মানিক ভট্টাচার্যের ৮ কোটি টাকার সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করল ইডি

এই চার্জশিট জমা পড়ার ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই আরও বড় পদক্ষেপ এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটের। দুর্নীতি মামলায় মানিক ও তাঁর ঘনিষ্ঠদের ৬১টি অ্যাকাউন্ট ফ্রিজ করল কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা।

নিয়োগ দুর্নীতির তদন্তে বড়সড় পদক্ষেপ নিল এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট। প্রাক্তন পর্ষদ সভাপতি মানিক ভট্টাচার্যর সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করল কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। বুধবারই মানিকের বিরুদ্ধে চার্জশিট জমা দিয়েছিল ইডি। প্রায় ১৫৯ পাতার চার্জশিট জমা পড়ে আদালতে। যেখানে মানিক ভট্টাচার্য কীভাবে কেলেঙ্কারি করেছেন সেই বিষয়টি চার্জশিটে তুলে ধরা হয়। এমনকি ঘুষের টাকা কীভাবে মানিকের স্ত্রীয়ের অ্যাকাউন্টে গেছে তাও উল্লেখ রয়েছে। তাৎপর্যপূর্ণ ভাবে স্ত্রীয়ের সঙ্গেই ইডির জমা দেওয়া চার্জশিটে নাম রয়েছে তাঁর ছেলেরও। যদিও যা জানার পরেই কেঁদে ফেলেন ‘কেলেঙ্কারির মাথা’। জানান, আমাকে মারো। কিন্তু ছেলে-স্ত্রীকে জড়িও না।

এই চার্জশিট জমা পড়ার ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই আরও বড় পদক্ষেপ এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটের। দুর্নীতি মামলায় মানিক ও তাঁর ঘনিষ্ঠদের ৬১টি অ্যাকাউন্ট ফ্রিজ করল কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। ইতিমধ্যে এই বিষয়ে ইডির তরফে টুইট করে জানানো হয়েছে। তদন্তকারী সংস্থা জানিয়েছে, শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি কাণ্ডে কোটি কোটি টাকা লেনদেন হয়েছিল। বেশির ভাগটাই ঘুষ এবং তোলাবাজি করে নেওয়া হয়েছিল বলেও চাঞ্চল্যকর তথ্য ইডির হাতে এসেছে। যার একটা বড় ভাগ মানিকের অ্যাকাউণ্টে গিয়েছে বলেই দাবি তদন্তকারী সংস্থার। তৃণমূল বিধায়ক সহ তাঁর আত্মীয় এবং ঘনিষ্ঠদের ৬১টি অ্যাকাউন্ট ফ্রিজ করা হয়েছে। এই সমস্ত অ্যাকাউন্টেই দুর্নীতির টাকা পৌঁছে গিয়েছিল বলে মনে করছেন ইডির আধিকারিকরা। এমনকি প্রায় ৮ কোটি টাকার ব্যাঙ্ক ব্যালেন্স এবং মিউচুয়্যাল ফান্ড বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে বলে ইডির তরফে টুইটে জানানো হয়েছে। অন্যদিকে এসএসসি নিয়োগ দুর্নীতি মামলাতে এখনও পর্যন্ত প্রায় ১১১ কোটি টাকার নগদ এবং সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে বলে খবর।

নিয়োগ দুর্নীতি মামলাতে প্রাক্তন পর্ষদ সভাপতি মানিক ভট্টাচার্যকে কিংপিন বলছে ইডি। আদালতে জমা দেওয়া চার্জশিটে একের পর এক বিস্ফোরক দাবি করা হয়েছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার তরফে। ইডির দাবি, বিভিন্ন বেসরকারি বিএড এবং ডিএলএড কলেজগুলিকে স্বীকৃতি দেওয়ার জন্যে মোটা অঙ্কের টাকা তুলতেন মানিক। এমনকি সেই টাকা যেত পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের কাছেও। আর সেই টাকার বিনিময়ে বেসরকারি বিএড এবং প্রাইমারি শিক্ষক প্রশিক্ষণ কেন্দ্র (ডিএলএড)-কে ছাড়পত্র প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী দিতেন বলেও দাবি ইডির। এমনকি মানিক ঘনিষ্ঠ তাপস মন্ডলকে সামনে রেখেও নানা ভাবে তোলাবাজি চলত বলেও দাবি তদন্তকারী সংস্থার।

Previous articleচিংড়িঘাটার দুর্ঘটনায় আহতদের আর্থিক সাহায‍্য ঘোষণা মুখ্যমন্ত্রীর, অভিযুক্ত চালকের বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপের আশ্বাস
Next articleলাগাতার ছাত্র আন্দোলনের জের! বাতিল বিশ্বভারতীর সমাবর্তন অনুষ্ঠান