আলোর নস্টালজিয়ায় ফিরছে ইতিহাস জর্জরিত বো ব্যারাক

প্রথম বিশ্বযুদ্ধের সময় সেনাবাহিনীর থাকার প্রধান জায়গা ছিল বো ব্যারাকের লাল রঙের দু একটি বাড়ি। এরপর অ্যাংলো ইন্ডিয়ান সোসাইটির থাকার অন্যতম জায়গা হয়ে ওঠে বো ব্যারাক রোড। বিশ্বযুদ্ধের সময় এই এলাকায় বসানো হয়েছিল ভেপার ল্যাম্প পোস্ট।

ইতিহাস রোমন্থিত কলকাতার (Kolkata) বো ব্যারাকের (Bow barracks)ঝলমলে দিন আজ ঠাঁই পেয়েছে স্মৃতির পাতায়। যুদ্ধ ফেরত সৈনিকের পদধ্বনি আর নেই। চেনা ছবিটা বদলেছে বেশ কয়েক বছর হয়ে গেল। তবে বছরের একদম শেষ লগ্নে ২৫শে ডিসেম্বর থেকে ১লা জানুয়ারি পর্যন্ত আলোয় সেজে ওঠে কলকাতা বো ব্যারাক (Bow barracks)। ভিড় করেন উৎসাহী মানুষজন। যেন ক্রিসমাসের (Christmas)সময়েই বো ব্যারাকের সোনালি দিন ফিরে আসে। নতুন বছরের বাকি দিনে আবার সেই পুরনো ছবি । তবে এবার সেই ছবিটা বদলাতে চলেছে। কারণ স্থায়ীভাবে কলকাতা বো ব্যারাককে (Bow barracks)আলোর রোশনাইতে সাজিয়ে তুলতে উদ্যোগ নিচ্ছে কলকাতা পুরসভা (Kolkata Municipal Corporation)।

প্রথম বিশ্বযুদ্ধের সময় সেনাবাহিনীর থাকার প্রধান জায়গা ছিল বো ব্যারাকের লাল রঙের দু একটি বাড়ি। এরপর অ্যাংলো ইন্ডিয়ান সোসাইটির থাকার অন্যতম জায়গা হয়ে ওঠে বো ব্যারাক রোড। বিশ্বযুদ্ধের সময় এই এলাকায় বসানো হয়েছিল ভেপার ল্যাম্প পোস্ট। সেই ল্যাম্প পোস্টের আদলেই এবার পুরোনো আমলের নকশা করা মোনোপোল ল্যাম্প পোস্ট বসানোর উদ্যোগ নিতে চলেছে কলকাতা পুরসভার বিদ্যুৎ বিভাগ (Electricity Department of Kolkata Municipal Corporation)। অ্যাংলো ইন্ডিয়ান (Anglo Indian)এই বো ব্যারাক পাড়াতে ব্লু প্লাক বসানো যায় কিনা সে ব্যাপারে কলকাতা পুরসভার সঙ্গে শীঘ্রই বৈঠকে বসবে ইনট্যাক। তবে এই পাড়ায় বসবাসকারী ১৪০ পরিবারের সঙ্গে আলোচনা করে তবেই চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে বলে জানিয়েছে ইনট্যাক। তবে প্রতিবছরের মতো এ বছরও বড়দিনে বিশেষ সাজে সাজবে বো ব্যারাক। পুরনো পরিবেশকে ফিরিয়ে আনতে চিরস্থায়ী মোনোপোল ল্যাম্প পোস্ট বসিয়ে আলো-আঁধারি পরিবেশের মাধুর্য তৈরি করতে চাইছে পুরসভা। এই প্রসঙ্গে কলকাতার মেয়র পারিষদ সন্দীপ বক্সী বলেন, “আমি নিজে এই প্রস্তাব মেয়র পারিষদের বৈঠকে রাখব।” পুরসভার আধিকারিকদের সঙ্গেও একপ্রস্থ আলোচনা হয়েছে বলেও জানা যাচ্ছে।

 

Previous articleরোটারি ক্লাব অফ কসবার উদ্যোগে অনুষ্ঠিত হল সোশ্যাল ইমপ্যাক্ট এক্সেলেন্স অ্যাওয়ার্ড
Next articleবকেয়া না দিয়ে এবার ১০০ দিনের কাজে রাজ্যের অধিকার খর্ব করছে কেন্দ্র