“আলো নিভিয়ে ভোটে জেতা লোক এখন মামলাবাজ”! কাঁথিতে দাঁড়িয়ে শুভেন্দুকে একহাত নিলেন চন্দ্রিমা  

অন্যদিকে, শুক্রবার কাঁথি ১নং ব্লকের ৪নং রাইপুর পশ্চিমবাড় অঞ্চলে গিমাগাড়িয়া গ্রামে পালিত হয় চলো গ্রামে যাই কর্মসূচী। উপস্থিত ছিলেন  রাজ্যের মহিলা তৃণমূল কংগ্রেস সভানেত্রী ও মন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য। তিনি গ্রামের বিভিন্ন এলাকায় ও বাড়ি বাড়ি গিয়ে বাসিন্দাদের সঙ্গে কথা বলেন।

এখানে একজন আছেন, যিনি বলছেন আমি যখন কাঁথির এই বিধানসভায় লড়াই করতে এসেছিলাম তখন নাকি একটি পয়সাও খরচ করিনি। এমন কী ফ্লাগও আনি নি। কিন্তু আমি পয়সা খরচ করিনি ঠিকই। তবে ফ্ল্যাগ নিয়ে এসেছিলাম। জোড়া ফুলের সেই ফ্লাগেই ভরসা রেখে মানুষ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে (Mamata Banerjee) ভোট দিয়েছিলেন। শুক্রবার নাম না করে শুভেন্দু অধিকারীর (Suvendu Adhikari) খাসতালুকে দাঁড়িয়ে তাঁর উদ্দেশে এমন মন্তব্য করলেন রাজ্যের মন্ত্রী তথা তৃণমূলের মহিলা নেত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য (Chandrima Bhattacharya)। তিনি বলেন, আমাকে আলো নিভিয়ে ভোটে জিততে হয় নি। ১৯৫৬ এর দম্ভ একদিন বন্ধ হয়ে যাবে বলেও মন্তব্য করেন চন্দ্রিমা।

এদিন চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য  রাজ্যের বিরোধী দলনেতার নাম না করে অভিযোগ করেন, ওই পরিবারের যারা সব সময় পরিবারতন্ত্রের কথা বলে চিৎকার করেন, তাঁদের পরিবারের কতজন, কোন পদে ছিলেন? সে কথা সবার জানা। এরপরই কটাক্ষের সুরে চন্দ্রিমা বলেন, ‘আমাকে কিন্তু আলো নিভিয়ে দিতে হয়নি! আলো নিভিয়ে অন্ধকারে জেতা একটা লোক। এখন উনি মামলাবাজ হয়েছেন। কথায় কথায় হাইকোর্টে ছুটছেন। হাইকোর্টকে বগলদাবা করেছেন। এর ফল একদিন ভুগতে হবে৷ একই সঙ্গে দিলীপ ঘোষকে ‘অপয়া’ আখ্যা দেন চন্দ্রিমা। তবে রাজ্যে পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে মহিলাদের এমন বিশাল সমাবেশ দেখে রীতিমতো আপ্লুত চন্দ্রিমা মহিলাদের উন্নয়নের ক্ষেত্রে রাজ্য সরকারের  ভূমিকা ও বিভিন্ন প্রকল্পের কথা তুলে ধরেন।

এদিনের সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন তৃণমূল কংগ্রেসের কাঁথি সাংগঠনিক জেলার সভাপতি তরুণ কুমার মাইতি, হলদিয়া উন্নয়ন  পর্ষদের চেয়ারম্যান জ্যোতির্ময় কর, যুব তৃণমূল কংগ্রেসের জেলা সভাপতি সুপ্রকাশ গিরি, জেলা সভাধিপতি উত্তম বারিক, কাঁথি পুরসভার চেয়ারম্যান সুবল মান্না, কাঁথি শহর তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি হরিসাধন দাস অধিকারী, যুব সভাপতি  সুরজিৎ নায়ক, সংখ্যালঘু সেলের জেলা চেয়ারম্যান শেখ আনোয়ার উদ্দিন, জেলা আইএনটিটিইউসি সভাপতি বিকাশ বেজ, তৃণমূল কংগ্রেসের জেলা চেয়ারম্যান অভিজিৎ দাস, কাঁথি শহর মহিলা তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি ইলা মান্না প্রমুখ। পাশাপাশি এদিন পূর্ব মেদিনীপুরের তমলুকের শালগেছিয়াতেও সভা করেন মন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য।

অন্যদিকে, শুক্রবার কাঁথি ১নং ব্লকের ৪নং রাইপুর পশ্চিমবাড় অঞ্চলে গিমাগাড়িয়া গ্রামে পালিত হয় চলো গ্রামে যাই (Cholo Grame Jaai) কর্মসূচী। উপস্থিত ছিলেন  রাজ্যের মহিলা তৃণমূল কংগ্রেস সভানেত্রী ও মন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য। তিনি গ্রামের বিভিন্ন এলাকায় ও বাড়ি বাড়ি গিয়ে বাসিন্দাদের সঙ্গে কথা বলেন। গ্রামের বাসিন্দারা রাজ্য সরকারের বিভিন্ন প্রকল্পের পরিষেবা ঠিকমতো পাচ্ছেন কিনা সে বিষয়ে খোঁজ নেন। স্বাস্থ্যসাথী প্রকল্প থেকে শুরু করে লক্ষ্মীর ভান্ডার, রূপশ্রী, কন্যাশ্রী, রেশন সহ বিভিন্ন প্রকল্প মহিলাদের পাওয়ার ক্ষেত্রে কোন অসুবিধা হচ্ছে কিনা সে নিয়েও বিশদে খোঁজ নেন এলাকারই প্রাক্তন বিধায়ক চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য। মহিলা মন্ত্রীকে কাছে পেয়ে বিশেষত গ্রামের বহু মহিলা কথা বলার জন্য এদিন এগিয়ে আসেন।

 

 

Previous articleডায়মন্ডহারবারের বিষ্ণুপুরে তৃণমূলের ‘চলো গ্রামে যাই’ কর্মসূচি ঘিরে উৎসাহ তুঙ্গে
Next articleফের জেল হেফাজত অনুব্রতর, জেলে থেকেও চিন্তায় পঞ্চায়েত ভোট