Monday, August 25, 2025

বকেয়া না দিয়ে এবার ১০০ দিনের কাজে রাজ্যের অধিকার খর্ব করছে কেন্দ্র

Date:

Share post:

মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee) বারবার দরবার করা সত্ত্বেও রাজ্যের ১০০দিনের বকেয়া দিচ্ছে না কেন্দ্র। এবার উল্টে রাজ্যের অধিকার খর্ব করছে মোদি সরকার। পাকাপাকি ভাবে ওই প্রকল্পে রাজ্যের অধিকার ছাঁটার উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে। সূত্রের খবর, মহাত্মা গান্ধী গ্রামীণ কর্ম নিশ্চয়তা আইনে কিছু রদবদলের উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে কেন্দ্রের (Centre) তরফে। যার ফলে ওই প্রকল্পের উপর রাজ্য সরকারের অধিকার খর্ব হতে চলেছে।

কেন্দ্রের যদিও দাবি দ্রুত প্রকল্পের রূপায়ণ, যথাযথ কাজ নির্বাচন করা এবং সর্বোপরি দুর্নীতি আটকানো। এতে রাজ্যের অধিকার খর্ব হচ্ছে বলে মানতে নারাজ মোদি সরকার। উল্টে তাদের দাবি, যেহেতু এই প্রকল্পের ১০০ শতাংশ অর্থই কেন্দ্র সরকার প্রদান করে তাই এই প্রকল্পের ওপর সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ রাখতে চায় কেন্দ্র সরকার। ১০০ দিনের কাজের প্রকল্পে কারা কাজ পাবেন, তাঁদের জবকার্ড দেওয়া, কোন ধরনের কাজ হবে এই সব ক্ষেত্রেই রাজ্য সরকারের অধিকার ছিল। কিন্তু এবার সেখানেই পরিবর্তন আনতে চলেছে মোদি সরকার।

এই প্রকল্পের উপর থেকে রাজ্য সরকারের অধিকার খর্ব করতে চাইছে মোদি সরকার। কার্যত গোটা প্রকল্পই তারা নিজেদের হাতে নিতে চাইছে। প্রকল্পের দ্রুত রূপায়ণ, জবকার্ডধারীদের দ্রুত অর্থ বরাদ্দ, প্রকল্পের ক্ষেত্রে বরাদ্দ করা অর্থের সঠিক ব্যবহার, মূলত এই ৩টি ক্ষেত্রে জোর দিতে চায় মোদি সরকার। এই প্রকল্পের আইনে সংশোধনী এনে কেন্দ্র প্রকল্পের ক্ষেত্রে গাইডলাইন (Guide Line) বেঁধে দেবে যা মেনে কাজ করাতে হবে। রাজ্যগুলিতে গ্রাম পঞ্চায়েতের মাধ্যমে প্রকল্পের রূপায়ণ হলেও কোন এলাকার জন্য কোন কাজ করতে হবে, তাতে কারা কারা কাজ পাবেন এবং কতদিনের মাধ্যমে সেই কাজ রূপায়িত করতে হবে সেটাও ঠিক করে দেবে কেন্দ্রীয় সরকার।

১০০ দিনের কাজের প্রকল্পের ক্ষেত্রে এই পরিবর্তন আনার জন্য কেন্দ্রীয় সরকার গত অক্টোবর মাসেই এই সংক্রান্ত একটি বিশেষজ্ঞ কমিটি গঠন করে। কেন্দ্রীয় গ্রামোন্নয়ন মন্ত্রক সেই কমিটির আহ্বায়ক। তবে প্রধানমন্ত্রী, কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী, এবং নীতি আয়োগও কমিটিকে পরামর্শ দেবেন সময়ে সময়ে। ছয় সদস্যবিশিষ্ট ওই কমিটির প্রধান কাজ হবে, বিগত ১৫ বছর ধরে ১০০ দিনের প্রকল্প রূপায়ণের রূপরেখা কেমন ছিল তার খুঁটিনাটি বিশ্লেষণ করা। পাশাপাশি, কেন্দ্রীয় অর্থ বরাদ্দ ও ব্যবহারে কোন রাজ্য কতটা সফল সেটাও দেখবে তাঁরা। তারপর ঠিক হবে, কোথায় কী বদল করা যায়। এই পুরো প্রক্রিয়া শেষে তিন মাসের মধ্যে সরকারের কাছে রিপোর্ট পেশ করবে কমিটি। তবে, এত সব করার পরেও বকেয়া মেটানো নিয়ে কোনও শব্দ করেনি কেন্দ্র।

spot_img

Related articles

কলকাতার সর্বজনীন পুজো ডিরেক্টারি: দু-মলাটে বাংলার দুর্গোৎসবের ৪৩৪ বছরের ইতিহাস

রবিবাসরীয় সন্ধেয় গড়িয়াহাটের একটি ব্যাঙ্কয়েটে আড্ডার আবহে প্রকাশিত হল সাংবাদিক-লেখক সম্রাট চট্টোপাধ্যায়ের বই 'কলকাতার সর্বজনীন পুজো ডিরেক্টারি'। উপস্থিত...

তৃণমূল–সমাজবাদী পার্টির পথে এবার আম আদমি পার্টি! জেপিসিতে থাকছে না আপও 

সংবিধান সংশোধনী বিল খতিয়ে দেখতে গঠিত যৌথ সংসদীয় কমিটি (জেপিসি) থেকে দূরে থাকার সিদ্ধান্ত নিল আম আদমি পার্টি।...

মোদির বিরুদ্ধে সরব! হিটলারি কোপে লাদাখের সোনম ওয়াংচু

দফা এক দাবি এক। লাদাখের জন্য একই দাবিতে আজও অনড় সমাজকর্মী সোনম ওয়াংচু (Sonam Wangchuk)। লাদাখের জমি, যা...

শান্তিপুরে মহিলা স্বয়ম্ভর গোষ্ঠীর ভোটে গোহারা বিজেপি! ২৬-৪-এ জয়ী তৃণমূল 

এসআইআর ইস্যু নিয়ে রাজ্যে বিজেপির মাতামাতির মধ্যে নদিয়ার শান্তিপুরে মহিলা স্বনির্ভর গোষ্ঠীর ক্লাস্টার কমিটির নির্বাচনে বড় সাফল্য পেল...