বিরোধীদের আচরণে ক্ষুব্ধ অধ্যক্ষের কড়া সিদ্ধান্ত, বিমানের বিরুদ্ধেই অনাস্থা আনতে চায় বিজেপি!

সোমবার, বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী জানান, এ বিষয়ে বিজেপির পরিষদীয় দল আলোচনা করবে। তার পরই চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। বিজেপির এই আচরণে ব্যথিত এবং ক্ষুব্ধ বিমান বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, অধিবেশন কক্ষে থাকা স্বত্বেও বারবার ডাকার পরেও বিধায়করা জবাব দেননি বরং স্লোগান-সাউটিং চালিয়ে যান। যা বিধানসভা ও অধ্যক্ষের অবমাননাকর।

রাজ্যের উন্নয়নে কোনও গঠনমূলক আলোচনা নয়। বারবার বিভিন্ন অজুহাতে বিধানসভার অধিবেশন থেকে ওয়াকআউট (Walk Out) করে চলেছে বিজেপি (BJP)। আদালতে বিচারাধীন বিষয় নিয়েও অধিবেশনে আলোচনা চাইছে তারা। অনুমতি না দেওয়ায় এবার বাজেট অধিবেশনে অধ্যক্ষ বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Biman Banerjee) বিরুদ্ধেই অনাস্থা প্রস্তাব আনতে পারে বিজেপি।

সোমবার, বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী জানান, এ বিষয়ে বিজেপির পরিষদীয় দল আলোচনা করবে। তার পরই চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। বিজেপির এই আচরণে ব্যথিত এবং ক্ষুব্ধ বিমান বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, অধিবেশন কক্ষে থাকা স্বত্বেও বারবার ডাকার পরেও বিধায়করা জবাব দেননি। বরং স্লোগান-সাউটিং চালিয়ে যান। যা বিধানসভা ও অধ্যক্ষের অবমাননাকর। সেকারণেই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে অধিবেশনের বাকি দুদিন ওই বিধায়করা উল্লেখ পর্বে নিজেদের কোনও বিষয় তুলে ধরতে পারবেন না। অধ্যক্ষের কথায়, বিধানসভা সুষ্ঠু ভাবে পরিচালনা করার জন্য সরকারপক্ষের মতো বিরোধী পক্ষেরও নির্দিষ্ট দায়িত্ব রয়েছে। কিন্তু দুঃখের বিষয় বিরোধীরা নিজেদের দ্বায়িত্ব সঠিকভাবে পালন করছেন না।

বিধানসভার অধিবেশনেও হাওয়া গরমের রাজনীতি করছে বিজেপি। সোমবার, শিক্ষক নিয়োগ নিয়ে বিজেপির আনা মুলতুবি প্রস্তাবে সংগত কারণেই বিধানসভায় আলোচনার অনুমতি দেননি অধ্যক্ষ। তখনই শুরু হয় বিজেপির গোলমাল। বিধানসভার কাজকর্মে অংশ না নিয়ে বিজেপি সদস্যরা সভাকক্ষে স্লোগান দিতে শুরু করেন। বিজেপির চার বিধায়ক উল্লেখ পর্বের জন্য প্রস্তাব জমা দিয়েছিলেন। কিন্তু অধ্যক্ষ ওই চার সদস্যের নাম ডাকলেও তাঁরা উত্তর না দিয়ে স্লোগান চিৎকার চালিয়ে যান। কিছুক্ষণ পরে তাঁরা অধিবেশন কক্ষ থেকে ওয়াক আউট করেন। পোস্টার ব্যানার হাউজের বাইরে রেখে রীতিমতো তৈরি হয়ে গিয়েছিলেন তাঁরা। বিষয়টি যে পূর্ব পরিকল্পিত তা স্পষ্ট। এর পরে, বিরোধী দলনেতা বলেন, বাজেট অধিবেশনে অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাব আনতে পারে বিজেপি। পাল্টা বিমান বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, অধিবেশন কক্ষে থাকা স্বত্বেও বারবার ডাকার পরেও বিধায়করা জবাব দেননি। বরং স্লোগান-সাউটিং চালিয়ে যান। যা বিধানসভা ও অধ্যক্ষের অবমাননাকর।

Previous articleপ্রশ্নফাঁস নয়, সরকার ও পর্ষদের ভাবমূর্তি নষ্টের প্রচেষ্টা চলছে: সরব গৌতম পাল
Next articleপিছিয়ে থেকেও সার্বিয়ার সঙ্গে ৩-৩ গোলে ড্র ক‍্যামেরুনের