কেন্দ্রীয়ভাবে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের শিক্ষক নিয়োগের ইন্টারভিউ ডিসেম্বরের তৃতীয় সপ্তাহে !

কেন্দ্রীয়ভাবে অর্থাৎ প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের কেন্দ্রীয় কার্যালয় থেকেই চাকরিপ্রার্থীদের ইন্টারভিউ প্রক্রিয়া পরিচালনা করতে চায় পর্ষদ। পর্ষদ সূত্রে জানা গিয়েছে, এই বিষয় নিয়ে আইন দফতরের সম্মতিও নিতে চলেছে পর্ষদ।

প্রাথমিকের টেট শেষ হলেই শিক্ষক নিয়োগের ইন্টারভিউ নেওয়ার প্রক্রিয়া শুরু করবে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ। ডিসেম্বরের তৃতীয় সপ্তাহের পর থেকেই ইন্টারভিউ নেওয়া্র পরিকল্পনা প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের। ইতিমধ্যেই তার চূড়ান্ত প্রস্তুতিও শুরু হয়ে গিয়েছে। এমনকী ইন্টারভিউ প্রক্রিয়ার ক্ষেত্রেও পদ্ধতিগত একাধিক বদল এনেছে পর্ষদ। এতদিন বিভিন্ন জেলার প্রাথমিক শিক্ষা সংসদের অফিসগুলি ইন্টারভিউ পরিচালনা করত। বিভিন্ন জেলা থেকে যত সংখ্যক আবেদন আসত সেই আবেদনের নিরিখেই চাকরিপ্রার্থীদের জেলা শিক্ষা সংসদ অফিসগুলিতেই ইন্টারভিউয়ের জন্য ডাকা হত। কিন্তু এ বার এই নিয়মে বদল আনতে চলেছে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ।
কেন্দ্রীয়ভাবে অর্থাৎ প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের কেন্দ্রীয় কার্যালয় থেকেই চাকরিপ্রার্থীদের ইন্টারভিউ প্রক্রিয়া পরিচালনা করতে চায় পর্ষদ। পর্ষদ সূত্রে জানা গিয়েছে, এই বিষয় নিয়ে আইন দফতরের সম্মতিও নিতে চলেছে পর্ষদ। আইন দফতরের সম্মতি পেলেই দ্রুত তা কার্যকর করতে চায় পর্ষদ।শিক্ষা সংসদগুলির অফিসে ইন্টারভিউ পরিচালনার জন্য একাধিক গড়মিল হয়েছে বলেও অভিযোগ হয়েছে বলেই পর্ষদ জানা গিয়েছে।সেই জন্যই শিক্ষা সংসদগুলির ক্ষমতা খর্ব করে কেন্দ্রীয়ভাবেই ইন্টারভিউ নিতে চায় পর্ষদ।
তবে সেক্ষেত্রে অঞ্চল ভাগ করে ইন্টারভিউ নেওয়া হতে পারে। সেক্ষেত্রে উত্তরবঙ্গে পৃথক জোন করে উত্তরবঙ্গের চাকরিপ্রার্থীদের ইন্টারভিউ নেওয়া হতে পারে। যদিও এই বিষয় নিয়ে কোন মন্তব্য করতে চাননি প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের সভাপতি। পর্ষদের আধিকারিকদের যুক্তি স্কুল সার্ভিস কমিশন বা কলেজ সার্ভিস কমিশন কেন্দ্রীয়ভাবে ইন্টারভিউ পরিচালনা যদি এতদিন করে থাকে সে ক্ষেত্রে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের ক্ষেত্রেও কোনও আইনি জটিলতা থাকবে না।
এই প্রক্রিয়ার মাধ্যমে নিয়োগকে কেন্দ্র করে যে অভিযোগ উঠে এসেছে সেই অভিযোগের প্রেক্ষিতেও স্বচ্ছতা আনা যাবে বলেও মনে করছেন পর্ষদের আধিকারিকরা। প্রসঙ্গত, প্রাথমিকের শিক্ষক নিয়োগের জন্য ৪০ হাজারেরও বেশি আবেদন অনলাইনে ইতিমধ্যেই জমা পড়েছে পর্ষদে। এ প্রসঙ্গে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের সভাপতি গৌতম পাল বলেন, “আমরা চাইছি ডিসেম্বর থেকেই ইন্টারভিউ প্রক্রিয়া শুরু করতে। তবে টেট শেষ না হওয়ার আগে ইন্টারভিউ প্রক্রিয়া শুরু করা সম্ভব নয়।”
তবে ইন্টারভিউ শুরু করার আগে কেন্দ্রীয়ভাবে ইন্টারভিউ পরিচালনা করার জন্য স্কুল শিক্ষা দফতর ও আইন দফতরের সম্মতি দ্রুত নিতে চায় পর্ষদ। তার জন্য ইতিমধ্যেই প্রশাসনিক স্তরে বৈঠক ও শুরু করেছে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ বলেই সূত্রের খবর।
ইতিমধ্যেই নিয়োগের গোটা প্রক্রিয়া ভিডিও রেকর্ডিং করা হবে বলে সিদ্ধান্ত নিয়েছে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ। অর্থাৎ ভেরিফিকেশন থেকে শুরু করে ইন্টারভিউ পুরো প্রক্রিয়াটাই প্রত্যেক চাকরি প্রার্থীর ভিডিও রেকর্ডিং করা হবে পর্ষদের তরফে। আগামী দিনে কোন অভিযোগ উঠলে যাতে সঙ্গে সঙ্গে সেই অভিযোগে উত্তর দিতে পারে পর্ষদ তার জন্য এই পদক্ষেপ ইতিমধ্যেই নেওয়া হয়েছে বলে পর্ষদ সূত্রে জানা গিয়েছে।

 

Previous articleভারতের দেখানো পথেই USA! চিনা টেলিকম সরঞ্জামে নিষেধাজ্ঞা বাইডেনের
Next articleফের বড় সিদ্ধান্ত বিসিসিআইয়ের, ছেঁটে ফেলা হল বিরাটদের এই কোচকে