হিজাব বিরোধী আন্দোলনে উত্তপ্ত ইরান! মহিলাদের সৌন্দর্যকে ক্ষতবিক্ষত করতে চলছে গু*লি

গত দু’মাসের বেশি সময় ধরে হিজাব বিরোধী আন্দোলনে উত্তপ্ত ইরান। শেষে বিক্ষোভ-প্রতিবাদের মুখে পিছু হঠতে বাধ্য হয়েছে ইরানের প্রশাসন। ইতিমধ্যে নিষিদ্ধ করা হয়েছে নীতি পুলিশ। তবে নীতি পুলিশ নিষিদ্ধ হলেও প্রশাসনের আগ্রাসী মনোভাব কমেনি। দু’ মাসের বেশি সময় ধরে চলা বিক্ষোভ প্রতিবাদে এই প্রথম কোনও প্রতিবাদীর মৃত্যুদণ্ডের নিদান কার্যকর করল ইরান প্রশাসন। হিজাব বিরোধী আন্দোলন চলাকালীন এক নিরাপত্তারক্ষীর উপর ছুরি নিয়ে হামলার অভিযোগ উঠেছিল ওই ব্যক্তির বিরুদ্ধে। এছাড়াও তেহরানের রাস্তা অবরোধে দোষী সাব্যস্ত হন তিনি। বৃহস্পতিবারই তাঁকে ফাঁসিতে চড়ানো হয়।

অন্যদিকে আরও এক চাঞ্চল্যকর অভিযোগ সামনে এসেছে। এক আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমের দাবি, মিছিলে থাকা মহিলাদের মুখ, স্তন, উরু ও গোপনাঙ্গ লক্ষ্য করে গুলি চালাচ্ছে নিরাপত্তা বাহিনী। এক চিকিৎসকের মতে, আন্দোলনকারী মহিলাদের সৌন্দর্যকে ক্ষতবিক্ষত করতে চাইছে ওই রক্ষীরা। পাশাপাশি ইরানের হাসপাতালে যেসমস্ত ডাক্তার ও নার্সরা আন্দোলনে আহতদের চিকিৎসা করছেন তাঁরা জানিয়েছেন, পুরুষ ও নারীর ক্ষেত্রে নিরাপত্তা বাহিনীর আঘাতের জায়গা আলাদা। পেলেট ব্যবহার করে শরীর ক্ষতবিক্ষত করে দেওয়া হচ্ছে। কিন্তু মহিলাদের ও পুরুষদের শরীরে ভিন্ন অংশেই টার্গেট করছে তারা।

উল্লেখ্য, গত সেপ্টেম্বর মাসে যথাযথভাবে হিজাব না পরার কারণে ‘নীতি পুলিশ’-র কড়া নজরে পড়েন ২২ বছর বয়সী মাহসা আমিনি। আর পুলিশি হেফাজতেই তাঁর মৃত্যুর পর গত ১৬ সেপ্টেম্বর থেকে ইরানের বিভিন্ন প্রান্তে প্রতিবাদ, বিক্ষোভ ছড়িয়ে পড়ে। ধীরে ধীরে গোটা দেশেই প্রতিবাদ দেখা দেয়। নারী পুরুষ নির্বিশেষে সেই রাষ্ট্রের কড়া পোশাকবিধির বিরুদ্ধে ও মাহসা আমিনির মৃত্যুর প্রতিবাদে পথে নামে। মেয়েরা প্রতিবাদে সামিল হয়ে নিজেদের হিজাব খুলে আকাশে উড়িয়ে দেন। প্রকাশ্য রাস্তায় চুল কাটেন। তাঁদের সাহায্যার্থে এগিয়ে আসেন পুরুষরা। প্রশাসনও বুক চিতিয়ে এই প্রতিবাদ দমনে কড়াকড়ি করে। বিক্ষোভের আগুন জ্বলতেই ইরানের নিরাপত্তা বাহিনী লাঠিচার্জ করে, গুলি চালায়। চলে ধরপাকড়ও। ১৯৭৯ সালে ইসলামিক প্রজাতন্ত্র প্রতিষ্ঠার পর থেকে এখনও পর্যন্ত এটি সবথেকে বড় চ্যালেঞ্জ।

 

 

Previous articleআজ ইস্টবেঙ্গলের সামনে হায়দরাবাদ
Next article১৫ বছরেও শেষরক্ষা হল না! দীঘা থেকে গ্রেফতার খু*নি