ভুয়ো শিক্ষকদের “তালিকা”য় নাম! নন্দীগ্রামের স্কুল শিক্ষিকার রহস্যমৃ*ত্যু

গত শুক্রবার পর্যন্ত স্কুলে যান টুম্পারানি মণ্ডল। ক্লাসও নেন বলে জানা যায়। কিন্তু শনিবার স্কুল খোলা থাকলেও তিনি যাননি। এরপর রবিবার সন্ধ্যায় তাঁর ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হয়।

পূর্ব মেদিনীপুরের চণ্ডীপুরে থেকে এক স্কুল শিক্ষিকার ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হল। শিক্ষিকার নাম টুম্পারানি মণ্ডল পড়ুয়া (৩০)। জানা গিয়েছে, তিনি নন্দীগ্রামের দেবীপুর মিলন বিদ্যাপীঠের বাংলার শিক্ষিকা ছিলেন। প্রাথমিকভাবে পুলিশের অনুমান, আত্মহত্যা করেছেন টুম্পারানি মণ্ডল।

কিন্তু কেন আত্মহত্যার পথ বেছে নিলেন ওই শিক্ষিকা? পুলিশ তদন্ত শুরু করেছে। অন্যদিকে, শিক্ষিকার এক আত্মীয় জানিয়েছেন, স্কুল সার্ভিস কমিশনের শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি নিয়ে মামলায় পর থেকেই মানসিক চাপে ছিলেন টুম্পারানি মণ্ডল। সম্প্রতি কলকাতা হাইকোর্টে নির্দেশে নবম-দশমে শিক্ষক পদে চাকরি পেয়েছেন এমন ১৮৩ জন ভুয়ো শিক্ষকের তালিকা প্রকাশ করে এসএসসি। সেইরকমই একটি তালিকা সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়। সেই তালিকায় টুম্পার নাম ছিল। সেটা দেখার পর থেকে আরও ভেঙে পড়েন। আতঙ্কিত হয়ে ওঠেন।

গত শুক্রবার পর্যন্ত স্কুলে যান টুম্পারানি মণ্ডল। ক্লাসও নেন বলে জানা যায়। কিন্তু শনিবার স্কুল খোলা থাকলেও তিনি যাননি। এরপর রবিবার সন্ধ্যায় তাঁর ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হয়। রবিবার বিকেলে বাজার গিয়েছিলেন টুম্পার স্বামী সুবীর পড়ুয়া। কিছুক্ষণ পরে ঘরে ফিরে ডাকাডাকি করেও স্ত্রীর সাড়া পাননি। পরে জানলা দিয়ে স্ত্রীর ঝুলন্ত দেহ দেখতে পান তিনি।

উল্লেখ্য, ২০১৬ সালে নবম-দশম শ্রেণির টেটে পাস করেন টুম্পারানি মণ্ডল। এরপর ২০১৯ সালে নন্দীগ্রামের দেবীপুর মিলন বিদ্যাপীঠে বাংলার শিক্ষক হিসেবে যোগ দেন। পূর্ব মেদিনীপুরের চণ্ডীপুরের বুরুন্ডা গ্রামে তাঁর বাপের বাড়ি। পুলিশ গোটা ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে।

 

 

Previous articleধর্মীয় স্বাধীনতার অর্থ অবাধ ধর্মান্তকরণ নয়, সুপ্রিমকোর্টে গুজরাট সরকার
Next articleমামলার প্রতিলিপি পায়নি ED, পিছল অনুব্রত মামলার দ্রুত শুনানির আর্জি