দলীয় কর্মীদের নিরাপত্তার স্বার্থে নন্দীগ্রামে চালু তৃণমূলের লিগ্যাল ডেস্ক, প্রথমদিনই বিপুল সাড়া

দলের কর্মীদের নিরাপত্তার স্বার্থে নন্দীগ্রামে (Nandigram) চালু হল তৃণমূলের (TMC) লিগ্যাল ডেস্ক। দলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Abhishek Bandyopadhyay) পরিকল্পনা ও উদ্যোগে এই ডেস্ক চালু হল। রাজনৈতিকভাবে দলের কর্মীদের পাশে দাঁড়ানোর পাশাপাশি আইনগত লড়াইয়েও এবার সর্বতোভাবে কর্মীদের পাশে থাকবে দলের এই লিগ্যাল ডেস্ক। এলাকার যে সব তৃণমূল কর্মীরা বিজেপির ষড়যন্ত্রের শিকার হয়ে CBI বা NIA-র মামলায় গ্রেফতার হয়ে জেলবন্দি তাঁদের ও তাঁদের পরিবারের পাশে থেকে আইনি সাহায্য করবে এই ডেস্ক।

অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশে বুধবার থেকে নিয়মিত ভাবে কাজ করল লিগ্যাল ডেস্ক। প্রথম থেকে এলাকার জেলবন্দি কর্মী ও তাঁদের পরিবারের পাশে থেকে আইনি সাহায্য করে আসছে দল। কিন্তু এবার একেবারে নীচুতলার থেকে সুপ্রিম কোর্ট পর্যন্ত কর্মীদের আইনি সাহায্য দিতে এই পরিকল্পনা করেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। সেখান থেকেই এই লিগ্যাল ডেস্কের ভাবনা শুরু। এদিন দুপুরে নন্দীগ্রাম এক নম্বর ব্লক অফিসে আনুষ্ঠানিক ভাবে কাজ শুরু হল এই ডেস্কের। প্রথমে দফতরের বাইরে এক অনুষ্ঠানে ষড়যন্ত্রের শিকার পরিবারগুলির সঙ্গে আলোচনায় বসেন দলীয় নেতৃত্ব। ছিলেন তৃণমূলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ (Kunal Ghosh), তমলুক সাংগঠনিক জেলার চেয়ারম্যান পীযূষ ভুঁইয়া, সভাপতি সৌমেন মহাপাত্র, সবুজ প্রধান ও নন্দীগ্রাম ও খেজুরির ব্লক সভাপতিরা, কলকাতা হাইকোর্টের আইনজীবী ও কলকাতা পুরসভার তৃণমূল কাউন্সিলর অয়ন চক্রবর্তীর (Ayan Chakraborty) নেতৃত্বে সাতজন আইনজীবীর এক প্রতিনিধি দল। সেখানে দলীয় নেতৃত্ব ষড়যন্ত্রের শিকার হওয়ার পরিবারগুলির পাশে থাকার আশ্বাস দেন।

সেই সভার পর অয়ন চক্রবর্তীর নেতৃত্বে আইনজীবীরা ওই পরিবারগুলির সদস্যদের সঙ্গে আলাদা ভাবে বসেন। সেখানে মামলা ধরে ধরে তাঁদের অভিযোগগুলি শোনেন তাঁরা। ছিলেন শেখ সুফিয়ানের মেয়ে সালমা। এই এলাকায় মূল অভিযোগ হল, তৃণমূলের যে সব কর্মী ভালো কাজ করছেন তাঁদের সিবিআই বা এনআইএ-র তালিকায় নাম ঢুকিয়ে দেওয়ার হুমকি দিয়ে জেলে ঢুকিয়ে দেওয়ার হুমকি দেওয়া হচ্ছে। আবার যাঁরা এর মধ্যেই মামলায় ফেঁসে আছেন তাঁদের কাছ থেকে মোটা টাকা চাওয়া হচ্ছে। আশ্বাস দেওয়া হচ্ছে টাকা দিলেই জামিন মিলবে, আর মামলা নিয়ে নাড়াচাড়াও হবে না। কোথায় দেড় লক্ষ, কোথাও আবার ৫ লক্ষ টাকাও চাওয়া হচ্ছে। কদিন আগেই বিজেপি থেকে তৃণমূলে যোগ দেওয়া জয়দেব দাসের বিরুদ্ধেও মামলা দেওয়া হয়েছে। দলীয় নেতৃত্ব এদিন স্পষ্ট করে দিয়েছে শুধু আইনি সাহায্য করাই নয়, যাঁদের বিরুদ্ধে এভাবে মিথ্যে মামলা করা হয়েছে এবার তাঁদের বিরুদ্ধে পালটা মামলা করার পথে হাঁটবে দল। যেখানে একটা মামলা করা হবে সেখানে পালটা ৫টা মামলা করা হবে বলে সাফ জানিয়ে দিয়েছেন নেতৃত্ব।

এদিন দলীয় অফিসে সভার পর স্থানীয় জানকীনাথ মন্দির বাজারের কাছে “বেইমানমুক্ত নন্দীগ্রাম” স্লোগানকে সামনে রেখে একটি জনসভা হয়। ছিলেন কুণাল ঘোষ-সহ নন্দীগ্রামের দুই ব্লক সভাপতি বাপ্পাদিত্য গর্গ ও অরুণাভ ভুঁইয়া, খেজুরির দুই ব্লক সভাপতি বিমান নায়েক ও শ্যামল দাস। সভায় বক্তারা বলেন, নন্দীগ্রামের এই পরিস্থিতির উপর অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের নজর রয়েছে। দলনেত্রীও গোটা বিষয়টি দেখছেন। ওই সভায় ফরওয়ার্ড ব্লক থেকে ও বিজেপি যুব মোর্চার এক নেতা সপার্ষদ তৃণমূলে যোগ দেন। সভায় ছিল উপচে পড়ে ভিড়।

আরও পড়ুন- বোরো চাষে পর্যাপ্ত জলের জোগান দিতে পদক্ষেপ রাজ্যের

 

 

Previous articleবোরো চাষে পর্যাপ্ত জলের জোগান দিতে পদক্ষেপ রাজ্যের
Next articleচোট পিছু ছাড়ছে না, এবার খেলতে পারবেন না দীপক চাহার এবং কুলদীপ সেন