“দলে বাপেরও বাপ রয়েছে”, তৃণমূলের “বেপরোয়া” নেতাদের হুঁশিয়ারি সায়নীর

রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের অনেকেরই দাবি গত পঞ্চায়েত নির্বাচনে ব্যাপক হিংসার নেতিবাচক প্রভাব পড়েছিল শাসকদলের উপর। যার ফলে ২০২৪ লোকসভা নির্বাচনে আশানুরূপ ফলাফল করতে পারেনি ঘাসফুল শিবির

নজরে পঞ্চায়েত নির্বাচন। ২০২৪ লোকসভা ভোটের আগে যা রাজ্যের শাসক দলের কাছে অ্যাসিড টেস্ট। প্রস্তুতি সারতে ইতিমধ্যেই ময়দানে নেমে পড়েছেন ঘাসফুল শিবিরের সর্বস্তরের নেতা-নেত্রীরা। একের পর এক কর্মসূচি নিয়ে একদিকে যেমন জনসংযোগ বাড়ানোয় জোর দেওয়া হচ্ছে, অন্যদিকে অতীতের কিছু ভুল থেকে শিক্ষা নিয়ে নতুন ভাবে লড়াইয়ের ময়দান প্রস্তুত রাখতে তৎপর তৃণমূল কংগ্রেস।

অতীতে দেখা গিয়েছে পঞ্চায়েত নির্বাচনকে কেন্দ্র করে হিংসার বাতাবরণ তৈরি হয়েছিল রাজ্যজুড়ে। শুধু বিরোধীদের সঙ্গে নয়, নিজের দলের লোকেদের মধ্যেই গোষ্ঠীদ্বন্দ্বে রক্তাক্ত হয়েছিল নির্বাচন। রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের অনেকেরই দাবি গত পঞ্চায়েত নির্বাচনে ব্যাপক হিংসার নেতিবাচক প্রভাব পড়েছিল শাসকদলের উপর। যার ফলে ২০২৪ লোকসভা নির্বাচনে আশানুরূপ ফলাফল করতে পারেনি ঘাসফুল শিবির।

এবার তাই আগে থেকেই সতর্ক মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দল। সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় ইতিমধ্যেই বিভিন্ন জেলা নেতৃত্বের সঙ্গে বৈঠক করে পঞ্চায়েত ভোটকে অবাধ, সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ করার নির্দেশ দিয়েছেন। একই সঙ্গে প্রার্থী চয়নের ক্ষেত্রেও স্বচ্ছ ভাবমূর্তি ও দক্ষতাকে প্রাধান্য দেওয়া হচ্ছে।

তবে শীর্ষ নেতৃত্বের কড়া বার্তার পরও বিভিন্ন জায়গায় তৃণমূলের ছোট, মাঝারি নেতারা বিরোধীদের উদ্দেশ্যে হুমকি দিচ্ছেন। যার নেতিবাচক প্রভাব পড়ছে মানুষের মধ্যে। এবার তাই “বেপরোয়া” নেতাদের উদ্দেশ্যে প্রকাশ্য সভা থেকে পাল্টা হুঁশিয়ারি দিলেন তৃণমূল যুবসভানেত্রী সায়নী ঘোষ।

সম্প্রতি, নদীয়ার চাপড়ার ব্লক তৃণমূল সভাপতি শুকদেব ব্রহ্ম হুমকির সুরে বলেন, “পঞ্চায়েত ভোটের দিন সিপিএম এবং বিজেপিকে ঘর থেক বের হতে দেব না। ওদের ঘরবন্দী করে রাখবো। সেদিন শুধুমাত্র ময়দানে থাকবে তৃণমূল কংগ্রেস।” তারই পরিপ্রেক্ষিতে একটি প্রকাশ্য সভা থেকে সায়নীর কড়া বার্তা “এইসব বরদাস্ত করা হবে না। দলে বাপেরও বাপ রয়েছে। এইসব বড় বড় কথা যারাই বলছেন তারা নিজেদেরকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের থেকে বড় মনে করছেন। যারা নিজেদের দলের থেকে বড় মনে করবেন মানুষ পর্যন্ত যেতে হবে না, দলই তাদের বসিয়ে দেবে। দেখছেন তো অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় যাওয়ার পরেই পঞ্চায়েত প্রধান, উপপ্রধান ও অঞ্চল সভাপতিকে পদ থেকে ইস্তফা দিতে হয়েছে।”

সায়নীর মত, কাজেই কেউ যদি ভাবে আমরা তৃণমূল কংগ্রেস করি বলে দলের নেতার বিরুদ্ধে, প্রশাসনের বিরুদ্ধে গিয়ে তাদের অমান্য করে হুমকি দেব তাদের যেন মাথায় থাকে বাপেরও বাপ আছে।

আরও পড়ুন:ডিএ মামলায় হাইকোর্টের রায়ে আপাতত সুপ্রিম স্থগিতাদেশ নয়! পরবর্তী শুনানি ১৪ ডিসেম্বর

 

 

Previous articleডিএ মামলায় হাইকোর্টের রায়ে আপাতত সুপ্রিম স্থগিতাদেশ নয়! পরবর্তী শুনানি ১৪ ডিসেম্বর
Next articleসুজাতা আর আমি দুজনেই মা: ‘সালাম ভেঙ্কি’ ছবি প্রচার এসে মন্তব্য কাজলের