Sunday, August 24, 2025

বকেয়া না দিয়ে এবার ১০০ দিনের কাজে রাজ্যের অধিকার খর্ব করছে কেন্দ্র

Date:

মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee) বারবার দরবার করা সত্ত্বেও রাজ্যের ১০০দিনের বকেয়া দিচ্ছে না কেন্দ্র। এবার উল্টে রাজ্যের অধিকার খর্ব করছে মোদি সরকার। পাকাপাকি ভাবে ওই প্রকল্পে রাজ্যের অধিকার ছাঁটার উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে। সূত্রের খবর, মহাত্মা গান্ধী গ্রামীণ কর্ম নিশ্চয়তা আইনে কিছু রদবদলের উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে কেন্দ্রের (Centre) তরফে। যার ফলে ওই প্রকল্পের উপর রাজ্য সরকারের অধিকার খর্ব হতে চলেছে।

কেন্দ্রের যদিও দাবি দ্রুত প্রকল্পের রূপায়ণ, যথাযথ কাজ নির্বাচন করা এবং সর্বোপরি দুর্নীতি আটকানো। এতে রাজ্যের অধিকার খর্ব হচ্ছে বলে মানতে নারাজ মোদি সরকার। উল্টে তাদের দাবি, যেহেতু এই প্রকল্পের ১০০ শতাংশ অর্থই কেন্দ্র সরকার প্রদান করে তাই এই প্রকল্পের ওপর সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ রাখতে চায় কেন্দ্র সরকার। ১০০ দিনের কাজের প্রকল্পে কারা কাজ পাবেন, তাঁদের জবকার্ড দেওয়া, কোন ধরনের কাজ হবে এই সব ক্ষেত্রেই রাজ্য সরকারের অধিকার ছিল। কিন্তু এবার সেখানেই পরিবর্তন আনতে চলেছে মোদি সরকার।

এই প্রকল্পের উপর থেকে রাজ্য সরকারের অধিকার খর্ব করতে চাইছে মোদি সরকার। কার্যত গোটা প্রকল্পই তারা নিজেদের হাতে নিতে চাইছে। প্রকল্পের দ্রুত রূপায়ণ, জবকার্ডধারীদের দ্রুত অর্থ বরাদ্দ, প্রকল্পের ক্ষেত্রে বরাদ্দ করা অর্থের সঠিক ব্যবহার, মূলত এই ৩টি ক্ষেত্রে জোর দিতে চায় মোদি সরকার। এই প্রকল্পের আইনে সংশোধনী এনে কেন্দ্র প্রকল্পের ক্ষেত্রে গাইডলাইন (Guide Line) বেঁধে দেবে যা মেনে কাজ করাতে হবে। রাজ্যগুলিতে গ্রাম পঞ্চায়েতের মাধ্যমে প্রকল্পের রূপায়ণ হলেও কোন এলাকার জন্য কোন কাজ করতে হবে, তাতে কারা কারা কাজ পাবেন এবং কতদিনের মাধ্যমে সেই কাজ রূপায়িত করতে হবে সেটাও ঠিক করে দেবে কেন্দ্রীয় সরকার।

১০০ দিনের কাজের প্রকল্পের ক্ষেত্রে এই পরিবর্তন আনার জন্য কেন্দ্রীয় সরকার গত অক্টোবর মাসেই এই সংক্রান্ত একটি বিশেষজ্ঞ কমিটি গঠন করে। কেন্দ্রীয় গ্রামোন্নয়ন মন্ত্রক সেই কমিটির আহ্বায়ক। তবে প্রধানমন্ত্রী, কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী, এবং নীতি আয়োগও কমিটিকে পরামর্শ দেবেন সময়ে সময়ে। ছয় সদস্যবিশিষ্ট ওই কমিটির প্রধান কাজ হবে, বিগত ১৫ বছর ধরে ১০০ দিনের প্রকল্প রূপায়ণের রূপরেখা কেমন ছিল তার খুঁটিনাটি বিশ্লেষণ করা। পাশাপাশি, কেন্দ্রীয় অর্থ বরাদ্দ ও ব্যবহারে কোন রাজ্য কতটা সফল সেটাও দেখবে তাঁরা। তারপর ঠিক হবে, কোথায় কী বদল করা যায়। এই পুরো প্রক্রিয়া শেষে তিন মাসের মধ্যে সরকারের কাছে রিপোর্ট পেশ করবে কমিটি। তবে, এত সব করার পরেও বকেয়া মেটানো নিয়ে কোনও শব্দ করেনি কেন্দ্র।

Related articles

বিহারে এত পাক নাগরিক! জানেই না প্রশাসন

বাংলার অরক্ষিত সীমান্ত পেরিয়ে বাংলাদেশের নাগরিকদের অনুপ্রবেশ নিয়ে চিৎকার করছেন অমিত শাহ। এবার সীমান্তে অমিত শাহের (Amit Shah)...

চলন্ত ট্রেনের ওপর ছিঁড়ে পড়ল বিদ্যুতের তার, আতঙ্কিত যাত্রীরা

বড়সড় ট্রেন দূর্ঘটনার হাত থেকে রক্ষা। সঠিক সময়ে ট্রেন দাঁড় না করালে রবিবার সকালেই ঘটে যেত এক ভয়ঙ্কর...

দরিদ্রতম মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, দেশে সবচেয়ে ধনী মুখ্যমন্ত্রী কে? রইল তালিকা

দেশে কোটিপতি মুখ্যমন্ত্রীদের ভিড়ে ব্যতিক্রম শুধু একজন। তিনি মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়(Mamata Banerjee)। বর্তমানে দেশে সবথেকে গরিব মুখ্যমন্ত্রী তিনি।...

ধর্ষিত মূক- বধির-বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন কিশোরীর পাশে নেই যোগী সরকার!

যোগীরাজ্যে(Yogi Adityanath) মূক ও বধির বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন কিশোরীর(Disabled Girl) নৃশংস ধর্ষণ (Brutal Rape)। পাশে দাঁড়ায়নি সরকার। ফলে মেয়েকে...
Exit mobile version