‘কাশ্মীর ফাইলস’ প্রোপাগান্ডা ছাড়া কিছু নয়: লাপিডের পাশে আরও ৩ জুরি সদস্য    

জুরি বোর্ডের তিন সদস্যই বলেন, ফিল্ম ফেস্টিভ্যালের সমাপ্তি অনুষ্ঠানে নাভাদ লাপিড, জুরি বোর্ডের প্রধান হিসেবে আমাদের সকলের তরফে জানান যে, আমরা সকলেই ১৫ নম্বর সিনেমা ‘দ্য কাশ্মীর ফাইলস’ দেখে হতাশ হয়েছি এবং বিরক্ত হয়েছি, আমাদের সকলের মনে হয়েছে এই ছবিটা অশ্লীল উদ্দেশ্য নিয়ে তৈরি করা হয়েছে। এরকম সম্মানজনক একটা চলচ্চিত্র উৎসবের প্রতিযোগিতা বিভাগের জন্য যা একেবারেই অনুপযুক্ত।

কাশ্মীর ফাইলস (The Kashmir Files) সিনেমাটি প্রোপাগান্ডা (Propaganda) ছাড়া আর কিছুই নয়। এমনই মত গোয়া ফিল্ম ফেস্টিভ্যালের (Goa Film Festival) আরও ৩ জুড়ি সদস্যের। আমেরিকান প্রযোজক জিঙ্কো গোতোহ, ফরাসি সম্পাদক প্যাস্কেল চ্যাভান্স এবং ফরাসি তথ্যচিত্র নির্মাতা জাভিয়ের অ্যাঙ্গুলো বার্তুরেন বিষয়টিতে ইজরায়েলি পরিচালক নাদাভ লাপিডকে সমর্থন করেছেন। লাপিড ইন্টারন্যাশনাল ফিল্ম ফেস্টিভ্যাল অফ ইন্ডিয়ার (IFFI) আন্তর্জাতিক জুরির চেয়ারপার্সন হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। ৯ দিনের ফিল্ম ফেস্টিভ্যালের শেষ রাতে পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে তাঁর বক্তৃতায় ‘দ্য কাশ্মীর ফাইলস’ সিনেমাটিকে অশ্লীল ও প্রোপাগান্ডা বলেন। রাজনৈতিক চাপেই কাশ্মীর ফাইলস আন্তর্জাতিক ভারতীয় ফিল্ম ফেস্টিভ্যালে দেখানো হয়েছে, এই বিস্ফোরক মন্তব্য করেছিলেন ইজরায়েলি পরিচালক (Israel Director) নাভাদ লাপিড। আর তারপরই শুরু হয় জোর বিতর্ক।

এদিকে নাভাদের সমর্থনে টুইটারে যৌথভাবেই বিবৃতি দেন পাসকেল শ্যাভেন্স এবং জেভিয়ার আঙ্গুলো বার্তুরেন এবং গোতো। উল্লেখ্য, জুরি বোর্ডের অন্যতম সদস্য পরিচালক সুদীপ্ত সেনও বলেছিলেন যে, নাভাদ লাপিডের মন্তব্যের সঙ্গে বোর্ডের বাকি কেউই সহমত নন। কিন্তু বাস্তবে দেখা গেল এক অন্য ছবি। জুরি বোর্ডের তিন সদস্যই বলেন, ফিল্ম ফেস্টিভ্যালের সমাপ্তি অনুষ্ঠানে নাভাদ লাপিড, জুরি বোর্ডের প্রধান হিসেবে আমাদের সকলের তরফে জানান যে, আমরা সকলেই ১৫ নম্বর সিনেমা ‘দ্য কাশ্মীর ফাইলস’ দেখে হতাশ হয়েছি এবং বিরক্ত হয়েছি, আমাদের সকলের মনে হয়েছে এই ছবিটা অশ্লীল উদ্দেশ্য নিয়ে তৈরি করা হয়েছে। এরকম সম্মানজনক একটা চলচ্চিত্র উৎসবের প্রতিযোগিতা বিভাগের জন্য যা একেবারেই অনুপযুক্ত।

ওই বিবৃতিতে আরও বলা হয়, আমরা কোনও রাজনৈতিক দৃষ্টিকোণ থেকে কথাটা বলিনি, বলেছি সিনেমার শৈল্পিক ভাবনা নিয়ে। আর ফিল্ম ফেস্টিভ্যালের মঞ্চকে ব্যক্তিগত আক্রমণ কিংবা রাজনীতির জন্য ব্যবহার করা হয়েছে দেখে আমরা অত্যন্ত দুঃখ পেয়েছি। এদিকে পরিস্থিতি এতটাই জটিল আকার ধারণ করে যে ইজরায়েলি পরিচালকের মন্তব্যের জন্য ক্ষমা চেয়ে নেন সেদেশের রাষ্ট্রদূত নাওর গিলন। তবে এত কিছুর পরেও নিজের মন্তব্যে প্রথমে অনড় ছিলেন খোদ নাদাভ লাপিড। শেষমেশ যদিও নিজের মন্তব্যের জন্য ক্ষমা চেয়ে নেন পরিচালক। বলেন, আমি কাউকে অপমান করতে চাইনি। যাঁরা সত্যিই এই দুর্দশার স্বীকার হয়েছেন তাঁদের আত্মীয়দের অসম্মান করা আমার লক্ষ্য ছিল না। আমি সত্যিই ক্ষমাপ্রার্থী। যদিও ইজরায়েলি পরিচালকের ক্ষমাপ্রার্থনাকে গুরুত্বই দিতে নারাজ কাশ্মীর ফাইলসের পরিচালক বিবেক অগ্নিহোত্রী।

Previous articleমেলায় নিখোঁজ নাবালিকার ক্ষতবিক্ষত দেহ মিলল গমক্ষেতে
Next articleভূপতিনগর বিস্ফোরণকাণ্ড, ঘটনাস্থলে ফরেন্সিক টিম