Thursday, August 28, 2025

বাংলাদেশে অনলাইনে বেড়েছে নারী হয়রানি ও সহিংসতা ! সমীক্ষায় চাঞ্চল্যকর তথ্য

Date:

 খায়রুল আলম, ঢাকা

দেশে অনলাইনে নারী হয়রানি ও সহিংসতা বেড়েছে। গত এক বছরে এই বৃদ্ধির হার ১৩ দশমিক ২ শতাংশ।২০২২ সালে দেশে ৬৩ দশমিক ৫১ শতাংশ নারী অনলাইনে নারী হয়রানি ও সহিংসতার শিকার হয়েছে, যা গত বছর ছিল ৫০ দশমিক ১৯ শতাংশ।সাতক্ষীরা, সুনামগঞ্জ, পটুয়াখালী, বান্দরবান, কুড়িগ্রাম ও লালমনিরহাট- এই ছয় জেলায় অনলাইনে  সমীক্ষাটি করা হয়।
এতে ১৫ থেকে ৩৫ বছর বয়সী ৩৫৯ জন নারী অংশগ্রহণ করেন।সমীক্ষায় বলা হয়, ২০২২ সালে বিভিন্ন ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মের মধ্যে নারীরা সবচেয়ে বেশি ৪৭ দশমিক ৬০ শতাংশ অনলাইন সহিংসতার শিকার হন ফেসবুকে।এছাড়া ম্যাসেঞ্জারে ৩৫ দশমিক ৩৭, ইনস্টাগ্রামে ৬ দশমিক ১১, ইমোতে ৩ দশমিক ০৬, হোয়াটসঅ্যাপে ১ দশমিক ৭৫ ও ইউটিউবে ১ দশমিক ৩১ শতাংশ নারী অনলাইন সহিংসতার সম্মুখীন হন। এর বাইরে ৪ দশমিক ৮০ শতাংশ নারী বলেছেন যে তারা ভিডিও কল, মোবাইল ফোন ও এসএমএস-এর মাধ্যমে হয়রানির সম্মুখীন হয়েছেন।
চলতি বছরের সমীক্ষায় দেখা গেছে, ৮০ দশমিক ৩৫ শতাংশ নারী অনলাইন সহিংসতার মধ্যে ঘৃণ্য ও আপত্তিকর যৌনতাপূর্ণ মন্তব্য, ৫৩ দশমিক ২৮ শতাংশ নারী ইনবক্সে যৌনতাপূর্ণ ছবি গ্রহণ ও যৌন সম্পর্ক স্থাপনের প্রস্তাব এবং ১৯ দশমিক ১৭ শতাংশ নারী বৈষম্যমূলক মন্তব্যের শিকার হয়েছেন।
এই সমীক্ষায় অংশগ্রহণ করা ৩ দশমিক ০৬ শতাংশের মতে, যৌন নিপীড়নের সময় তাদের ছবি তোলা বা ভিডিও রেকর্ড করা হয়েছিল এবং সেগুলো পরে সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করা হয়। ২ দশমিক ৬২ শতাংশ নারী বলেছেন, তাদের অন্তরঙ্গ মুহূর্তের ছবি গোপনে পোস্ট করা হয় এবং পরে তাদের ব্যক্তিগত তথ্য প্রকাশের হুমকি দিয়ে অর্থের জন্য ব্ল্যাকমেইল করা হয়। ১ দশমিক ৭৫ শতাংশ বলেছেন যে তাদের ছবি সম্পাদনা করে পর্নোগ্রাফি সাইটে প্রকাশ করা হয়।
অনলাইন সহিংসতার কারণে নারীদের জীবনে সবচেয়ে গুরুতর প্রভাব হলো মানসিক আঘাত, হতাশা এবং উদ্বেগ- ৬৫ দশমিক ০৭ শতাংশ।দ্বিতীয় সর্বোচ্চ প্রভাব হলো সোশ্যাল মিডিয়ায় সক্রিয় থাকা বা মতামত প্রকাশ করার ক্ষেত্রে আস্থা হারানো- ৪২ দশমিক ৭৯ শতাংশ। ২৫ দশমিক ৩৩ শতাংশ ট্রমার শিকার হয়েছেন এবং ২৪ দশমিক ৮৯ শতাংশ আত্মমর্যাদা হারিয়েছেন।

 

Related articles

সাত লুকের ‘বহুরূপ’ সোহমের, চ্যালেঞ্জ নিয়ে চমকে দিলেন অভিনেতা

যা কখনও হয়নি তা এখন হবে, এবার হবে। সেলিব্রেটিদের রিল - রিয়েলের আলাদা রূপ আর লুক নিয়ে কম...

উন্মুক্ত শৌচমুক্ত ৯৪ পুরসভা, স্বচ্ছতার শংসাপত্র বাংলাকে

শহরাঞ্চলে আর খোলা শৌচের দৃশ্য নেই। পুরসভাগুলির উদ্যোগ এবং পুর দফতরের তদারকিতে উন্মুক্ত শৌচমুক্ত হয়েছে কলকাতা সহ রাজ্যের...

ফাঁকা কেন্দ্রগুলিতে দ্রুত ইআরও–এইআরও নিয়োগের নির্দেশ কমিশনের 

ফাঁকা পড়ে থাকা একাধিক বিধানসভা কেন্দ্রে দ্রুত ইলেক্টোরাল রেজিস্ট্রেশন আধিকারিক (ইআরও) এবং অ্যাসিসটেন্ট ইলেক্টোরাল রেজিস্ট্রেশন আধিকারিক (এইআরও) নিয়োগের...

নথিভুক্ত অথচ নিষ্ক্রিয় রাজনৈতিক দলগুলিকে শুনানিতে তলব করল কমিশন 

নির্বাচন কমিশনের নির্দেশে ফের সক্রিয় হল রাজ্যের মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিকের দফতর। নথিভুক্ত হলেও কার্যত নিষ্ক্রিয় রাজনৈতিক দলগুলিকে শুনানিতে...
Exit mobile version