খেজুরির সভায় ৩ডিসেম্বর নিয়ে শুভেন্দুকে হুঁশিয়ারি কুণালের

সেই হার্মাদরাই কেন্দ্রীয় বাহিনীর পোশাকে এলাকায় ঢুকছে বলে অভিযোগ করে কুণাল সাফ জানান, কেন্দ্রীয় বাহিনীর নিরাপত্তায় শুভেন্দু গাড়িতে বোমা নিয়ে এলাকায় ঢুকছে।

খেজুরির সভায় সরাসরি কুণালের হুঁশিয়ারি, শুভেন্দু তুমি তৈরি থাকো।৩ডিসেম্বর কাঁথিতে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় খেলা শুরু করবে। সেদিন দেখব দম কতো।বৃহস্পতিবার খেজুরিতে কুণাল স্পষ্ট জানান, আসলে লড়াইটা বেঁচে থাকার লড়াই।প্রতিটা ঘরে মা বোনেদের একটাই পরিচয় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আর বিজেপি এটা মানতে পারছে না বলে এত কুৎসা, টাকা আটকে দেওয়া, এজেন্সির খেলা চলছে।
রাজ্যের বিরোধী দলনেতার ‘হার্মাদ মুক্ত দিবস’ পালনকে কটাক্ষ করে তৃণমূল রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ বলেন, যারা একদিন অত্যাচার করেছিল, হামলা করেছে, সেই হার্মাদরা আজকে শুভেন্দুর সঙ্গে এলাকায় ঢুকতে চাইছে। বিজেপিতে হার্মাদরা আশ্রয় নিয়েছে। নন্দীগ্রাম খেজুরির অত্যাচারী হার্মাদদের একটা বড় অংশ এখন বিজেপিতে গিয়েছে।
সেই হার্মাদরাই কেন্দ্রীয় বাহিনীর পোশাকে এলাকায় ঢুকছে বলে অভিযোগ করে কুণাল সাফ জানান, কেন্দ্রীয় বাহিনীর নিরাপত্তায় শুভেন্দু গাড়িতে বোমা নিয়ে এলাকায় ঢুকছে। শুভেন্দুর কনভয়ে তল্লাশি চাই।অভিযোগ আসছে, কেন্দ্রীয় বাহিনী নিরাপত্তায় এলাকায় বোমা অস্ত্র ঢোকানো হচ্ছে। শুভেন্দুকে বাঘছাল পরা বেড়াল বলে কটাক্ষ করেন কুণাল। বলেন, বিজেপি লড়াইটা কে কুৎসা আর ব্যক্তিকেন্দ্রিকতার দিকে নিয়ে যাচ্ছে।একবার ভাবুন, গ্যাসের দাম বাড়লো কেন ? কেরোসিনের দাম কত ? মাটিতে যে সার দেবেন তার দাম বাড়ল কেন ?
মিঠুন চক্রবর্তীর বিজেপিতে সক্রিয়তা প্রসঙ্গে কুণাল বলেন, মিঠুনদার নিজেকে তো গোখরো-কেউটে বলেন আসলে লাউডগা। মিঠুনদাকে সামনে পেলে একবার জিজ্ঞেস করবেন, আপনি কখন কোন দলে ছিলেন। বলতে পারবে না। কারণ, সিনেমার কন্ট্রাক্ট সউ করার মতো দলবদলে সই করে।
কুণালের কটাক্ষ, মিঠুনদা প্রথমে নকশাল, তারপর জ্যোতি আঙ্কেলকে প্রণাম, ২০১১ সালের পর মহাকরণে গিয়ে দিদির পা ধরে বলেছিল ভুল হয়ে গেছে মমতা ক্ষমা করে দাও। সাক্ষী ছিলাম আমি, সাক্ষাৎ করিয়েছিলাম আমি। ২০১৪ সালে দিদি ওকে রাজ্যসভায় পাঠালেন অথচ মাঝপথে উধাও।
কুণাল এদিন স্মরণ করিয়ে দেন, নন্দীগ্রামে শান্তি ফেরাতে দুটো মিছিল হয়েছিল। একটা বুদ্ধিজীবী-শিল্পীদের, আর একটা প্রতিবাদী মঞ্চের। যেখানে দাবি ছিল হার্মাদ হটাও নন্দীগ্রামে শান্তি দাও। সেখানে মিঠুনদাকে ডাকা হয়েছিল কিন্তু মিঠুনদা সাড়া দেননি। হার্মাদদের সমর্থনে সিপিএম যে মিছিল করেছিল সেই মিছিলে সেদিন পা মিলিয়েছিলেন মিঠুনতদা।বিজেপি কর্মীদের বলবো, ওকে দেখতে যাবেন কিন্তু ভোটটা তৃণমূলকে দেবেন। কুণালের কটাক্ষ, বিজেপি এখন নকল কিছু দলবদলুকে দিয়ে কুৎসা করাচ্ছে।
কুণালের সাফ কথা, হার্মাদরা শুভেন্দুর সঙ্গে নন্দীগ্রামে ঢুকতে চাইছিল, আর সেই হার্মাদদের সমর্থনে মিছিলে হেঁটেছিল যে মিঠুনদা সেও আজকে বিজেপিতে। আসলে বিজেপি হার্মাদদের প্রতিনিধি।মমতাদি শুভেন্দুর চোখ দিয়ে দেখেছিলেন খেজুরিকে নন্দীগ্রামকে। আর আজকে তারাই বিজেপির পা চাটছে। কুণাল বলেন, এই দলবদলু চক্রান্তকারী হার্মাদদের হাত শক্ত করবেন না।
খেজুরির সভা শেষে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে কুণাল বলেন, বিজেপির বিভিন্ন স্তরের নেতৃত্ব ব্যাকডোর পলিটিক্স করছেন। অন্য কুৎসা করছেন। বঙ্গভঙ্গ করতে চাইছেন। আলাদা রাজ্য বা কেন্দ্র শাসিত অঞ্চল করতে চাইছেন। মুখ্যমন্ত্রী বারবার সব জায়গায় ছুটে যাচ্ছেন। বিজেপি ভাঙতে চাইছে। নিয়মিত ভাঙতে চাইছে। মানুষ বিজেপিকে দেখলেই প্রশ্ন করুক, কেন বাংলাকে ভাগ করতে চাইছ? এদের পুরোদস্তুর বয়কট করুন। আমরা মানুষের পাশে ছিলাম, আছি, থাকব। এদিন সভার পর জনসংযোগে বেরিয়ে স্থানীয় মন্দিরে পুজো দেন কুণাল।

 

Previous articleমাসের শেষেই রাজ্যে আসতে পারেন জগদীপ ধনকড়! উপরাষ্ট্রপতি হিসেবে এই প্রথম
Next articleবিশ্বকাপে ফের হেয়ার স্টাইল বদলালেন নেইমার