Friday, December 19, 2025

বাড়ির পরিচারিকাদের ন্যূনতম বেতনক্রম ঠিক করে দেবে রাজ্য সরকার !

Date:

Share post:

যৌথ পরিবার (Joint Family) হোক বা নিউক্লিয়ার ফ্যামিলি , বাড়ি ঘর পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন রাখার জন্য এবং বাড়ির লোকেদের হাতে হাতে নানা কাজে সাহায্য করার জন্য প্রত্যেক বাড়িতেই পরিচারক বা পরিচারিকাদের দেখা যায়। সোজা ভাষায় যাদেরকে কাজের লোক (Domestic Workers) বলা হয়। আর এইসব কর্মীদের নিয়ে সমস্যার অভিযোগের শেষ নেই। কোথাও হাড়ভাঙ্গা পরিশ্রম করেও ভাল মাইনে (Salary) মেলেনা, কোথাও আবার বিশ্বস্ত কাজের লোক পাওয়া দুষ্কর হয়ে ওঠে। সবথেকে বেশি সমস্যা হয়ে দাঁড়ায় মাসের শেষে বাড়ির পরিচারক বা পরিচারিতাকে কত টাকা দিতে হবে তা নিয়ে দর কষাকষিতে। এবার এই দায়িত্ব নিজের কাধে তুলে নিল পশ্চিমবঙ্গ সরকার (Government of West Bengal)। এবার থেকে রাজ্য সরকার (State Government)ঠিক করে দেবে কাজের লোকেদের ন্যূনতম বেতনক্রম (minimum salary scale) কত হবে।

রাজ্যে সব মিলিয়ে প্রায় ৫০ লক্ষ মহিলা ও পুরুষ গৃহ-পরিচারিক বা পরিচারিকা হিসেবে কাজ করেন। তাঁদের বেশির ভাগই অত্যন্ত দরিদ্র পরিবারের। তাঁদের স্বার্থেই রাজ্য সরকার (Government of West Bengal) ন্যূনতম মজুরি নির্ধারণ করতে চাইছে। সম্ভবত আসন্ন পঞ্চায়েত ভোটের (Panchayet Election) আগেই এই সিদ্ধান্ত আনুষ্ঠানিক ভাবে ঘোষণা করবেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। অনেকেই বলছেন ফের মানবিক মুখ্যমন্ত্রীর (CM) কল্যাণে বড় সুবিধা পেতে চলেছেন রাজ্যের এক শ্রেণীর মানুষ। ১৯৪৮ সালের শ্রম আইনের(Labour Act 1948) মাধ্যমে রাজ্য সরকারগুলিকে এই বিষয়ে সিদ্ধান্ত গ্রহণের ক্ষমতা দেওয়া হয়েছে। অসংগঠিত ক্ষেত্রের শ্রমিক ও মজুরদের জন্য নূন্যতম বেতন কত হবে তা বেঁধে দিতে পারে সরকার। সেই পথে হেঁটেই এবার বড় পদক্ষেপ করতে চলেছে পশ্চিমবঙ্গ সরকার। বাড়ির কাজের লোক ছাড়াও বিদ্যুত্‍ উত্‍পাদন কেন্দ্রের অস্থায়ী শ্রমিক, বিদ্যুত্‍ সরবরাহের লাইনে কর্মরত অসংগঠিত শ্রমিক, রেডিমেড পোশাকের উত্‍পাদনের সঙ্গে জড়িত কর্মী, ঠান্ডা পানীয়ের উত্‍পাদনের সঙ্গে জড়ির শ্রমিক, বিস্কুট কারখানার অস্থায়ী শ্রমিক, আয়ুর্বেদ ও হোমিয়োপ্যাথি ওষুধ উত্‍পাদনের ক্ষেত্রের অস্থায়ী কর্মীদের বেতনও এবার ঠিক করে দেবে রাজ্য সরকার। এই বিষয়ে রাজ্যের শ্রম দফতরের (State Labor Department) আধিকারিকরা বলছেন রাজ্য সরকারের আসল লক্ষ্য হল সাধারণ মানুষ যাতে প্রয়োজনীয় সব সুযোগ-সুবিধে এবং পরিষেবা পান সেদিকে নজর দেওয়া। যাতে রাজ্যের কোনও মানুষ বঞ্চিত না হন সেইদিকে সর্বদাই সজাগ দৃষ্টি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের । সরকারি পরিসংখ্যান অনুযায়ী, এই মুহূর্তে রাজ্যে ৩০ লক্ষের মতো গৃহ-পরিচারিকা রয়েছেন। ২০ লক্ষ পুরুষ গৃহ পরিচারক রয়েছেন। নতুন নিয়মে তাঁরা সবাই উপকৃত হবেন বলেই মনে করা হচ্ছে।

 

spot_img

Related articles

কবে থেকে ভোটারদের শুনানি: শুক্রেও নিরুত্তর কমিশন!

খসড়া ভোটার তালিকা প্রকাশিত হয়েছে ১৬ ডিসেম্বর। অন্যান্য রাজ্যের মতো অতিরিক্ত সময় চায়নি বাংলার নির্বাচন কমিশন (Election Commission)।...

ফের CPIM-এ নারীঘটিত কেলেঙ্কারি, মুখ বাঁচাতে তরুণ নেতাকে বহিষ্কার সেলিমদের

সুশান্ত ঘোষ, তন্ময় ভট্টাচার্য, বংশগোপাল চৌধুরীর পরে ফের নারীঘটিত কেলেঙ্কারি সিপিএমে (CPIM)। এবার নাম জোড়ালো এক তরুণতুর্কির। মুখ...

সেবাশ্রয়ে ২০তম দিনে ক্যাম্পে যাবেন অভিষেক: সাফল্যের খতিয়ান পেশ

প্রথম ক্যাম্পের সাফল্য অনুপ্রাণিত করেছে দ্বিতীয় ক্যাম্পের আয়োজনে। সেবাশ্রয়-২ উদ্বোধনে সদর্পে উপস্থিত ছিলেন ডায়মন্ড হারবার সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়...

তৃণমূলের প্রতিবাদেই বিরোধী ঐক্যে শান: সাংসদদের বিশেষ বার্তা মমতার

যতবার কেন্দ্রের স্বৈরাচারী বাংলা-বিরোধী বিজেপি সরকার বাংলার মানুষের উপর নানাভাবে চাপ প্রয়োগ, বঞ্চনার চেষ্টা চালিয়েছে, ততবার তৃণমূল নেত্রী...