ট্যুরিজম সেক্টর এমন একটা সেক্টর যেখানে অনেক কিছু করার আছে। এছাড়া পশ্চিমবঙ্গ এমন একটা জায়গা যেখানে সমতল থেকে কাজ শুরু করে কাঞ্চনজঙ্ঘা অবধি পৌঁছে যাওয়া যায়। বুধবার বেঙ্গল চেম্বার অফ কমার্সের এক অনুষ্ঠানে এমনই মন্তব্য করলেন রাজ্যের পর্যটন মন্ত্রী বাবুল সুপ্রিয়র। এদিন বাবুলের বক্তব্যে উঠে আসে কেরল প্রসঙ্গ। বাবুল জানান, যেভাবে কেরল ব্যাক ওয়াটারকে কাজে লাগিয়ে হাউস বোট ব্যবহারের মধ্য দিয়ে সে রাজ্যের পর্যটন শিল্পকে আরও বেশি আকর্ষণীয় করে তুলেছে তা সত্যিই প্রশংসনীয়।

এরপরই বাবুল মুখ্যমন্ত্রীর ভূয়সী প্রশংসা করে বলেন, বাংলা যে একটা বিরাট ট্যুরিজম হাব হতে পারে তার সঠিক দিশা দেখিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। উনি বিভিন্ন জায়গার সঠিক পর্যবেক্ষণ করে তার সঠিক নামকরণ করেছেন। যা ইতিমধ্যে সাধারণ মানুষের কাছে অত্যন্ত আকর্ষণীয় হয়ে উঠেছে। বাবুল জানান, আমি পর্যটন দফতরের দায়িত্ব পাওয়ার পর আমার মনে হয়েছে, ট্যুরিজম এমনই একটা সেক্টর যেখান থেকে একটা বড় অংশের রাজস্ব আদায় করা যায়। গঙ্গাজলে গঙ্গাপুজোই হওয়া উচিত। আর দফতরের সবাই যদি ঠিকঠাক সামঞ্জস্য রেখে কাজ করে তাহলে আগামীদিনে আমরা অনেক দূর পৌঁছতে পারব। পাশাপাশি এদিন রাজ্যে বেড়ে ওঠা হোমস্টের পরিসংখ্যান তুলে ধরে পর্যটন মন্ত্রী বলেন, প্রতিটি হোম স্টেতে ১ লক্ষ টাকা করে সাবসিডি দিচ্ছে রাজ্য সরকার। এরপরই কলকাতায় কী কারণে মানুষ বাইরে থেকে আসবেন তার জন্য আমরা কী করতে পারি? সেই গাইডলাইনসও এদিন বাতলে দেন বাবুল সুপ্রিয়। এদিন ‘ইন্টিগ্রেটেড টুরিস্ট পাস’ নিয়েও অনুষ্ঠান মঞ্চে বিস্তারিত আলোচনা করেন পর্যটন মন্ত্রী।

পাশাপাশি এদিনের বেঙ্গল ন্যাশনাল চেম্বারস অফ কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির সভাপতি দেবাশিস দত্তও রাজ্যের পর্যটন শিল্পের অগ্রগতি নিয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ভূয়সী প্রশংসা করেন। তিনি বলেন, আমরা সবাই জানি বাঙালিরা সবচেয়ে বেশি ঘুমনোর পিছনে পয়সা খরচ করেন। কাশ্মীর থেকে কন্যাকুমারী আপনি যেখানেই যাবেন দেখতে পাবেন সবচেয়ে বেশি পর্যটক বাঙালি। কিন্তু মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় রাজ্যবাসীর কাছে বাংলাকে অন্য রূপে সাজিয়ে তুলেছেন। দিদি সবচেয়ে ভালো করেছেন বাবুল সুপ্রিয়কে এই বিভাগের মন্ত্রী করে। পর্যটন শিল্পের জন্য মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের এমন প্রচেষ্টাকে সাধুবাদ জানান দেবাশিস।

আরও পড়ুন- শিয়রে বিধানসভা ভোট, মমতা-অভিষেকের হাত ধরে তৃণমূলে যোগ হেভিওয়েট কংগ্রেস নেতা-নেত্রীর