পরিবারের লোক দেখা করতে এসে মাথায় হাত। বেডে নেই রোগী। মাঝে দুদিন আসা হয়নি। আর তারপর হাসপাতালে এসেই মাথায় হাত পরিবারের সদস্যদের। শুরু হয় খোঁজা-খুঁজির পালা। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে এরপর বিষয়টি জানালে উল্টে রোগীর পরিবারের দিকেই দায়িত্ব-জ্ঞানহীনতার অভিযোগ তোলে কর্তৃপক্ষ। এসএসকেএম হাসপাতালের ঘটনা।

রোগীর পরিবারের অভিযোগ, আমতলার বাসিন্দা বিশ্বনাথ রায়কে (Biswanath Roy) গত ১৯শে নভেম্বর হার্নিয়া অস্ত্রোপচারের (Operation) জন্য এসএসকেএম-এর মেন ব্লকের কার্জন ওয়ার্ডে ভর্তি করা হয়। দুদিন পর অস্ত্রোপচারের তারিখ দেন চিকিৎসকরা। সেই মতো গত ২১ তারিখ হাসপাতালে (Hospital) পৌঁছয় রোগীর পরিবার। কিন্তু ওয়ার্ডে (Ward) গিয়ে দেখেন বেডে নেই বিশ্বনাথবাবু।
এরপরই বিষয়টি কর্তব্যরত নার্সদের (Nurse) জানানো হয়। বহু খোঁজার পরও রোগীকে না পেয়ে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে পুরো বিষয়টি জানাতে বাধ্য হন পরিবারের সদস্যরা। কিন্তু পরিবারের দাবি উল্টে তাঁদের দিকেই দায়িত্ব-জ্ঞানহীনতার আঙুল তোলেন এসএসকেএম কর্তৃপক্ষ। এদিকে বিশ্বনাথবাবুর কাছে থাকা ফোনটিও কার্যত বন্ধ রয়েছে বলে জানিয়েছেন পরিবার।

পরিবারের দাবি, হাসপাতালের সিসিটিভি ফুটেজে (CCTV footage) দেখা গেছে মেন গেট থেকে বেরিয়ে গিয়েছেন বিশ্বনাথবাবু। রোগীকে খুঁজে পেতে এরপর ভবানীপুর থানায় (Bhawanipur Police Station) দারস্থ হন পরিবার। দায়ের করা হয় লিখিত অভিযোগ। তবে এখনও পর্যন্ত নিখোঁজ ব্যক্তির কোনো হদিশ মেলেনি।

ঘটনা প্রসঙ্গে বিশ্বনাথ রায়ের পরিবারের এক সদস্য বলেন, উনি হাঁটাচলা করতে পারতেন। সেই কারণে আমাদের কেউ রাতে হাসপাতালে থাকতেন না। ২১ তারিখ হাসপাতালে গিয়ে দেখি রোগী বেডে নেই। এরপর আমরা জানাই হাসপাতালকে।

অন্যদিকে, এসএসকেএম কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, ওয়ার্ড থেকে রোগী নিখোঁজ হওয়ার অভিযোগের ক্ষেত্রে দেখা যায় সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি নিজে থেকেই চলে যান। সেক্ষেত্রে গাফিলতির অভিযোগ তোলা ঠিক নয়। বেশিরভাগ ক্ষেত্রে পরিবারের প্রতি অভিমান বা চিকিৎসার কারণে তিনি পরিবারের বোঝা হয়ে দাঁড়াচ্ছেন, এই ভাবনা থেকেই ঘটনাগুলো ঘটে। এক্ষেত্রে ঠিক কী ঘটেছে দেখতে হবে। পুলিশি তদন্তে দেখা যাক কী উঠে আসে।
