলেন, “তুমি তো আলাদা ফান্ড দিচ্ছো না। প্রকল্পের নামে প্রধানমন্ত্রী লেখা থাকলে, আমাদের মুখ্যমন্ত্রীও থাকবেন। জল জীবন মিশনে জমিতেও ৫০ শতাংশ টাকা দিই। গ্রামীণ সড়ক যোজনায় জমি ও টাকা দিচ্ছি। এভাবে টাকা আটকানো যায় না। ভারতের সংবিধান অনুযায়ী টাকা দিতে হবে। আপনি আমাকে টাইট নয়, টাইট দিচ্ছেন গ্রামের মজদুরকে। দিন আনা দিন খাওয়া মানুষকে।

ফিরহাদ এদিন বলেন, “জিএসটি ৫০,১৭৪ কোটি শুধু এই বছর নিয়ে গেছে। আমাদের টাকা তারপরেও দিচ্ছেন না। প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনা, আরবানে কেন্দ্র দেয় ৪৩%। ৫৭% টাকা বাংলার মানুষ দেয়৷ আমি ৪৩ শতাংশ টাকার জন্য কেন্দ্রের নাম দেব? আসলে ওরা বাংলা ভাগে বিশ্বাস করে। গ্রামীণ এলাকায় ওরা ৪০শতাংশ দেয়, আমরা ৬০শতাংশ। কলকাতা শহরে মাত্র ২৫শতাংশ দেয়, আমরা ৭৫শতাংশ দিই। স্বচ্ছ ভারত মিশনে আমরাও ৫০শতাংশ দিচ্ছি। তাহলে তোমার নাম রাখব, আমার নাম কেন রাখব না? সবটাই বাংলার টাকা।”

শুভেন্দুর নাম না করে তিনি বলেন, “বিরোধী দলনেতা দু’দিন আগে টাকা আটকানোর মন্তব্য করলেন। স্টিকার পলিটিক্সের কথা বললেন। আমার ও বাংলার মানুষের কাছে প্রধানমন্ত্রীর নামটা গুরুত্বপূর্ণ না বাংলার গুরুত্বপূর্ণ?” তার সাফ কথা, “বাংলাকে যে স্কিমে টাকা দেওয়া হচ্ছে, সেটা আসলে বাংলার মানুষের করের টাকা। গুজরাটের টাকা দিচ্ছে না। ৪৪,৬৩৮ কোটি টাকা ২০১৮-১৯ সালে কেন্দ্র নিয়ে গেছে। এই টাকার একটা অংশ তিনি দিচ্ছেন। আমাদের করদাতা ৫৬ হাজার কোটির কাছাকাছি। এছাড়া এক্সাইজ, সেস, কাস্টমস ডিউটি আছে। কয়েক লক্ষ কোটি টাকা এরা নিয়ে যান।”

spot_img

Related articles

পরিযায়ী শ্রমিকদের জন্য ‘শ্রমশ্রী’ প্রকল্পে নাম নথিভুক্তি শুরু

পরিযায়ী শ্রমিকদের সুবিধার্থে এবার আরও এক পদক্ষেপ রাজ্য সরকারের। ‘আমাদের পাড়া আমাদের সমাধান’ কর্মসূচির আওতায় দুয়ারে সরকার শিবিরেও...

‘নিখুঁত ভুলগুলি’, উৎপল সিনহার কলম

একটা দুঃখের কথা পথে ও বিপথে ঘুরে প্রত্যাখ্যাত হতে হতে গান হয়ে ওঠে ...একটি দুঃখের কথা পথে ও বিপথে ঘুরে প্রত্যাখ্যাত হতে হতে গান...

ষোলতেই ১৩০ কেজি! ছেলের খাবার জোগাতেই নাজেহাল বাবা-মা

মুর্শিদাবাদ জেলার সাগরদিঘি থানার কাবিলপুর পঞ্চায়েতের মথুরাপুর গ্রাম। এখানেই থাকেন দিনমজুর মুনশাদ আলি। তাঁর ছোট ছেলে জিশান আলি...

কবে থেকে শুরু জয়েন্টের কাউন্সেলিং? দিনক্ষণ জানিয়ে দিল বোর্ড

ফলপ্রকাশের পর এবার ১৫ দিনের মধ্যেই কাউন্সেলিং প্রক্রিয়া তথা ভর্তি প্রক্রিয়া শেষ করবে জয়েন্ট এন্ট্রান্স বোর্ড। এবার কাউন্সেলিং...